Similar Posts
ভাষা কাকে বলে?
ভাষার সংজ্ঞা বাগযন্ত্রের সাহায্যে তৈরিকৃত অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে। এখানে বাগযন্ত্র হলো গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদির সমাবেশ। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “মনুষ্যজাতি যে ধ্বনি বা ধ্বনিসকল দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে, তার নাম ভাষা।” ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “মনের ভাব প্রকাশের জন্য, বাগযন্ত্রের সাহায্যে…
বিভক্তি, বিভক্তির প্রকারভেদ এবং বিভক্তির আকৃতি
বিভক্তিঃ বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধানের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। যেমন- ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি), মা (মা + ০ বিভক্তি), শিশুকে (শিশু + কে বিভক্তি), চাঁদ (চাঁদ + ০ বিভক্তি) ইত্যাদি পদে বিভিন্ন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। বিভক্তি…
নানান দেশের নানা ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?
নানার দেশের নানা ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে তার মাতৃভাষা শ্রেষ্ঠ। অন্য ভাষা যতই সহজ হোক না কেন, মাতৃভাষা ছাড়া মনের ভাব উত্তমরূপে আর কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মাতৃভাষা যে-কোনো মানুষের অস্তিত্ব ও আত্মপ্রকাশের অবিকল্প একটি বাহন। বিদেশি ভাষায় যতই দক্ষতা অর্জন করুক, মাতৃভাষার ন্যায় এমন সাবলীলভাবে…
সমধাতুজ কর্ম কাকে বলে?
সমধাতুজ কর্ম কাকে বলে? বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বা ধাত্বর্থক কর্মপদ বলে। যেমন – আর কত খেলা খেলবে। মূল ‘খেল’ ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ ‘খেলবে’ এবং কর্মপদ ‘খেলা’ উভয়ই গঠিত হয়েছে। তাই ‘খেলা’ পদটি সমধাতুজ বা ধাত্বর্থক কর্ম। সমধাতুজ কর্মপদ অকর্মক ক্রিয়াকে সকর্মক করে। যেমন – এমন…
অর্ধাঙ্গিনী কাকে বলে?
অর্ধাঙ্গিনী কাকে বলে? অর্ধাঙ্গিনী শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ যার অর্থ পত্নী বা স্ত্রী। অর্ধাঙ্গিনী যার মানে শরীরের অর্ধেক অংশ। কোনো মানুষ অঙ্গ ছাড়া যেমন কষ্ট হয় তেমনি অর্ধাঙ্গিনী ছাড়া। স্ত্রী শব্দের আসল অর্থটি কেবল নারী হিসেবে, বিবাহ বা স্বামী / স্ত্রীর সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়, ‘ধাত্রী’, ‘গুডওয়াইফ’, ‘ফিশওয়াইফ’ এবং ‘স্পাইওয়াইফ’ এর মতো শব্দগুলোতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। অনেক সংস্কৃতিতে সাধারণত…
ভাববাচক বিশেষ্য কাকে বলে?
ভাববাচক বিশেষ্য কাকে বলে? যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যথা – গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), দেখা, শোনা।