ধাতু কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

ক্রিয়ার মূল কিংবা এর যে অবিভাজ্য অংশ এর অন্তর্নিহিত মূল ভাবটির দ্যোতনা (দ্যোতনা=সূচনা, প্রকাশনা) করে, অথবা বিশ্লেষণ করা যায় না এ রকম যে ক্ষুদ্রতম ধ্বনি-সমষ্টি ক্রিয়ার বস্তু বা গুণ বা অবস্থান বুঝায় তাকে ধাতু বলে।

আরো পড়ুন : দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

যেমন- ‘করা’ ক্রিয়ার মূল ‘কর্‌’ একটি ধাতু।

ধাতুর প্রকারভেদ

ধাতু প্রধানত তিন প্রকার।

  • মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু
  • সাধিত ধাতু
  • সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু

মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু

যে সকল ধাতু বিশ্লেষণ করলে কোন প্রত্যয় পাওয়া যায় না বা যারা সয়ংসিদ্ধ ধাতু, তাদেরকে মৌলিক ধাতু কিংবা সিদ্ধ ধাতু বলে।

যেমন- _/কর্‌, _/চল, _/দেখ্‌।

সাধিত ধাতু

কোন মৌলিক ধাতু কিংবা নাম শব্দের সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে সাধিত ধাতু বলে।

যেমন- _/কর + আ = _/করা, _/দেখ্‌ + আ = _/দেখা।

সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু

বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠন করে তাকে সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু বলে।

যেমন- পূজা কর্‌, রাজি হ, কষ্ট পা, শাস্তি দে।

অন্যান্য ধাতুসমূহ

নাম ধাতু

নাম শব্দ অথ্যাৎ বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয় প্রভৃতি শব্দ কখনও কখনও প্রত্যয়যোগে, কখনওবা প্রত্যয় যুক্ত না হয়ে ক্রিয়ারূপে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ক্রিয়ার মূলকে নাম ধাতু বলে। যেমন- জুতা > জুতানো, বেত > বেতানো, হাত > হাতানো।

ণিজন্ত বা প্রযোজন ধাতু

মৌলিক ধাতুর সাথে ‘আ’ বা ‘ওয়া’ যুক্ত হয়ে ণিজন্ত বা প্রযোজন ধাতু গঠিত হয়। এটা এক ধরনের সাধিত ধাতু। যেমন- _/কর + আ =করা।

ধ্বন্যাত্মক ধাতু

ধাতুরূপে ব্যবহৃত অনুকার (অনুকার = সাদৃশ্যকরণ, অনুকরণ) ধ্বনিকে ধ্বন্যাত্মক ধাতু বলে। যেমন- ফোঁসা, হাঁপা, মচ্‌মচা, টল্‌টলা।

নঞ্‌র্থক ধাতু

‘অস্তি’ বাচক ‘হ’ ধাতুর পূর্বে নঞ্‌র্থক ‘ন’ শব্দের যোগে গঠিত ‘নহ্‌’ ধাতুকে নঞ্‌র্থক ধাতু বলে। যেমন- নহি, নই, নহ, নও, নহে, নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *