রাজতন্ত্র হল এক ধরনের সরকার ব্যবস্থা যেখানে সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব একজন ব্যক্তির কাছে ন্যস্ত করা হয়, যিনি মৃত্যু বা ত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাজা বা বাদশারা সাধারণত বংশগত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে রাজার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
বেশিরভাগ রাজতন্ত্র শুধুমাত্র পুরুষ উত্তরাধিকারের অনুমতি দেয়, যেমন পিতা থেকে পুত্র, বড় ভাই থেকে ছোট ভাই ইত্যাদি। যদিও কিছু ভিন্ন রাজতন্ত্র রয়েছে, যেখানে রাজা নির্বাচিত হওয়ার পরে পদে অধিষ্ঠিত হন।
রাজতন্ত্র কি
রাজতন্ত্র (Monarchy) হলো একক ব্যক্তির শাসনের উপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব রাজার হাতে ন্যস্ত থাকে। রাজতন্ত্রের শাসক রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে কাজ করেন এবং যিনি বংশগতির মাধ্যমে তার রাজত্ব অর্জন করেন।
রাজতন্ত্রের সংজ্ঞা
রাজতন্ত্র হল এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব রাজার হাতে ন্যস্ত থাকে।
রাজতন্ত্র হল একক শাসকের সার্বভৌমত্বের উপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা।
রাজতন্ত্র হল এক ধরনের সরকার ব্যবস্থা যেখানে সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব একজন ব্যক্তির কাছে ন্যস্ত করা হয়, যিনি মৃত্যু বা ত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
রাজতন্ত্র হল এক ধরনের সরকার যেখানে একটি পরিবার দেশ বা এলাকা শাসন করে। তারা রাষ্ট্রের প্রধান।
আরো পড়ুন, স্বৈরতন্ত্র কি? সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য
রাজতন্ত্র কত প্রকার
রাজতন্ত্র প্রধানত দুই প্রকার। যেমন,
১. নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র (Absolute Monarchy)
এ ধরনের রাষ্ট্রে রাজা বা রানী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। একাধারে তিনি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। উদাহরণস্বরুপ: সৌদি আরব ,ওমান ,ব্রুনাই কাতার ইত্যাদি।
এই ধরনের সরকারে, রাজা বা রানীর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ। তাদের কথাই আইন, আর তাদের লোকদের কোন কথা নেই।
সৌদি আরবে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সরকার সৌদি আরবের মৌলিক আইন অনুসরণ করলেও এর কোনো সংবিধান নেই। সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা বংশগত, এবং বিচার বিভাগীয় ও আইন প্রশাখা রাজকীয় ডিক্রি বা ফরমান দ্বারা নিযুক্ত হয়। সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত যে কেউ কেবল রাজা কর্তৃক বরখাস্ত হতে পারে।
২. নিয়মতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (Constitutional Monarchy)
এ ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রের রাজা বা রানী উত্তরাধিকার সূত্রে বা নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান হন। এতে রাজা বা রানীর শাসনতান্ত্রিক তেমন কোনো ক্ষমতা থাকেনা। কানাডা, যুক্তরাজ্য ,ডেনমার্ক, বেলজিয়াম , লুক্সেমবার্গ, স্পেন, মরক্কো, বাহারাইন, জর্ডান, কুয়েত ,ভুটান, কম্বোডিয়া , থাইল্যান্ড ,মালয়েশিয়া, জাপান।
আরো পড়ুন, গণতন্ত্র কি? সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ
সাংবিধানিক রাজতন্ত্র দেশেরএকটি লিখিত বা অন্তর্নিহিত সংবিধান এবং সংসদের মতো কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা রয়েছে। যদিও প্রদান নেতা রাজা এবং তাদের রাজত্ব উত্তরাধিকারের মধ্য দিয়ে চলে। তবে, তারা যা খুশি তা করতে পারে না। পরিবর্তে, তাদের অবশ্যই আইনের একটি নির্দিষ্ট সংবিধানের মধ্যে শাসন করতে হয়। অনেক সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রে, রাজা কেবলমাত্র নামে প্রধান হন, যেখানে সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়।
গ্রেট ব্রিটেনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের একটি উদাহরণ। রানী এলিজাবেথ একজন আনুষ্ঠানিক ব্যক্তিত্ব। সরকার সংসদ দ্বারা শাসিত হয়। সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে।
রাজতন্ত্র দেশের তালিকা
বর্তমানে, অনেক দেশে রাজতন্ত্র সরকার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিশ্বজুড়ে রাজতন্ত্রের দেশগুলোর একটি তালিকা নিম্মে দেওয়া হল।
ক. সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক দেশ
সংবিধান বা সংসদীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত রাজতান্ত্রিক দেশগুলো হচ্ছে। যেমন,
বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ডেনমার্ক, জাপান, জর্ডান, কুয়েত, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মোনাকো, মরক্কো, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন,
থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি।
খ. নিরঙ্কুশ রাজতান্ত্রিক দেশ
নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের অধীনে চলমান দেশগুলো নিম্মে দেওয়া হল। যেমন,
ওমান
কাতার
সৌদি আরব
ভ্যাটিকান সিটি
ব্রুনাই