সহজ কথায় জাতীয়তাবাদ হচ্ছে একটি মানসিক ধারণা। যে মানসিক ধারণায় পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া ও একধরণের মানসিক ঐক্য গড়ে ওঠে। বিশদভাবে বলতে গেলে ঐতিহাসিক নানা বিবর্তনের ফলে সুদীর্ঘকাল ধরে মানুষ যে সম্প্রদায়গত ঐক্য গড়ে ওঠে তাই জাতীয়তাবাদ।
পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের জাতীয়তাবাদ রয়েছে, যেমন ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ, এবং সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার পেছনে জার্মান জাতীয়তাবাদ মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। এছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পেছনে ভাষাগত বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরাট অবদান রেখেছিল।
জাতীয়তাবাদ হল এমন একটি আদর্শ যা বিশ্বাস করে যে তাদের জাতি অন্য সকল জাতি থেকে শ্রেষ্ঠ। শ্রেষ্ঠত্বের এই অনুভূতিগুলো প্রায়ই জাতিগত, ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি বা সামাজিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয়তাবাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা, নিজেকে চালিত করার অধিকার এবং আধুনিক বিশ্ব অর্থনীতির দ্বারা সৃষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চাপ থেকে রক্ষা করা।
জাতীয়তাবাদ একটি ভাবাদর্শ যা একটি জাতি বা জাতি-রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, ভক্তি বা আনুগত্যের উপর জোর দেয় এবং অন্যান্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থকে ছাড়িয়ে যায়।
জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জে. এইচ হায়েস বলেন, ”Nationalism consists of modern emotional fusion and exaggeration of two very old phenomena-nationality and patriotism.”
অর্থাৎ জাতীয়তাবাদ গঠিত হয় আধুনিক সংবেদনশীল সংমিশ্রণ এবং অতিরঞ্জন দুটি অতি প্রাচীন ঘটনা-জাতীয়তা এবং দেশপ্রেম নিয়ে।
১. জাতিগত জাতীয়তাবাদ
২. সম্প্রসারণবাদী জাতীয়তাবাদ
৩. সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ
৪. ভাষাগত জাতীয়তাবাদ
৫. ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ
৬. উত্তর-ঔপনিবেশিক জাতীয়তাবাদ
৭. উদার জাতীয়তাবাদ
৮. আদর্শিক জাতীয়তাবাদ
৯. বামপন্থী জাতীয়তাবাদ