সার্কুলার নোট কী? LC কাকে বলে?
সার্কুলার নোট কী?
পর্যটকদের দেয়া যে হুন্ডি (নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ)ব্যাংকের বিদেশস্থ কোনো শাখায় ভাঙবার সুযোগ রয়েছে,তাকে সার্কুলার নোট বলে।এটা এক ধরনের প্রত্য্যপত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (LC)।
পর্যটকদের দেয়া যে হুন্ডি (নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ)ব্যাংকের বিদেশস্থ কোনো শাখায় ভাঙবার সুযোগ রয়েছে,তাকে সার্কুলার নোট বলে।এটা এক ধরনের প্রত্য্যপত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (LC)।
দ্রব্যের দাম ও যোগানের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থাৎ, দাম বাড়লে যোগান বাড়ে এবং দাম কমলে যোগান কমে। দাম ও যোগানের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক যোগানবিধির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যোগানবিধি সাধারণত যোগানকে দামের অপেক্ষক হিসেবে প্রকাশ করা হয়। দাম ও যোগানের মধ্যে আপেক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। সে সম্পর্ক প্রত্যক্ষ। দাম ও যোগানের মধ্যে যে প্রত্যক্ষ আপেক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান তাই যোগানবিধি হিসেবে পরিচিত। অন্যান্য…
ক্রেতা ও উৎপাদকের ব্যক্তিগত স্বার্থচিন্তা তথা লাভ লোকসানের চিন্তা থেকে যে প্রতিযোগিতামূলক ও মুক্ত অর্থব্যবস্থা চালু হয় এরই নাম বাজার অর্থনীতি। বাজার অর্থনীতিতে সরকার কোনরূপ হস্তক্ষেপ যা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে না। ক্রেতা ও উৎপাদকই বাজার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বাজার অর্থনীতি কি পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও অবাধ বিনিময় সম্পর্কের উপর যে অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত তাকে বাজার অর্থনীতি বলে। বাজার অর্থনীতি এমন এক…
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলামি জীবন বিধানে মানবজীবনের সামগ্রিক সমস্যাবলির সমাধান রয়েছে। বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার মধ্যে ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ইসলামি অর্থনীতি একটি ব্যতিক্রমধর্মী অথচ ন্যায়নীতির পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত সমাজব্যবস্থা, যা একমাত্র মহান আল্লাহর নির্দেশিত বিধি মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। ইসলামি অর্থনীতি কি ইসলামি অর্থনীতি হল এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যার মৌলিক বিধান নীতিমালা এবং কর্ম পদ্ধতি ইসলামি শরীয়তের…
উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য Utility, Demand, Supply and Equilibrium এই অধ্যায় পাঠশেষে আমরা- উপযোগের ধারণা বর্ণনা করতে পারব। উপযোগ, ভোগ ও ভোক্তার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারব। মোট উপযোগ যে প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি তা প্রমাণ করতে পারব। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি চিত্র সহকারে ব্যাখ্যা করতে পারব। দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারব।…
অর্থনীতি একটি সামাজিক বিজ্ঞান। সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্র ব্যাপক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ঔ নীতিবোধের সাথে সম্পর্ক রেখে সমাজবদ্ধ মানুষের কার্যাবলি পরিচালিত হয়। সে কার্যাবলির মধ্যে সামাজিক চিত্র ফুটে উঠে। অর্থনীতি সমাজের একটি দিক মাত্র। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান, যেমন- ১. রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২. ইতিহাস, ৩. নীতিশাস্ত্র, ৪. ভূগোল, ৫. সমাজবিজ্ঞান, ৬. সমাজকল্যাণ ইত্যাদির সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক নিবিড়। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের…
ধনতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ বিদ্যমান। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সম্পদের উৎপাদন, ভোগ, বণ্টনের উপর অবাধ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বিদ্যমান। রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই উৎপাদনকারী কি উৎপাদন করবে, কতটুকু উৎপাদন করা হবে, কার জন্য উৎপাদন করা হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় উৎপাদনের মূলভিত্তি হল মুনাফা। নিম্নে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হল। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা এমন একটি অর্থব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ, ১. ব্যক্তিগত সম্পত্তি পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা। এ অর্থব্যবস্থায় দেশের কলকারখানা, খনি, যন্ত্রপাতি, জমি প্রভৃতি উপাদানের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত থাকে। মালিক তার সম্পত্তির অবাধ ভোগ দখল ও হস্তান্তর করতে পারে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত সম্পত্তি করায়ত্ত ও বৃদ্ধি করার ইচ্ছাই মানুষের কর্মোদ্যমের মূল উৎস। ২. উদ্যোগের স্বাধীনতা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা। সম্পদ ও উৎপাদনের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত থাকার কারণেই ব্যক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করে। ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় উদ্যোগ গ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে বলে একে স্বাধীন উদ্যোগের অর্থনীতিও বলা হয়। ৩. মুনাফার উদ্দেশ্যে উৎপাদন পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন ধারা পরিচালিত হয়। ব্যক্তিমালিকানার জন্যই প্রত্যেক উৎপাদনকারী সর্বাধিক মুনাফা লাভের আশায় উৎপাদন কাজ পরিচালনা করে থাকে। সর্বাধিক মুনাফা অর্জন করাই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনকারীদের একমাত্র লক্ষ্য। ৪. ভোগকারীর সার্বভৌমত্ব ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভোগকারীর সার্বভৌমত্ব বজায় থাকে। ভোগের ক্ষেত্রে ভোগকারীর দ্রব্য নির্বাচনে স্বাধীনতাকেই ভোগকারীর সার্বভৌমত্ব বলা হয়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভোগকারীর চাহিদা ও রুচি অনুযায়ীই উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সুতরাং, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কোন কোন দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত হবে এবং কতটা পরিমাণ উৎপাদন করা হবে এসবই ভোক্তাদের পছন্দমতো স্থির হয়। ৫. অবাধ প্রতিযোগিতা সকল ক্ষেত্রে অবাধ প্রতিযোগিতা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রত্যেক উৎপাদনকারী মুনাফা বাড়ানোর জন্য এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সর্বাধুনিক উৎপাদন, কৌশল ও যন্ত্র প্রচলনের দ্বারা ব্যয় হ্রাসের চেষ্টা করে এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে অপচয় রোধ করার চেষ্টা করে। এতে উৎপাদন ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবন সম্ভব হয় এবং দেশ ও সমাজ উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়। ৬. কর্মের স্বাধীনতা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যক্তির কর্মের স্বাধীনতা রয়েছে। এ অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক এক শিল্প থেকে অন্য শিল্পে এবং এক পেশা থেকে অন্য পেশায় অবাধে চলাচল করতে পারে। এখানে শ্রমিকগণ শ্রমিক সংঘের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের চাকরির বর্তমান সুযোগ সুবিধা সংরক্ষণ এবং আরও অধিক সুযোগ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে। ৭. আয়বৈষম্য ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় আয় ও সম্পদের বণ্টনে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা থেকেই এরূপ বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। যার সম্পত্তির পরিমাণ বেশি তার আয়ও বেশি এবং যার সম্পত্তির পরিমাণ কম তার আয়ও কম। ৮. স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা। এ অর্থব্যবস্থায় ভোগকারীর চাহিদা ও উৎপাদনকারীদের যোগানের প্রভাবেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয়। এভাবে দাম ব্যবস্থার অদৃশ্য হস্তের মাধ্যমেই সমাজের উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার দ্বারা অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়ে থাকে। উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় পরিলক্ষিত হয়। তবে এ অর্থব্যবস্থা মূলত ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্ভরশীল। ফলে যে কোন ব্যক্তি আপন ইচ্ছায় ও নিজের পরিচালনায় শিল্প কারখানা স্থাপন করে ব্যবসায় চালাতে পারে।