অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান
পৃথিবী ও মহাকর্ষ
১। পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর ওজন কত?
উত্তর : পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর ওজন শূন্য।
২। মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কী?
উত্তর : ১ কিলোগ্রাম ভরের দুটি বস্তুকে পরস্পর ১ মিটার দূরত্বে স্থাপন করলে এরা যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তার মনকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
উত্তর : মেরু অঞ্চলে ‘g’ এর মান ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড২।
৪। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার আকর্ষণ বল কোন ধরনের?
উত্তর : পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার আকর্ষণ বল হলো অভিকর্ষ বল।
উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে।
৬। বস্তুর ওজন কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণ বা ‘g’ এর মানের ওপর নির্ভর করে।
উত্তর : অভিকর্ষজ ত্বরণ ‘g’ এর আদর্শ মান ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২।
৮। কোনো বস্তুকে ওপর থেকে ছেড়ে দিলে কোন বলের প্রভাবে ভূমিতে পৌঁছায়?
উত্তর : কোনো বস্তুকে ওপর থেকে ছেড়ে দিলে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে বস্তুটি ভূমিতে পৌঁছায়।
৯। ওজন মাপা হয় কী দিয়ে?
১০। ৭৫ কেজি ভরের একজন মহাশূন্যচারীর ভর চাঁদে কত হবে?
উত্তর : ভর বস্তুর মৌলিক ধর্ম। এটি স্থান নিরপেক্ষ। তাই ৭৫ কেজি ভরের একজন মহাশূন্যচারীর ভর ৭৫ কেজিই থাকবে।
১১। অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কোন অঞ্চলে সবচেয়ে কম?
উত্তর : অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বিষুবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে কম।
১২। ভর কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুতে পদার্থের মোট পরিমাণকে ভর বলে।
১৩। মহাকর্ষ কী?
উত্তর : মহাবিশ্বের সব বস্তুকণাই একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে।
১৪। মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বা অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : মাধ্যাকর্ষণজনিত বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বা অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
১৫। মাধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ কী?
উত্তর : পৃথিবী ও অন্য একটি বস্তুর আকর্ষণকে মাধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ বলে।
১৬। ওজন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাকে বস্তুর ওজন বলে।
১৭। ওজনের এসআই একক কী?
উত্তর : ওজনের আন্তর্জাতিক বা এসআই একক হলো নিউটন।
১৮। ওজনহীনতা কী?
উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর প্রতিক্রিয়া বল না থাকলে বস্তুর ওজন অনুভূত হয় না। এ ঘটনাকে ওজনহীনতা বলে।
অষ্টম অধ্যায়
রাসায়নিক বিক্রিয়া
১। খাবার সোডার সংকেত কী?
উত্তর : খাবার সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। এর সংকেত NaHCO3
২। প্রশমন বিক্রিয়া কী?
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় অম্লীয় ও ক্ষারীয় পদার্থ একে অপরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ পদার্থ তৈরি করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
৩। রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ নিজ নিজ ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
৪। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থ গলিত ও দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে কিন্তু কঠিন অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না, তাদের তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।
৫। লবণ কী?
উত্তর : লবণ হলো নিরপেক্ষ যৌগ, যা এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় এবং লিটমাস কাগজের বর্ণ পরিবর্তন করে না।
৬। ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত কী?
উত্তর : ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত হলো- CH3COOH
৭। লাইম ওয়াটার কী?
উত্তর : পানিতে Ca(OH)2 এর সম্পৃক্ত দ্রবণকেই চুনের পানি বা লাইম ওয়াটার বলে।
৮। রাসায়নিক সমীকরণ কী?
উত্তর : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ক পদার্থ এবং উৎপন্ন পদার্থকে প্রতীক, সংকেত ও চিহ্ন যেমন +, =, ন্ ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
৯। কুইক লাইম কী?
উত্তর : CaO কে কুইক লাইম বলা হয়।
১০। জিংক ও সালফারের বিক্রিয়ায় কোন যৌগ উৎপন্ন হয়?
উত্তর : জিংক ও সালফারের মধ্যে বিক্রিয়ায় জিংক সালফাইড উৎপন্ন হয়।
১১। লেবুর রসে কোন এসিড থাকে?
উত্তর : লেবুর রসে সাইট্রিক এসিড থাকে।
১২। অ্যাসিটিক এসিডের সংকেত কী?
উত্তর : অ্যাসিটিক এসিডের সংকেত হলো— CH3COOH
১৩। শুষ্ক কোষ কী?
উত্তর : যে কোষে শুষ্ক রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায় এবং তা থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তাকে শুষ্ক কোষ বলে।
১৪। প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যেসব বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ওই স্থান দখল করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
১৫। মোম জ্বালালে কয় ধরনের শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : মোম জ্বালালে দুই ধরনের শক্তি উৎপন্ন হয়। একটি তাপশক্তি অপরটি আলোকশক্তি।
১৬। বিয়োজন বিক্রিয়া কী?
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ বিয়োজিত হয়ে তার উপাদানে বিভক্ত হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
১৭। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থ গলিত বা জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তাদের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে তাদের তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।
১৮। চুনাপাথরের সংকেত কী?
উত্তর : চুনাপাথরের সংকেত হলো CaCO3.
১৯। নিশাদলের রাসায়নিক সংকেত কী?
উত্তর : নিশাদলের রাসায়নিক সংকেত NH4Cl
২০। তুঁতে কী?
উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে। এর সংকেত CuSO4.5H2O
২১। উৎপাদ কী?
উত্তর : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যেসব নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয় তাদের উৎপাদ বলে।
২২। ব্যাটারির দস্তার চোঙ কোন তড়িত্দ্বার হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : ব্যাটারির দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িত্দ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে।
২৩। ক্যাথোড কী?
উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় যে তড়িত্দ্বার ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে ক্যাথোড বলে।