কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়

বীর্যপাত হলে গোসল ফরয। লিঙ্গাগ্র স্ত্রীলিঙ্গে প্রবেশ করলে এবং বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয। কিন্তু নিরোধ ব্যবহার করে প্রবেশ করালে এবং বীর্যপাত না হলে কি গোসল ফরয ?

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “যখন স্বামী তার স্ত্রীর চার শাখা (দুই হাত দুই পায়ের) ফাকে বসবে এবং লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ করবে, তখন গোসল ওয়াজেব হয়ে যাবে। (মুসলিম ৩৪৯ নং) নিরোধ ব্যবহার করে লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ না হলেও যেহেতু প্রবেশ করিয়ে তাতে যৌনতৃপ্তি অর্জন হয়, সেহেতু গোসল করতে হবে।”

 

উত্তেজনা ছাড়া বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় কিনা?
প্রশ্নঃ. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, উত্তেজনা ছাড়া প্রসাবের আগে মাঝে মাঝে বীর্য/রস ক্ষয় হলে কি ফরয গোসল করা আবশ্যক?
উত্তর:

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

 

উত্তেজনা ব্যতীত বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় না। সুতরাং পেশাব করার সময় বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হবে না।

বিস্তারিত পড়ুন নিম্নের রেফারেন্স উত্তরে–

والله اعلم بالصواب

 

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

রেফারেন্স উত্তর:
প্রশ্নঃ  আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমার প্রশ্ন হচ্ছে, নাপাক পদার্থ অর্থাৎ বীর্য শরীর থেকে বার হলে তাতে শরীর নাপাক হয়ে যায় । কিন্তু ইসতেঞ্জা করার সময় গোপন অঙ্গের কোনো রোগ থাকলে যদি শরীর থেকে ঘন বীর্য বার হয় প্রতিদিন তাহলে কি নামাজ হবে? তখন কী করণীয়? দয়া করে উত্তরটা দেবেন হুজুর।
উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

 

উত্তেজনা ব্যতীত বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় না। সুতরাং পেশাব করার সময় পেশাবের সাথে বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হবে না। বরং তখন বীর্য যে জায়গায় লাগে শুধু ওই জায়গা ধুয়ে ফেলে অজু করে নিলেই চলবে এবং ওই অজু দিয়ে নামাজ পড়া যাবে। কেননা, গোসল ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হল, বীর্য বের হওয়ার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ

তোমরা জুনুবি হও তবে (গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)

আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে বের হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاءٍ دَافِقٍ

অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে, সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫, ৬)

রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,

فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ

যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।

والله اعلم بالصواب

 

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

Similar Posts