ইংরেজরা ভারতবর্ষে ব্যবসায় বাণিজ্য করার জন্য আগমন করলেও তারা এখানে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের নীল নকশা আঁকতে থাকে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব হিসেবে সিংহাসনে আরোহণের অল্পকাল পরেই ইংরেজদের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টার কারণে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইংরেজদের বিরোধ দেখা দেয় এবং ১৭৫৭ সালে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং নবাবের পরাজয় ঘটে।
শাসন বিভাগ বলতে কি বুঝায় রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে। শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। শাসন বিভাগ মূলত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে গঠিত।
মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কী ভারতবর্ষে শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতিতে ১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এ আইনের কার্যকারিতা ব্রিটিশ সরকারের কাছে সন্তোষজনক মনে হলেও তা শিক্ষিত, সচেতন ভারতীয়দের তুষ্ট করতে পারেনি। ফলে ভারতীয়দের আইন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি অব্যাহত থাকে। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং মুসলমানদের স্বার্থ ও দাবি আদায়ের জন্য…
নাগরিকতা কাকে বলে? নাগরিকত্ব বা নাগরিকতা হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র বা জাতির একজন আইনস্বীকৃতি সদস্য হিসেবে পাওয়া কোনো ব্যক্তির পদমর্যাদা। একজন ব্যক্তির একাধিক নাগরিকত্ব থাকতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব না থাকে তবে তাকে রাষ্ট্রহীন বলা যায়। মানুষ সমাজে বাস করে। সমাজে বাস করা তার সহজাত প্রবৃত্তি। শাব্দিক অর্থে নগরের অধিবাসীকে নাগরিক বলে।…
সিয়াল স্তর কাকে বলে? ভূত্বকের উপরি অংশে লঘু গ্রানাইট আম্লিক শিলা গঠিত স্তরকে সিয়াল স্তর বলে। সিলিকন (Si), অ্যালুমিনিয়াম (Al) এই স্তরের প্রধান উপাদান বলে এর নাম হয়েছে সিয়াল (Sial)। সিয়ার স্তরটি মহাদেশের নিচে গড়ে 60 কি.মি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত। সিয়াল স্তরের আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.7 – 2.9 গ্রাম/ঘন.সে.মি। সিয়াল মহাদেশীয় শিলার অন্তর্গত। কনরাড বিযুক্তি রেখার…
বেঙ্গল প্যাক্ট বলতে কি বোঝায় খেলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার ফলে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি বিনষ্ট হবার উপক্রম হলে এ. কে. ফজলুল হক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, মোঃ আঃ করিম, মাওলানা আকরম খান, মনিরুজ্জামান ইসলামবাদী, মৌঃ মুজিবর রহমান প্রমুখ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যাদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন এবং হিন্দু-মুসলমানদের দাবি-দাওয়ার প্রশ্নে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। এ চুক্তি ঐতিহাসিক ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামে খ্যাত। চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টি, ১৯২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর কাউন্সিল সভায় এ চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলতে কি বুঝ যে মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য এক ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার যে নীতি সংযোজন করা হয়েছে তাই রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি। ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এ চারটি নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১০, ১১ ও ১২নং অনুচ্ছেদে এসব নীতির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
