পরীক্ষণ : উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানি দরকার কিনা তার পরীক্ষা।
পরীক্ষণটি করতে যা যা দরকার: ছোট দুটি পাত্র, ফুলগাছের দুটি চারা, পানি, শুকনা মাটি।
১. সমস্যা নির্ধারণ: পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রথম ধাপে সমস্যা স্থির করেছিলাম, ফুলগাছের চারা তুলে এনে লাগালে মারা যাচ্ছে কেন?
২. জানা তথ্য সংগ্রহ: শিক্ষককে এবং পিতা-মাতাকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছিলাম কেন চারাগাছ মারা যেতে পারে। তাঁরা ধারণা দিয়েছিলেন যে, পানি না পেলে চারাগাছ মারা যেতে পারে।
৩. আনুমানিক / অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (সম্ভাব্য ফলাফল) : জানা তথ্য থেকে অনুমিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, পানির অভাবে চারা গাছ মারা যায়।
৪. পরীক্ষণের পরিকল্পনা : পরীক্ষণের পরিকল্পনা করেছিলাম। প্রথমে পরীক্ষার জন্য দুটি পাত্রে দুটি গাছ নিয়েছিলাম। দুটি পাত্রের মধ্যে শুধু একটি বিষয়ে পার্থক্য রেখে বাকি বিষয়গুলো সমান সমান রেখেছিলাম।
৫. পরীক্ষণ : ছোট দুটি একই রকমের পাত্র নিয়েছিলাম। মাটি বা প্লাস্টিকের টবজাতীয় পাত্র নিয়েছিলাম। পাত্র দুটির তলায় ছোট ছিদ্র করেছিলাম। শুকনা মাটি দিয়ে পাত্র দুটি ভরে দিয়েছিলাম। একই ধরনের দুটি চারা গাছ পাত্রে রোপন করেছিলাম। একটিতে পানি দিয়েছিলাম এবং অন্যটিকে শুকনা রেখেছিলাম। এরপর দুটি গাছকে ছায়ায় রেখেছিলাম। পরের দিন গাছ দুটিকে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম, একটি গাছ প্রায় মরে গিয়েছিল, অন্যটি সতেজ হয়েছিল।
৬. উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ : দুটি পাত্রে একই ধরনের মাটি ছিল। চারাগাছ দুটিকে পাত্রসহ একই জায়গায় রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে পার্থক্য ছিল কেবল পানি। একটিতে পানি দেওয়া হয়েছিল, আর একটিকে পানি দেওয়া হয় নি। এ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে, পানি না দেওয়ায় একটি চারা গাছ মারা গেছে।
৭. ফল প্রকাশ : পরীক্ষার ফল বিদ্যালয়ের বুলেটিন বোর্ডে লিখে প্রকাশ করেছিলাম।