বিভক্তি যোগের নিয়ম
- অপ্রাণী বা ইতর প্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ‘রা’ যুক্ত হয় না; গুলি, গুলো যুক্ত হয়। যেমন- পাথরগুলো, গরুগুলি।
- অপ্রাণিবাচক শব্দের উত্তর ‘কে’ বা ‘রে’ বিভক্তি হয় না, শূন্য বিভক্তি হয়। যথা- কলম দাও।
- স্বরান্ত শব্দের উত্তর ‘এ’ বিভক্তির রূপ হয় – ‘য়’ বা ‘য়ে’। ‘এ’ স্থানে ‘তে’ বিভক্তিও যুক্ত হতে পারে। যেমন- মা + এ = মায়ে, ঘোড়া + এ = ঘোড়ায়, পানি + তে = পানিতে।
- অ-কারান্ত ও ব্যঞ্জননান্ত শব্দের উত্তর প্রায়ই ‘রা’ স্থানে ‘এরা’ হয় এবং ষষ্ঠী বিভক্তির ‘র’ স্থলে ‘এর’ যুক্ত হয়। যেমন – লোক + রা = লোকেরা। বিদ্বান (ব্যঞ্জনান্ত) + রা = বিদ্বানেরা। মানুষ + এর = মানুষের। লোক + এর = লোকের। কিন্তু অ-কারান্ত, আ-কারান্ত এবং এ-কারান্ত খাঁটি বাংলা শব্দের ষষ্ঠীর এক বচনে সাধারণ ‘র’ যুক্ত হয়, ‘এর’ যুক্ত হয় না। যেমন – বড়র, মামার, ছেলের।