বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধানের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে।
যেমন- ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি), মা (মা + ০ বিভক্তি), শিশুকে (শিশু + কে বিভক্তি), চাঁদ (চাঁদ + ০ বিভক্তি) ইত্যাদি পদে বিভিন্ন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে সেখানে শূন্য বিভক্তি আছে মনে করা হয়।
বিভক্তির প্রকারভেদঃ
বিভক্তি সাত প্রকার। যথাঃ প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী।
একবচন ও বহুবচন ভেদে বিভক্তিগুলোর আকৃতিগত পার্থক্য দেখা যায়।
বিভক্তির আকৃতিঃ
প্রথমাঃ
একবচনঃ ০, অ, এ, (য়), তে, এতে।
বহুবচনঃ রা, এরা, গুলি (গুলো) গণ।
দ্বিতীয়াঃ
একবচনঃ ০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে।
বহুবচনঃ দিগে, দিগকে, দিগেরে, *দের।
তৃতীয়াঃ
একবচনঃ ০, অ, এ, তে, দ্বারা, দিয়া (দিয়ে) কর্তৃক।
বহুবচনঃ দিগের দিয়া, দের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক, গুলির দ্বারা, গুলিকে দিয়ে, *গুলো দিয়ে, গুলি কর্তৃক, *দের দিয়ে।
চতুর্থীঃ
একবচনঃ ০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে।
বহুবচনঃ দিগে, দিগকে, দিগেরে, *দের।
পঞ্চমীঃ
একবচনঃ এ (য়, য়) হইতে, *থেকে, *চেয়ে, *হতে।
বহুবচনঃ দিগ হইতে, দের হইতে, দিগের চেয়ে, গুলি হইতে, গুলির চেয়ে, *দের হতে, *দের থেকে, *দের চেয়ে।
ষষ্ঠীঃ
একবচনঃ র, এর।
বহুবচনঃ *দিগের, দের, গুলির, গণের, গুলোর।
সপ্তমীঃ
একবচনঃ এ, (য়), য়, তে , এতে।
বহুবচনঃ দিগে, দিগেতে, গুলিতে, গণে, গলির মধ্যে, গুলাতে, গুলোর মধ্যে।
তারকা চিহ্নিত বিভক্তিগুলো এবং বন্ধনীতে লিখিত শব্দ চলিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়।