উৎপাদনের কাম্য মাত্রা কাকে বলে?
উৎপাদনের কাম্য মাত্রা কাকে বলে?
উৎপাদনের কাম্য মাত্রা হলো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অবস্থার এমন একটা পর্যায় যেখানে গড় ব্যয় সর্বনিম্ন হয়। অর্থাৎ উৎপাদন ব্যয় একক প্রতি সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছে। এরূপ গড় ব্যয় নির্ধারণের সাথে উৎপাদনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সকল ধরনের ব্যয় বিবেচনা করা হয় অর্থাৎ বিভিন্ন স্থায়ী প্রকৃতির ব্যয়; যেমন- বেতন, ভাড়া ইত্যাদির খরচের সাথে অবচয়, সুদ ইত্যাদিও হিসাবে ধরা হয়। এক্ষেত্রে বিদ্যমান কারিগরি অবস্থা ও ব্যবস্থাপকীয় সামর্থ্যের বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া হয়।
উৎপাদনের কাম্য মাত্রার সুবিধা
উৎপাদনের কাম্য মাত্রার নির্ধারণপূর্বক সেই পর্যায়ে উৎপাদন নিয়ে যেতে পারলে নিঃসন্দেহে তা একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে লাভজনক হয়ে থাকে। এই মাত্রা থেকে যেসকল সুবিধা অর্জন করা যায় তা নিম্নরূপঃ
১) প্রতি একক উৎপাদন ব্যয় সর্বনিম্ন হওয়ায় মুনাফার পরিমাণ সর্বাধিক হয়।
২) এরূপ মাত্রায় ব্যয় সর্বনিম্ন হওয়ায় বাজারে প্রতিযোগিতার সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।
৩) প্রতিষ্ঠানের সকল উপকরণের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
৪) ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতার প্রকাশ পায়।
৫) মুনাফা সর্বাধিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মীদের অধিক সুযোগ-সুবিধা দেয়া সম্ভব হয়।
৬) গ্রাহক, মধ্যস্থ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ ছাড় বা সুবিধার ব্যবস্থা করা যায় ইত্যাদি।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “উৎপাদনের কাম্য মাত্রা কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।