‘কিশমিশ’ মুভি রিভিউ – KISHMISH Movie Review In Bangla

MOVIE REVIEW : ( KISHMISH 2022 )
অভিনেতা:
দেব,রুক্মিণী মৈত্র,খরাজ মুখোপাধ্যায়,অঞ্জনা বসু,কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়,জুন মালিয়া
পরিচালক: রাহুল মুখোপাধ্যায়
ছবির ধরন: Bengali, Comedy, Romance
সময়সীমা: 2 Hrs 21 Min

অল্প গল্প:
এই গল্পের শুরুটা রোহিনী ও টিনটিনকে নিয়ে। পড়াশোনায় একেবারে পিছনের দিকে একদিকে দার্জিলিং-এ কলেজে গিয়ে সে প্রেমে পড়ে টপার রোহিনীর। ফেলু দা টিনটিন ও টপার রোহিনীর শেষ মেষ প্রেম হয় কিন্তু, প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় টিনটিনেমর মা। শেষমেষ টিনটিন ও রোহিনী কি পারবে নিজেদের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দিতে?

কেমন হল?
এই গল্পের নায়ক কৃশানু যদিও নিজেকে সে নিজেকে নির্দিধায় ফেলু দা নাম দিয়েছে। কারণ কৃশানু ওরফে টিনটিনের পড়াশোনা একেবারেই মন বসে না যে। তার জগতে রয়েছে কার্টুন চরিত্ররা সে টিনটিনের ঘর দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনারা। দেওয়াল জুড়ে শুধুই নানা ধরনের গ্রাফিটি ও কার্টুনের চিত্রশৈলী। এবার সেই কৃশানু কলেজে গিয়ে প্রেমে পড়ে ক্লাস টপার সুন্দরী বুদ্ধিমতী মেয়ে রোহিনীর। নায়ক নায়িকার দেখা যখন হয়েছে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে পর্যন্ত তো গড়াবেই এতে তেমন কোনও সাসপেন্স নেই। কিন্তু ওই প্রেমে পড়ার পর থেকে শুরু হয় টিনটিন-রোহিনীর জীবনের আসল স্ট্রাগল।

কলকাতার কালীঘাটের ছেলে টিনটিন বাবা গোবলু চট্টোপাধ্যায় (খরাজ মুখোপাধ্যায়) মা উচ্চশিক্ষিতা পুবালী (অঞ্জনা বসু)।পুরানো প্রেমিককে ছেড়ে বিয়ে করেছে কালীঘাটের গোবলু চট্টোপাধ্যায়কে। মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল থেকে শুরু করে চিড়িং ইলিশ কোনও মিলই নেই তাঁদের। অন্যদিকে টি এস্টেটের বড় অফিসার অসীম (কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়)তার স্ত্রী সেমন্তী (জুন মালিয়া) তাঁদের একমাত্র মেয়ে রোহিনী। কলেজের শেষে দিনে রোহিনী ও কৃশানু ঠিক করে এই দুই পরিবারের আলাপ পর্ব মিটিয়ে রাখবেন তাঁরা। রোহিনীর বন্ডিং মায়ের সঙ্গে বেশি বাবা বেশ রাশভারী লোক কাজ নেই মত্ত। মেয়ের আবদারে দেখা করতে আসে কৃশানুর মা-বাবার সঙ্গে ব্যাস তারপর থেকে শুরু যত অশান্তির। এই বিয়েতে বেঁকে বসে নায়কের মা অর্থাৎ অঞ্জনা বসু। কিন্তু কীভাবে শেষ মেষ কৃশানুর মায়ের মন জয় করে রোহিনী ও অসীম অর্থাৎ রোহিনীর বাবার মন জয়ে করে কৃশানু তাঁর জন্য তো সিনেমা দেখতে হবে তবে এই গোটা গল্পের মাঝে রয়েছে বিরাট এক টুইস্ট। প্রথম থেকেই এই ছবি একটা মজার, মিষ্টি প্রেমের গল্প বলেই মনে হবে। কলেজ প্রেম থেকে গান নাচ রোম্যান্সে, ইমোশনে ভরপুর। টিনটিনের লুকে দেব অনবদ্য।

বাড়তি নজর কাড়বে হেয়ার স্টাইল ও চশমা। এই ছবিতে দেব-রুক্মিণীর অফস্ক্রিন রোম্যান্স ফুটিয়ে তুলেছে অনস্ক্রিন রোম্যান্সকে।তবে যে গোটা সিনেমা জুড়ে দর্শককে বিনোদনের ভার কাঁধে তুলেছেন তিনি হলেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। তাঁর মুখে প্রতিটা সংলাপ প্রায় দর্শককে হলে হাততালি দিতে বাধ্য করবে। তেমনই অনবদ্য অভিনয় অঞ্জনা বসু ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের।তবে জুন মালিয়া বিশেষ কিছু করার ছিল না।

আরেকটু চরিত্রটা দেখালে ভালো লাগতে পারত। তবে গোটা ছবিটা জুড়ে রয়েছে আশির দশকের ফ্ল্যাসব্যাক স্টোরি। সেখানেই রয়েছে আসল টুইস্ট। রেট্রো লুকে রুক্মিণীর চলন কথা বলার ধরন এক আলাদা রুক্মিণীকে দেখতে পাবে দর্শক। ছবিতে চারটে গান রয়েছে সব ধরনের মুডের গানই রয়েছে। ইতিমধ্যে ‘তোক তুই বলব না তুমি’ গানটি হিট। তবে কিশমিশ ছবির গল্পটাই লুকিয়ে রয়েছে অরিজিৎ সিং-এর গাওয়া ‘অবশেষে ভালোবেসে’ গানটির মধ্যে। প্রথম ছবিতে সুরকার হিসেবে ভালো কাজ করেছেন নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *