কথন দক্ষতা সম্পর্কে নিবন্ধ
কথন দক্ষতা সম্পর্কে নিবন্ধ
- কোনো ভাষার ব্যাকরণ ও শব্দকোষের জ্ঞান।
- কথা বলার নিয়মের জ্ঞান।
- বিভিন্ন সংজ্ঞাপক ঘটনার কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে, তার জ্ঞান।
- কার ক্ষেত্রে কোন সম্ভাষণ ব্যবহার করা হবে, কোন পরিস্থিতিতে কীরকম সম্ভাষণ ব্যবহার করতে হবে, তার জ্ঞান।
- বিভিন্ন রকম বাক কার্যে ভাষা ব্যবহার এবং প্রত্যুত্তর কেমন হবে তার জ্ঞান, যেমন অনুরোধ, ক্ষমা চাওয়া, ধন্যবাদ দেওয়া, আমন্ত্রণ করা ইত্যাদিতে।
- জানতে হবে কোথায় কথা না বলাটাই রীতি অর্থাৎ আবার কখন কথা বলতে হবে, কখন নীরব থাকতে হবে, তার যথাযথ জ্ঞান।
- কার সঙ্গে কথা বলতে হবে তার জ্ঞান।
- বিভিন্ন মর্যাদার বা ভূমিকার ব্যক্তির সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে তার জ্ঞান।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোন ধরণের নির্বাক আচরণ যথাযথ, তার জ্ঞান।
- কথা বলার ক্রমপর্যায়ের জ্ঞান।
- কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, কী ভাবে উত্তর দিতে হয় তার জ্ঞান।
- কী ভাবে কাউকে অনুরোধ করতে হয় তার জ্ঞান।
- কাউকে সাহায্য / সহযোগিতা করতে হলে কীভাবে তা বলতে হবে, বা কেউ সাহায্য চাইলে কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে তার জ্ঞান।
- কীভাবে আদেশ দিতে হবে।
- কী ভাবে শৃঙ্খলা আনতে হবে…. ইত্যাদি ইত্যাদি।
হাইমসের সংজ্ঞাপক দক্ষতার ধারণা চমস্কির দক্ষতার ধারণাকে কোনো মতেই বাতিল করে না। হাইমস দক্ষতার ধারণার অপ্রতুলতার কথা বলেছেন; সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেন নি।
পরিভাষা থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান যে হাইমস দক্ষতাকে নিয়েছেন, তা অস্বীকার করছেন না। অর্থাৎ তা অবিশেষিত নয়। দক্ষতা জৈবিকভাবে নির্ধারিত। কিন্তু কেবলমাত্র দক্ষতা দ্বারা সার্থক সংজ্ঞাপন সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে সংজ্ঞাপন করতে হলে কোনো ভাষীকে জানতে হবে সেই সমাজের রীতি-নীতি, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। এটা জানা একজন ভাষীর পক্ষে অপরিহার্য। সংজ্ঞাপক দক্ষতার মধ্যেই নিহিত রয়েছে দক্ষতার ধারণা।
অর্থাৎ কোনো ভাষার ব্যাকরণ এবং শব্দাবলী তথা শব্দকোষ জানাই শেষ কথা নয়, ভাষীকে সার্থকভাবে সংজ্ঞাপন করতে হলে জানতে হবে সে ভাষার সাংস্কৃতিক ব্যাকরণ। তাহলেই হবে সার্থক সংজ্ঞাপন বা কথন।