বাংলা ব্যাকরণ

রূপতত্ত্ব কাকে বলে?

1 min read

রূপতত্ত্ব কাকে বলে?

এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়, শব্দের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় রূপ (morpheme)। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে (Morphology) বলা হয়।

রূপমূলতত্বে শব্দের রূপ ও অর্থের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচিত হয়। রূপমূলতাত্বিকেরা শব্দকে একাধিক অর্থপূর্ণ অবিভাজ্য এককে ভাঙার চেষ্টা করেন।

রূপমূলতত্ব যেহেতু শব্দের বাহ্যিক ধ্বনিগত রূপের সাথে সম্পর্কিত, সেহেতু এটি ধ্বনিতত্বের সাথেও সম্পর্কিত। এই দুই শাখার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বিষয়গুলি রূপধ্বনিতত্ব নামের শাস্ত্রে আলোচিত হয়। রূপমূলতত্ব যেহেতু শব্দের অর্থ নিয়ে আলোচনা করে, তাই অর্থবিজ্ঞানের সাথেও এর সম্পর্ক আছে।

 

আলােচ্য বিষয় : পদ এবং শব্দের গঠন ও রূপবৈচিত্র্যই হল রূপতত্ত্বের প্রধান আলােচ্য বিষয়।

 

যে-কোনাে ভাষার রূপতত্ত্বের আলােচনায় প্রথম আলােচিত হয় ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের গঠনকৌশল সম্পর্কে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রূপ হল শব্দগঠনের প্রধান উপাদান। এই রূপ কখনও একাই একটি শব্দ, যেমন—মা, এ, ও; কখনওবা একটা রূপ-এর সঙ্গে অন্য একটা রূপ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, যেমন- গড় + অন্ = গড়ন। আবার কখনও দুটো আলাদা শব্দ পরস্পর যুক্ত হয়েও নতুন শব্দ গঠিত হয়, যেমন- জন + শূন্য = জনশূন্য।

 

এই নবগঠিত শব্দ যখন ভাষায় বা বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন কীভাবে তার রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়, সেটাই হল রূপতত্ত্বের পরবর্তী আলােচনার বিষয় বাক্যের মধ্যে শব্দ কী ভূমিকা গ্রহণ করে এবং তার সেই ভূমিকা কীভাবে চিহ্নিত হয়, সেটাই এই অংশে আলােচিত হয়। বাক্যে ব্যবহৃত শব্দকে পদ বলে। বাক্যের পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য শব্দের অঙ্গ হিসেবে যেসব রূপ যােগ করা হয়, সেগুলিকে বলে বিভক্তি। এই বিভক্তি ছাড়াও প্রত্যয়, উপসর্গ ইত্যাদি রূপ যুক্ত হয়ে শব্দের রূপবৈচিত্র্য সাধন করে।

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “রূপতত্ত্ব কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

 

5/5 - (41 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x