উদ্বৃত্তপত্র বা স্থিতিপত্র কেন প্রস্তুত করা হয় | ব্যালেন্স শীট প্রস্তুতের উদ্দেশ্য, গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা
উদ্বৃত্তপত্র বা স্থিতিপত্র কেন প্রস্তুত করা হয়
উদ্বৃত্তপত্র বা ব্যালেন্স শীট প্রস্তুতের উদ্দেশ্য, গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হল।
উদ্বৃত্তপত্র একটি কারবার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ও দায়ের বিবরণ বিশেষ। নিচে উদ্বৃত্তপত্রের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।
১. সম্পত্তি ও দায়ের বিশ্লেষণ : উদ্বৃত্তপত্রে সম্পত্তি ও দায়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ থাকে বলে বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
২. আর্থিক অবস্থা : প্রকৃত আর্থিক অবস্থা ভুলে ধরাই হলো উদ্বৃত্তপত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য।
৩. আর্থিক পরিবর্তনের গতি প্রকৃতি : উদ্বৃত্তপত্রের সাহায্যে সম্পত্তি ও দায়ের হ্রাস বৃদ্ধি ও পরিবর্তনের গতি প্রকৃতি সহপ্রতিষ্ঠানের আসল অবস্থা জানা যায়।
৪. কার্যকরী মূলধন নির্ণয় : চলতি সম্পত্তি ও চলতি দায়ের তুলনা করে কার্যকরী মূলধন নির্ণয় করা যায়।
৫. অনুপাত বিশ্লেষণ : উদ্বৃত্তপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের সাহায্যে প্রয়োজনীয় অনুপাত বের করে বিচ্ছিন্ন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়।
৬. বকেয়া অগ্রিম সম্পর্কে ধারণা : উদ্বৃত্তপত্রের মাধ্যমে বকেয়া আয়, বকেয়া খরচ, অগ্রিম আয়, অগ্রিম খরচ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
৭. মূলধন বিনিয়োগ : উদ্বৃত্তপত্রের সাহায্যে জানা যায় মালিকের বিনিয়োগকৃত মূলধন কোথায় বা কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
৮. মূলধন ও লাভ-ক্ষতির অবস্থা : ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিট লাভ নিট ক্ষতি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি এবং দায় মূলধন সম্পর্কে উদ্বৃত্তপত্র সঠিক ধারণা নিতে পারে।
৯. দায় দেনার সঠিক তথ্য : উদ্বৃত্তপত্রের মাধ্যমে দায় দেনার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
১০. মূলধনের সাথে নিট সম্পত্তির সামঞ্জস্যতা : কারবারে বিনিয়োগকৃত মূলধনের সাথে নিট সম্পত্তির সামঞ্জস্যতা আছে কিনা তা উদ্বৃত্তপত্রের সাহায্যে জানা যায়।
১১. উপার্জন ও অন্যান্য ক্ষমতা যাচাই : বিভিন্ন প্রকার সম্পত্তি ও দায়ের তুলনার মাধ্যমে উপার্জন ও অন্যান্য ক্ষমতা যাচাই করা যায়।