কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?
যে সকল মহাশূন্যযান নির্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে তাদের কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর রাশির বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম মহাশূন্যে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠান। যার নাম ছিল স্পুটনিক-১।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, একটি বস্তুকে পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে প্রায় 930 km উপরে তুলে ভূ-পৃষ্ঠের সমান্তরালে 8.05 kms-1 হতে 11.1 kms-1 বেগে মহাশূন্যে উৎক্ষেপন করলে, তা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে।
বর্তমানে বিশ্বে কয়েক’শ কৃত্রিম উপগ্রহ বা তাদের অংশবিশেষ মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ হিসেবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম কি?
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এই উপগ্রহ ২০১৮ সালের ১১ মে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার
কৃত্রিম উপগ্রহের নানাবিধ ব্যবহার আছে। কৃত্রিম উপগ্রহ মানব জীবনের অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে।
- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে উপগ্রহরে পর্যবেক্ষণ সীমার মধ্যে অবস্থিত ভূ-পৃষ্ঠের এলাকা সম্পর্কে বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করা যায়।
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদান এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত সকল গবেষণায় এ সকল কৃত্রিম উপগ্রহ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- কোনো কোনো উপগ্রহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
- বেতার ও টেলিভিশন যোগাযোগে কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহৃত হচ্ছে তাই যে কোনো দেশের অনুষ্ঠান যেকোনো দেশে সরাসরি দেখা যায়।