দর্পণ কাকে বলে? দর্পণের প্রকারভেদ
দর্পণ কাকে বলে?
যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
বিশেষভাবে প্রস্তুত যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে। প্রাচীনকালে মাটির পাত্রে স্বচ্ছ পানি রেখে তা দর্পণ হিসাবে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তি যুগে ধাতব পৃষ্ঠকে মসৃণ করে দর্পণ প্রস্তুত করা হয়। তবে এই দর্পণ ছিল দুর্মূল্য এবং দুর্লভ।
এক সময় মানুষ কাচ আবিষ্কার করল এবং কাচের সমতল সিট প্রস্তুত করতে শিখলো। এরপর কাচের এক পিঠে ধাতুর প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করল। প্রথম দিকে প্রলেপের কাজে রূপ ব্যবহার করা হতো। তাই এই প্রলেপ দেয়াকে পারা লাগানো বা সিলভারিং বলা হতো। এখনো একে সিলভারিং বলা হয়। কাচের যে পিঠে পারদ লাগানো হয় তার বিপরীত পৃষ্ঠ প্রতিফলক তল হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এই পৃষ্ঠকে দর্পণ পৃষ্ঠ বলে।
দর্পণ |
দর্পণের প্রকারভেদ
দর্পণ প্রধানত দু’প্রকার। যথাঃ
ক) সমতল দর্পণ এবং
খ) গোলকীয় দর্পণ।
ক) সমতল দর্পণঃ দর্পণ পৃষ্ঠ যদি সমতল হয় অর্থাৎ কোনো সমতল পৃষ্ঠ যদি প্রতিফলক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং তাতে আলোক রশ্মির নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তবে তাকে সমতল দর্পণ বলে। আমরা চেহারা দেখার জন্য প্রতিদিন যে আয়না ব্যবহার করি, চুল ছাটার সেলুনে, টয়লেটে, ড্রেসিং টেবিলে যে আয়না ব্যবহৃত হয় তা সমতল দর্পণ।
খ) গোলকীয় দর্পণঃ যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ গোলকের পৃষ্ঠ বা গোলক পৃষ্ঠের অংশ বিশেষ তাকে গোলকীয় দর্পণ বলে। গোলক পৃষ্ঠের দু’টি দিক। একটি বাইরে তথা উঁচু পিঠ, অন্যটি ভেতরে তথা নিচু পিঠ। যদি প্রতিফলক পিঠটি গোলকের উঁচু দিক হয় তবে সেই গোলকীয় দর্পণকে উত্তল দর্পণ বলে। যদি প্রতিফলক পিঠটি গোলকের নিচু দিক হয় তবে সেই দর্পণকে অবতল দর্পণ বলে।