নয়া বিশ্বব্যবস্থা কাকে বলে? | নয়া বিশ্বব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
নয়া বিশ্বব্যবস্থা কাকে বলে
বিশ শতকের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির পট পরিবর্তন নতুন এক বিশ্ব ব্যবস্থা বা নয়া যুগের সূচনা ঘটায়। সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙনের ফলে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তৃত হয়, ব্যহত হয় বিশ্বের শক্তিসাম্য। বিশ্ব রাজনীতির এই এক মেরুকেন্দ্রিক রূপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ. বুশ নয়া বিশ্বব্যবস্থা বলে অভিহিত করেন।
নয়া বিশ্বব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
নয়া বিশ্বব্যবস্থার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো –
- নয়া বিশ্বব্যবস্থার ফলেই বিশ্বজুড়ে যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল তার অবসানের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব রাজনীতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
- নয়া বিশ্বব্যবস্থার কারণে অন্ধকারে ডুবে থাকা এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলি এক নতুন রূপে জেগে উঠতে শুরু করে।
- নয়া বিশ্বব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বায়নের হাত ধরে অনেক দেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে এবং হচ্ছে।
- নয়া বিশ্বব্যবস্থার এক নতুন উদ্যোগ হলো ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা ইউরোর প্রচলন করা।
- ইউরোপের অনেক দেশ উন্নয়নশীল অবস্থা থেকে উন্নত অবস্থায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়।