বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৪৮ সালে হাভানা সম্মেলনে GATT (General Agreement on Tariffs and Trade) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেয়। এ মন্দা দূর করার জন্য GATT গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে GATT এর সদস্য ছিল ২৩। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৩২ এ উন্নীত হয়। GATT সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসা বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন। এসময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। জাপান বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে যায়। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা দেশগুলোকে সাথে নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য পুনরায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে GATT এর পরিধি, সেবা, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্বের অধিকার পর্যন্ত বাড়ানো এবং সেই সাথে এ বিষয়গুলো পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র GATT এর সদস্য উপরাষ্ট্রগুলো নিয়ে যে সংস্থা গড়ে তোলে তাকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) বলে। ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশসহ ১২৮টি দেশ WTO এর দলিলে স্বাক্ষর করে। বর্তমানে WTO এর সদস্য সংখ্যা ১৫০। WTO (World Trade Organization) এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। প্রতি দুই বছর অন্তর WTO এর সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আজ পর্যন্ত মন্ত্রী পর্যায়ের WTO এর ৬টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। WTO বর্তমান সময়ের বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে সক্ষম বলে মনে করা হয়। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থে WTO এর অবস্থান যেমন হওয়ার দরকার ছিল তা পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) গঠন
WTO এর প্রশাসনিক স্তর কাঠামো তিনটি স্তরে বিভক্ত। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদের ওপর ন্যস্ত। WTO এর মধ্যম স্তরে রয়েছে সাধারণ পরিষদ। এটি মূলত WTO এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এর সদস্যরা জেনেভায় অথবা সদস্য রাষ্ট্রের রাজধানীতে অবস্থান করেন। তৃতীয় স্তরে রয়েছে Service Council, Goods Council, Intellectual Property Council. এসব Council তাদের কাজকর্মের প্রতিবেদন সাধারণ পরিষদের নিকট পেশ করেন।