সাধারণত কোন দামের উপর তার চাহিদা নির্ভরশীল। কোন দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের ফলে ঐ দ্রব্যের চাহিদার সাড়া দেওয়ার মাত্রাকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে। চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। নিম্নে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা আলোচনা করা হল,
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা
দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত থেকে ভোক্তার আয়ের শতকরা পরিবর্তনের সাথে দ্রব্যের চাহিদায় যে শতকরা পরিবর্তন আসে, এ দু’য়ের অনুপাতকে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা বলে। অর্থনীতিবিদ ববার এর মতে, “ক্রেতার আয়ের পরিবর্তনের ফলে চাহিদা যে হারে সাড়া দেয় তার পরিমাণই হল চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা।”
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়। যেমন-
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা দ্রব্যের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ দ্রব্য স্বাভাবিক বলে আয় ও চাহিদার মধ্যে ধনাত্মক সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ, চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা ny> 0 হয়। দ্রব্য যদি নিকৃষ্ট বা গিফেন হয় তাহলে আয়ের সাথে চাহিদার সম্পর্ক হয় বিপরীতমুখী। সেক্ষেত্রে চাহিদার আর স্থিতিস্থাপকতা ny <0 হয়। একটি চাহিদাসূচি হতে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা বের করে দেখানো হল,
আর (Y) চাহিদার পরিমাণ (Q)
৫০ ১০
১০০ ১৫
আমরা জানি,
সুতরাং, এ ক্ষেত্রে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা (১/২) (ধনাত্মক)। অর্থাৎ, দ্রব্যটি স্বাভাবিক দ্রব্য।
উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা ও চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা মূলত দামের পরিবর্তনে চাহিদার মাত্রাগত পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। স্থিতিস্থাপকতা চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার দুটি দিকনির্দেশ করে। আয় স্থিতিস্থাপকতা মূলত আয়ের পরিবর্তন এবং দম