Similar Posts
হিমোসিল কি? হিমোসিলের কাজ কি?
হিমোসিল ঘাসফড়িংসহ সকল সন্ধিপদী প্রাণীর দেহগহ্বর মোসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে না। দেহগহ্বর রক্তপূর্ণ এবং সংবহনতন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে। এ ধরনের রক্তপূর্ণ দেহগহ্বরকে হিমোসিল বলে। ভ্রূণীয় পেরিভিসেরাল সিলোম পরিবর্তিত হয়ে হিমোসিল গঠন করে। হিমোসিলের কাজ হিমোসিল ঘাসফড়িং-এর দেহের সকল অন্তঃঅঙ্গকে ধারণ করে। এটি রক্ত ও লসিকা ধারণ করে। হিমোসিলের মাধ্যমে খাদ্যসার ও বর্জ্য…
ঐচ্ছিক পেশি কাকে বলে?
ঐচ্ছিক পেশি কাকে বলে? যে পেশি প্রাণীর ইচ্ছামতো সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে ঐচ্ছিক পেশি বলে।
অক্সিজেন কিভাবে ফুসফুস থেকে কোষে পৌঁছায়?
অক্সিজেন কিভাবে ফুসফুস থেকে কোষে পৌঁছায়? ফুসফুসের বায়ুথলি থেকে অক্সিজেন ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তে প্রবেশ করে। এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন রক্তরসে দ্রবীভূত অবস্থায় পরিবাহিত হয়। বেশিরভাগ অক্সিজেনই লোহিত রক্ত কণিকার মাধ্যমে অক্সিহিমোগ্লোবিন রূপে পরিবাহিত হয়। রক্ত কৈশিক নালিকায় পৌছার পর অক্সিহিমোগ্লোবিন থেকে অক্সিজেন পৃথক হয়ে প্রথমে লোহিত কণিকার আবরণ ও পরে কৈশিকনালির প্রাচীরভেদ করে লসিকাতে…
জীবকোষ
জীবকোষ হচ্ছে জীবদেহের একক। এই জীবকোষ কী? কোনাে কোনাে বিজ্ঞানী জীবকোষকে জীবদেহের গঠন ও জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। লােয়ি (Loewy) এবং সিকেভিজ (Siekevitz) 1969 সালে বৈষম্য ভেদ্য (selectively permeable) পর্দা দিয়ে আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরূপ তৈরি। করতে পারে, এমন সত্তাকে কোষ বলেছেন। কোষের প্রকারভেদ সকল…
শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে?
শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে, জারণের ফলে কোষস্থ খাদ্যের স্থিতিশক্তি তাপ ও গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং কার্বনডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয় তাকে শ্বসন বলে। দেহে যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শ্বসনকাজে অংশগ্রহণ করে তাদের একত্রে শ্বসনতন্ত্র বলে। নাসারন্ধ্র, গলবিল, ল্যারিংস, ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ব্রাঙ্কিওল, অ্যালভিওলাই এবং একজোড়া ফুসফুস নিয়ে মানুষের শ্বসনতন্ত্র গঠিত। এই তন্ত্র মানুষের…
ইমিউনিটি কি?
ইমিউনিটি কি? পরিবেশের নানা প্রকার ক্ষতিকর আণুবীক্ষণিক জীব ও বিষাক্ত পদার্থ মানুষের দেহে নানানভাবে প্রবেশ করে এবং মানুষের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে মাঝে মাঝে বিপর্যস্ত করে তোলে বা করার চেষ্টা করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, তাদের প্রতিবিষ ও নানা প্রকার বিজাতীয় প্রোটিন মানবদেহকে আক্রমণ করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। এরা মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ…