আমাদের সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। পরিকল্পনা করা হয় ভবিষ্যৎ কাজকর্মের জন্য অর্থাৎ ভবিষ্যতে কি পরিমাণ কাজ করা হবে? কিভাবে করা হবে? কতদিনের মধ্যে করা হবে? এসব কিছু স্থির সিদ্ধান্ত হলে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ সমাজের মানুষের চাহিদা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। সুতরাং এ পরিবর্তিত অবস্থা যাতে পরিকল্পনার মাধ্যমে খাপখাওয়ানো যায় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ব্যবসায় বাণিজ্য হচ্ছে সমাজভিত্তিক সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হয়। আর এ ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা অন্যতম চাবিকাঠি। সুতরাং সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিকল্পনাও যাতে তার সাথে খাপ খেয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে সেজন্য যখন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে তখনই এ সম্বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবর্তিত অবস্থা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা পরিবর্তন অপরিহার্য। এজন্য প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মচারীরা থাকবে তাদেরকে সেই মনমানসিকতায় গড়ে তুলতে হবে।
যারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উচ্চ স্তরে আছেন তারা সহজে ব্যবসায়ের পরিকল্পনা পরিবর্তনের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করতে পারেন। যেখানে নিচু স্তরের লোকেরা সহজে এটা উপলব্ধি করতে পারে না, এজন্য উঁচু স্তরের কর্মীদের উচিত নিচু স্তরের কর্মীদের সম্বন্ধে এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান প্রদান এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহিগণকে সবসময় চারদিকে নজর রাখতে হবে। কোন তথ্য কিভাবে সমাজকে পরিবর্তন করছে, সে তথ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা অপরিহার্য যে, আমাদের সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। কারণ মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, আয় বাড়ছে, ভোগ বাড়ছে, সঞ্চয় বাড়ছে। এসব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করলে এটা বুঝা যায় যে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও স্থির হতে পারে না। কারণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে সমাজকে নিয়ে, তাই সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও ঐ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে, যা পরিকল্পনার নমনীয়তা।