কিটো ডায়েট (Keto Diet) এবং এর সম্পর্কিত ভুল ধারণা

কিটো ডায়েটে(Keto Diet) ক্ষতি

আজকে আমরা জানবো কিটো ডায়েট(Keto Diet) সম্পর্কিত ভুল ধারনা কিভাবে ঘটাতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।

অস্বাস্হ্যকর জীবনযাপন, জান্ক ফুড গ্রহনের মাধ্যমে মানুষ স্থুলকায় হয়ে যাচ্ছে। ওজন বৃদ্ধির কারনে ননান ধরনের রোগ বাসা বাধছে।

রোগাক্রান্ত  হওয়ার কারনে অনেকে ডায়েট শুরু করেন তাতে কেউ কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারলেও অনেকেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়।

নিয়ম মেনে চললে এবং পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহনের মাধ্যমে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।

বর্তমানে অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর লক্ষ্যে ইউটিউব, ইন্টারনেট এ ভিডিও দেখে কিটো ডায়েটের দিকে ঝুঁকছে।

যা মূলত লো কার্ব ডায়েট নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।

তবে কিটো ডায়েট(Keto Diet) এমন এক ধরনের ডায়েট যার মাধ্যমে নিজেকে পরীক্ষামূলক ভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অনুরূপ।

স্বাভাবিক ডায়েটে আমরা আমাদের দৈনিক শক্তি চাহিদার ৫০-৬০ শতাংশ পাই শর্করা থেকে,১৫-২০ শতাংশ আমিষ,২৫-৩০ শতাংশ পাই ফ্যাট থেকে।

কিন্তু কেউ যখন কিটো ডায়েট(Keto Diet) করে তখন সে তার খাদ্য চাহিদার ৭৫ শতাংশ নেন ফ্যাট থেকে ২০ শতাংশ আমিষ এবং মাত্র ৫ শতাংশ নেন শর্করা থেকে।

সুতরাং এটি দেখায় যাচ্ছে যে কিটো ডায়েট(Keto Diet) মানেই লো কার্ব ডায়েট যেখানে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান খুবই কম।

সাধারণ মানুষের জন্য কিটো ডায়েট(Keto Diet) মোটেই উপযোগী নয়।

কারণ চিকিৎসক রা মৃগী রোগীদের জন্যই এই কিটো ডায়েট এর চার্ট তৈরী করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ঔষধ আবিস্কার এর পর এই ডায়েট এর প্রয়োজনীয়তা নেই বলে দাবি করা হয়ে থাকে।

কেননা এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে দ্রুত ওজন হ্রাস্ব এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

তাছাড়ও যে সমস্যা গুলো হতে পারে

১. শরীর থেকে পানি কমে গিয়ে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

তাছাড়া শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়ে মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব,ত্বক শুস্ক হয়ে দাগ পড়ে যাওয়া অপরদিকে শর্করা কম খাওয়াতে শরীরের শক্তি কমে গিয়ে দূর্বলতা দেখা দেওয়া,ঘুম ঘুম ভাব,পড়াশোনা বা কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কখনো ডায়েবেটিস সহ আরো অনেক কিছু হতে পারে।

২. অন্যদিকে কিটো ডায়েটে(Keto Diet) অধিক চর্বি থাকায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন লিভার, কিডনি, হার্টে এই চর্বি জমে ফ্যাটি লিভার,হৃদরোগ,কিডনি রোগ,উচ্চরক্তচাপ, গেটে বাত, ডায়েবেটিস রোগীর এমনকি ননডায়েবেটিক ব্যাক্তির রক্তের গ্লুকোজ কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কিটো ডায়েট(Keto Diet) করে এই খাবার খেয়ে তারপর কেও যদি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করে তখন তার পুনরায় ওজন বাড়তে শুরু করবে।

তাই ওজন কমানোর জন্য কোনো অস্বাভাবিক নিয়ম না মেনে স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য উদ্বুদ্ধ হওয়ায় উত্তম।

তাতে নিজের সুস্বাস্হ্য ধরে রাখা যায় এবং ক্ষতির সম্মুক্ষীন হওয়া থেকে বাঁচা যায়।

Similar Posts