অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা | অনুসর্গকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
অনুসর্গ কাকে বলে?
বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।
বাংলা ভাষায় যে সকল শব্দ বা অব্যয় বাক্যের মধ্যে অবস্থিত বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে আলাদাভাবে বসে শব্দ বিভক্তির কাজ করে তাদের অনুসর্গ বলে।
অনুসর্গের অপর নাম পরসর্গ।
অনুসর্গকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
বিভক্তি ও সংযুক্তির বিচারে অনুসর্গকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১) বিভক্তিহীন অনুসর্গ
২) বিভক্তিযুক্ত অনুসর্গ।
অনুসর্গ দুই প্রকার। যথা –
১) বিশেষ অনুসর্গ এবং
২) ক্রিয়া অনুসর্গ।
অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা
১) অনুসর্গ নির্দেশ করে বাক্যের অর্থগত শৃঙ্খলা।
২) অনুসর্গগুলো বাংলা ভাষায় বিভক্তির কাজ করে।
৩) অনুসর্গগুলো বাক্য গঠনে সহায়তা করে।
৪) পাশাপাশি পদসমূহের অন্বয় সাধনে অনুসর্গের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৫) অনুসর্গ ছাড়া কারকের অর্থ প্রকাশ পায় না।
৬) অভাব, তুলনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করার জন্য অনুসর্গের প্রয়োজন।