বিশেষ্য পদ কাকে বলে? | বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ
বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে।
বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – নজরুল, আনিস, হিমালয়, অগ্নিবীণা, সুখ, দুঃখ ইত্যাদি।
সাধারণ বিচারে বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য বলে। কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে।
বিশেষ্য পদকে নাম পদও বলা হয়। যেমন : মণি কৃষ্ণকলি, ভারতবর্ষ পুনে।
উদাহরণ: হাতি, ঘোড়া, সোনা, লোহা, বাঙালি, কলকাতা, রবীন্দ্রনাথ, বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, দয়া, মায়া ইত্যাদি।
- ভারতের উত্তর দিকে হিমালয় অবস্থিত।
- বাঘ জঙ্গলে থাকে।
- সাধুতা মহতের লক্ষণ।
- বেদুইন দুর্ধর্ষ জাতি।
উপরে উল্লেখিত বাক্য গুলির মধ্যে ‘ভারত’ দেশের নাম,’হিমালয়’ পর্বতের নাম, ‘বাঘ’ পশুর নাম, ‘সাধুতা’ হল গুণের নাম, ‘বেদুইন’ জাতির নাম।প্রতিটি নাম বিশেষ করে বলা হয়েছে তাই এগুলি বিশেষ্য পদ।যেহুতু বিশেষ্য পদ নামকে প্রকাশ করে তাই একে নাম পদ ও বলা হয়ে থাকে।
বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ
বিশেষ্য পদকে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
- সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য (Proper Noun)
- জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun)
- বস্তু (বা দ্রব্য) বাচক বিশেষ্য (Material Noun)
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (Collective Noun)
- ভাববাচক বিশেষ্য (Verbal Noun)
- গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun)