উদ্ভিদদেহের সব অংশে এদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ টিস্যুর কোষগুলো জীবিত, সমব্যাসীয়, পাতলা প্রাচীরযুক্ত এবং প্রোটোপ্লাজম দিয়ে পূর্ণ। এই টিস্যুতে আন্তঃকোষীয় ফাঁক দেখা যায়। কোষপ্রাচীর পাতলা এবং সেলুলোজ দিয়ে তৈরি হয়। এসব কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, তখন তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে।
জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ুকুঠুরিযুক্ত প্যারেনকাইমাকে অ্যারেনকাইমা বলে। প্যারেনকাইমা টিস্যুর প্রধান কাজ দেহ গঠন করা, খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং খাদ্যদ্রব্য পরিবহন করা।
লাইসোজোমের কাজ কি? লাইসোজোম পর্দা দ্বারা আবৃত একটি সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু যার অভ্যন্তরে অনেক এনজাইম থাকে। এই অঙ্গাণুটি লাইসোজাইম নামক এনজাইম ক্ষরণ করে জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। লাইসোজোম আন্তঃকোষীয় পরিপাক সহায়তা করে। এছাড়াও এ অঙ্গাণুটি অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে যার কারণে কোষের অন্যান্য অঙ্গাণু এর সংস্পর্শে আসলে হজম হয় না।
অপ্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী কাকে বলে? যে সকল প্রাণীর দেহ গহব্বর সাধারণত আবরণী কলার আস্তরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে, না থাকলে আংশিকভাবে আবৃত থাকে তাদেরকে অপ্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী বলে। যেমন – Ascaris lumbricoides (গোলকৃমি), Ancylostoma duodenale (হুককৃমি) ইত্যাদি।
DNA কি? DNA এর পূর্ণরূপ হলো ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড। ডিএনএ অণুজীবের রাসায়নিক রূপ।
অ্যানিমেলিয়া (Animalia) রাজ্যের বৈশিষ্ট্য এরা নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রোফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে। দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে…
ব্রেনডেথ কি? মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা হারিয়ে যাওয়াই হলো ব্রেনডেথ। ব্রেনডেথ ব্যক্তির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ জরুরী অবস্থায় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। ব্রেনডেথ ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সক্রিয় থাকে।
ক্রোমাটিন জালিকা কী? কোষের বিশ্রামকালে নিউক্লিয়াসে কুণ্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার মতো অংশই ক্রোমাটিন জালিকা। কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন এদের আলাদা আলাদা ক্রোমোজোম হিসেবে দেখা যায়। ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলো বংশগতির গুণাবলি বহন করে।
