অধ্যাদেশ কি?

রাষ্ট্রের জরুরী প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি নিজের একক ক্ষমতাবলে যে আইন জারী করে তাকে অধ্যাদেশ (ordinance) বলে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ ভেঙে গেলে অথবা সংসদ অধিবেশন না থাকলে যেকোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হবার ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে হয় নতুবা তা বাতিল বা অকার্যকর হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশটি জারির সময় থেকেই সংসদের আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সংবিধানে অধ্যাদেশ প্রণয়ন সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি দু’ অবস্থায় অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
প্রথমত, সংসদের কোন অধিবেশন না থাকলে, কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারবেন।
শর্তসমুহ
এই দফার অধীনে কোনো অধ্যাদেশে এমন কোন বিধান করা যাবে না-,
  • যা সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগত করা যায় না।
  • সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত হয়ে যায়।
  • পূর্বে প্রণীত কোনো অধ্যাদেশের যে কোনো বিধানকে অব্যাহতভাবে বলবৎ করা যায়।
অধ্যাদেশ জারীর পরবর্তী প্রক্রিয়া
  • অধ্যাদেশ জারির পর, সংসদ অধিবেশনের পূর্বে যদি তা বাতিল না হয়, তাহলে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে সেটি উপস্থাপিত হতে হবে।
  • অধ্যাদেশ জারির ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অনুমোদন না দিলে, অধ্যাদেশটি বাতিল বা অকার্যকর হয়ে যাবে।
  • ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে, সংসদ অধ্যাদেশটিকে অনুমোদন করে প্রস্তাব পাশ করলে, অধ্যাদেশটি কার্যকর বা আইনে রুপান্তর হবে।