বিজ্ঞান

বার্ষিক গতি কাকে বলে?

1 min read

বার্ষিক গতি কাকে বলে?

সূর্যের মহাকর্ষ বলের আকর্ষণে পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর অবিরাম ঘুরছে।পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়।

পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ক্রমাগত পাক খেতে খেতে তার কক্ষপথ ধরে সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করছে। এইভাবে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 6 ঘণ্টা 56 মিনিট 54 সেকেন্ড। এইরূপ গতিকে বলা হয় পৃথিবীর বার্ষিক গতি।

একবার সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একে সৌরবছরবলে।

৪ বছরে একবার ফেব্রুয়ারি মাসকে একদিন বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয় এবং ঐ বছরটিকে ৩৬৬ ধরা হয়। সেই বছরকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলে।

আর্যভট্ট আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি প্রথম আবিষ্কার করেন।

পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে এবং একই সঙ্গে উপবৃত্তাকার পথে একবার সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসে। আপন কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এই পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে। পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে এবং দিন-রাত্রি ছোট-বড় হয়। পৃথিবী সবসময়ই সূর্য থেকে আলো ও তাপ পেয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর সব স্থান বছরের সব সময় সমান আলো ও তাপ পায় না। এর কারণ পৃথিবী হেলানো অবস্থায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে। হেলানো অবস্থায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে বলে কখনো উত্তর মেরু সূর্যের কাছাকাছি আসে এবং দক্ষিণ মেরু দূরে সরে যায়। আবার এক সময় এর ঠিক উল্টোটাও ঘটে। আবার কখনো উত্তর মেরু সমান দূরত্বে থাকে। যখন পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের কাছাকাছি থাকে তখন সে অংশ তাপ ও আলো বেশিক্ষণ ধরে পায়। ফলে পৃথিবীর সে অংশে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। আর তাপ বেশি পায় বলে সে সময়টা হয় সে স্থানের জন্য গ্রীষ্মকাল। এর বিপরীত অংশে তখন তাপ কম পায় বলে শীতকাল হয় এবং আলো কম পায় বলে রাত বড় হয়। বার্ষিক গতির কারণে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ২১ জুন দিন সবচেয়ে বড় ও রাত সবচেয়ে ছোট হয়। ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে বলে ওইদিন দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়।

তথ্য কণিকা

  • ২১ শে জুনঃ এইদিনে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত হয়। দক্ষিন গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। ২১ জুন সূর্য উত্তরায়নের শেষ সীমায় পৌঁছায় একে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।
  • ২৩ শে সেপ্টেম্বরঃ এইদিনে দিবারাত্রি সমান হয়।
  • ২২ শে ডিসেম্বরঃ উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট দিন ও সবচেয়ে বড় রাত হয়। দক্ষিন গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা থাকে।
  • ২১ শে মার্চঃ ২৩ সেপ্টেম্বরের মত এই দিনেও দিবারাত্রি সমান হয়।
  • উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন শীতকাল।
  • উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন শরৎকাল।
  • উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন বসন্তকাল।
  • বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x