অপরের উপকার করেই মানবজীবন ধন্য ও সার্থক হয়। অন্যের উপকার সাধনই তাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না। চারপাশের মানুষের কথাও ভাবতে হবে, ভাবা উচিত। সমাজে বাস করতে হলে একে অপরের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে চলতে হবে। কারণ পারস্পরিক সহযোগিতাই মানবজীবনের উন্নতির মূল। এই সহযোগিতা ছাড়া সুস্থ, সুন্দররূপে বাঁচা সম্ভব নয়। অন্যকে বঞ্চিত রেখে কেই কখনো বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে না। তাই সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে বৃহত্তর মানুষের কথা ভাবতে হবে। সেখানেই রয়েছে মানবজীবনের সার্থকতা। অন্যের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে এগিয়ে যাওয়াই প্রত্যেকের কর্তব্য। প্রয়োজনে নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মহৎ মানসিকতাই দিতে পারে বৃহত্তর মুক্তি। পুষ্পের ন্যায় পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে জীবনের সার্থকতা।
স্বার্থপর হয়ে কেউ পৃথিবীতে বাঁচতে পারে না। তাই পরের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার মাধ্যমেই জীবন সার্থক ও ধন্য করা সম্ভব।