বহিঃশ্বসন কাকে বলে?

বহিঃশ্বসন কাকে বলে?

ফুসফুসের ভিতরের বায়ুর চাপ বেড়ে গিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গতকরণের মাধ্যমে মানবদেহ প্রতিনিয়ত যে শ্বাসকার্য চলতে থাকে তাকেই বহিঃশ্বসন বলে।

যে প্রক্রিয়ায় ফুসফুসের মধ্যে গ্যাসীয় আদান-প্রদান ঘটে তাকে বহিঃশ্বসন বলে।

বহিঃশ্বসন দুই পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা-

১। প্রশ্বাস বা শ্বাস গ্রহণ ও ২। নিঃশ্বাস।

১। প্রশ্বাস বা শ্বাস গ্রহণঃ প্রাণী প্রশ্বাস বা শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে অক্সিজেনযুক্ত বায়ু গ্রহণ করে। প্রশ্বাসের সময় মধ্যচ্ছদা বক্ষপিঞ্জরাস্থির মাঝের পেশি সংকুচিত হয়।

২। নিঃশ্বাসঃ প্রশ্বাসের পর পরই নিঃশ্বাস পর্যায় শুরু হয়। এ পর্যায়ে মধ্যচ্ছদা পিঞ্জরাস্থির পেশিগুলো শিথিল ও প্রসারিত হয়। ফলে ফুসফুস আয়তনে ছোট ও সংকুচিত হয়। ফলে বায়ুথলির ভেতরের বায়ু, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ফুসফুস থেকে ব্রঙ্কাস ও ট্রাকিয়ার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে নাসারন্ধ্র দিয়ে বাইরে নির্গত হয়