দশমিক ভগ্নাংশ কি? প্রকার ও নির্ণয় পদ্ধতি
দশমিক ভগ্নাংশ কি?
যেমন- ৮৯৩২.৭১২৮ বা আট হাজার নয়শত বত্রিশ দশমিক সাত এক দুই আট। প্রত্যেক বাস্তব সংখ্যাকে দশমিক ভগ্নাংশে প্রকাশ করা যায়।
দশমিক ভগ্নাংশের প্রকারভেদ
- সসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- অসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- আবৃত/ পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ।
১. সসীম দশমিক ভগ্নাংশ: যে দশমিক ভগ্নাংশে দশমিক চিহ্নের ডানপাশে সসীম/নির্দিষ্ট সংখ্যায় অংক থাকে, তাকে সসীম দশমিক ভগ্নাংশ বলে।
যেমন- ৪.৫, ৮.৮৯৩, ০.০৫ ইত্যাদি।
৩. আবৃত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ: ভাগফলে দশমিক বিন্দুর পরে একই অঙ্ক বারবার বা একাধিক অঙ্ক পর্যায়ক্রমে বারবার আসে। এ ধরনের দশমিক ভগ্নাংশকে বলা হয় আবৃত্ত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ।
* দশমিক ভগ্নাংশে যে অঙ্কটি বারবার আসে তাকে আবৃত্ত অঙ্ক বলে।
দশমিক ভগ্নাংশে যোগ-বিয়োগ
দশমিক ভগ্নাংশের যোগ ও বিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সংখ্যাগুলোকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে দশমিক বিন্দুগুলো নিচে নিচে পড়ে। যেমন :
১০.৫০০
(+) ২.০৮০
দশমিক ভগ্নাংশে গুণ
প্রথমে প্রদত্ত সংখ্যাদ্বয় থেকে দশমিক বিন্দু বর্জন করে সাধারন গুণের মতই গুণ করতে হবে। অতঃপর গুণফলে দশমিক বিন্দু বসাতে হয়। এক্ষেত্রে, গুণ্যে ও গুণকে দশমিক বিন্দুর ডানে যত গুলো অঙ্ক থাকে তা যোগ করে গুণফলে ততটি অঙ্কের বামে দশমিক বিন্দু বসাতে হয়। যেমন:
দশমিক ভগ্নাংশের ভাগ
- ভাগের ক্ষেত্রে পূর্ণ সংখ্যার মতই ভাগ করা হয়।
- পূর্ণসংখ্যা ভাগ শেষ হলেই দশমিক বিন্দু বসানো হয়।কারণ, তখন দশমাংসকে ভাগ করা হয়।
- প্রত্যেক ভাগশেষের ডানদিকে (শূণ্য) বসিয়ে ভাগশেষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাগের কাজ করতে হয়।
যেমন: (৮০৮.৯ ÷ ২৫)