What is liquidity mining ?
লিকুইডিটি মাইনিং হল ক্রিপ্টো ইনভেস্টমেন্টের একটি পদ্ধতি. এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারী হিসাবে আপনি ডিসেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ এর লিকুইডিটি পুলে লিকুইডিটি অর্থাৎ ক্রিপ্টো কারেন্সী রাখেন এবং রিওয়ার্ড হিসাবে ওই প্লাটফর্মের টোকেন পাবেন. লিকুইডিটি মাইনিং হল ইল্ড ফার্মিং এর একটি অংশ.
how does liquidity mining work |
লিকুইডিটি মাইনিং কি ভাবে কাজ করে জানার জন্য আমরা একটি উদাহরণ এর সাহায্য নেব. ধরুন একটি ডেফি প্রোটোকল রয়েছে যেখানে ট্রেডাররা প্রোটোকলের X টোকেন এবং Y টোকেনের মধ্যে ট্রেডিং করতে পারে.
ট্রেডিং চালু হওয়ার আগে লিকুইডিটি হিসাবে পুলের এক্স টোকেন এবং ওয়াই টোকেন প্রয়োজন হবে. এখন লিকুইডিটি প্রোভাইডাররা লিকুইডিটি হিসাবে সমপরিমাণ X টোকেন এবং Y টোকেন পুলে ডিপোজিট করতে পারে.
এবার ধরুন এক জন ট্রেডার তার ১০০ X টোকেন Y টোকেনে কনভার্ট করতে চাই. এখন প্রোটোকল লিকুইডিটি প্রোভাইডার লিকুইডিটি নিয়ে ওই ট্রেডটি সফল সম্পূর্ণ করবে.
যদি লিকুইডিটি কম পড়ে বা বেশি হয়ে থাকে তখন প্রোটোকল অটোমেটিক ভাবে পুল রিওয়ার্ড বাড়িয়ে বা কমিয়ে আরও বেশি বেশি লিকুইডিটি প্রোভাইডার লিকুইডিটি জমা করার জন্য আকর্ষিত করে থাকে.
প্রোটোকল লিকুইডিটি প্রোভাইডারদের নিজস্ব প্রোটোকল টোকেনে রিওয়ার্ড দিয়ে থাকে. লিকুইডিটি প্রোভাইডাররা লিকুইডিটি পুলে তাদের অবদানের অনুপাতের ভিত্তিতে রিওয়ার্ড পেয়ে থাকে.
ধরুন একটি সম্পূর্ণ লিকুইডিটি পুলে আপনার লিকুইডিটির অবদান ২০ শতাংশ তাহলে আপনি একটি সমগ্র রিওয়ার্ড এর ২০ শতাংশ পাবেন.
লিকুইডিটি মাইনিং প্রোটোকল কত প্রকার ও কি কি ?
লিকুইডিটি মাইনিং পুল প্রোটোকল সাধারণত তিন রকমের হয়ে থাকে.
* ফেয়ার ডিসেন্ট্রালাইজেশান (Fair Decentralization)
* প্রগ্রেসিভ বা প্রোগ্রামাটিক ডিসেন্ট্রালাইজেশান (progressive or programmatic decentralization)
* গ্রোথ মার্কেটিং (Growth marketing)
১. ফেয়ার ডিসেন্ট্রালাইজেশানে প্রোটোকলের নেটিভ টোকেন গুলি একটিভ ইউজার (Active Users) এবং প্রথম পর্যায়ের কমিউনিটি মেম্বারদের মধ্যে সমান ভাবে বিতরণ করে দেওয়া হয়ে থাকে.
৩. গ্রোথ মার্কেটিং : এটি ফেয়ার ডিসেন্ট্রালাইজেশান লিকুইডিটি মাইনিং প্রোটোকল এবং প্রোগ্রামাটিক মাইনিং প্রোটোকল থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা. কমিউনিটির সদস্যরা যারা প্রজেক্ট প্রমোট করে থাকে তারা রিওয়ার্ড হিসাবে প্রোটোকলের গভর্নেন্স টোকেন পেয়ে থাকে.
Best liquidity mining platform | জনপ্রিয় লিকুইডিটি মাইনিং প্লাটফর্ম
বিশ্বের কিছু জনপ্রিয় লিকুইডিটি মাইনিং প্লাটফর্ম নিচে দেওয়া হল.
কম্পাউন্ড (Compound) :
ইউনিসোয়াপ (Uniswap):
আবে (Aave) :
ইয়ার্ন ডট ফিনান্স (yearn.finance) :
কার্ভ (Curve):
ব্যালান্সার (Balancer):
লিকুইডিটি মাইনিং এর সুবিধাগুলি
* হাই রিটার্ন : লিকুইডিটি মাইনিং এ লিকুইডিটি প্রোভাইডাররা হাই রিটার্ন পেয়ে থাকে যা সাধারণ সেভিংস একাউন্ট থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে.
* পোর্টফোলিও ডাইভার্সিফিকেশন : আপনি বিভিন্ন টোকেন দিয়ে বিভিন্ন ডিসেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ এ লিকুইডিটি মাইনিং করতে পারবেন. এতে আপনার ইনভেস্টমেন্ট বিভিন্ন প্লাটফর্মে ডিস্ট্রিবিউট হয়ে থাকে এবং ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক অনেক কমে যায়.
* প্যাসিভ ইনকাম সোর্স : লিকুইডিটি মাইনিং এর মাধ্যমে আপনি একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স তৈরী করতে পারবেন. এখানে আপনাকে একবার লিকুইডিটি জমা করতে হবে এবং লিকুইডিটির পরিমান অনুসারে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান ইনকাম করতে পাবেন. ট্রেডিং এর মতো আপনাকে সবসময় মার্কেট মনিটর করতে হয় না বা ট্রেডিং এর মতো একটিভ ভাবে ট্রেড করতে হয় না.
* লিকুইডিটি মাইনিং পুলে লিকুইডিটি যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি মার্কেটের লিকুইডিটি অবস্থাকে আরও ভালো করেন. এর ফলে পুলে ট্রেডাররা খুব সহজেই একটি টোকেন থেকে আর একটি টোকেনে ট্রেড করতে পারে.
Liquidity mining risks | লিকুইডিটি মাইনিং এর অসুবিধা গুলি
ইমপার্মানেন্ট লস (Impermanent loss) – লিকুইডিটি মাইনিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক হল ইমপার্মানেন্ট লস. ইমপার্মানেন্ট লসে লিকুইডিটি প্রোভাইডার এর টোকেন মূল্য কমে যায় এবং লিকুইডিটি প্রোভাইডার ক্ষতির সম্মুখীন হন. ভোলাটাইল মার্কেটে এই ঘটনা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে.
উদাহারস্বরূপ , এক জন লিকুইডিটি প্রোভাইডার তার ফান্ড এর ৫০ শতাংশ X টোকেনে এবং ৫০ শতাংশ Y টোকেনে ডিপোজিট করেছেন.
ডিপোজিট করার পর লকিং পিরিয়ডে দেখা গেল X টোকেনের মূল্য কমে গেছে যেখানে Y টোকেনের মূল্য বেড়ে গেছে. এই মুহূর্তে লিকুইডিটি প্রোভাইডার লিকুইডিটি পুল থেকে ফান্ড উইথড্র করলে লিকুইডিটি প্রোভাইডারের ক্ষতি হবে.
স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এর দুর্বলতা: লিকুইডিটি মাইনিং এর আর একটি অসুবিধা হল স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এর দুর্বলতা. স্মার্ট কন্ট্রাক্ট হল কম্পিউটার কোডের মাধ্যমে লেখা সংক্রিয় কন্ট্রাক্ট যা পূর্ব নির্ধারিত টার্মস এবং কন্ডিশন ম্যাচ করার সাথে সাথে ক্রেতা এবং বিক্রেতার ট্রেড অটোমেটিক ভাবে সংক্রিয় ভাবে ট্রেড এক্সকিউট হয়ে থাকে.
যেহেতু স্মার্ট কন্ট্রাক্ট একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা হ্যাকাররা অনেক সময় হ্যাক করে থাকে. স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এক বার হ্যাক হয়ে গেলে লিকুইডিটি প্রোভাইডার তাদের ফান্ড লস করতে পারে.
রাগ পুল (Rug Pull): অনেক সময় ডেফি লিকুইডিটি পুল এবং প্রোটোকল ডেভেলপাররা লিকুইডিটি মাইনিং পুল প্রজেক্ট এর বিনিয়োগকারীদের সমস্ত ফান্ড উইথড্র করে প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়. এটি ক্রিপ্টো কারেন্সী মার্কেটে রাগ পুল (Rug Pull) নামে পরিচিত.
বিভিন্ন ব্লকচেইন মার্কেটে একটি কমন ঘটনা. আপনি ডেভেলপারদের ট্র্যাক করতে পারবেন না. কারণ ডেফি প্লাটফর্ম গুলি সম্পূর্ণ ভাবে অজ্ঞাত (Anonymously) ভাবে কাজ করে থাকে.
কম্পউণ্ডার ফিনান্স (Compounder Finance) নামে একটি ডেফি লিকুইডিটি পুল ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন ডলার টাকা নিয়ে তাদের প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়.
Note : Compound and Compounder Finance are two different DeFi liquidity Pool platform.