দ্রব্য পৃথকীকরণ কি
দ্রব্য পৃথকীকরণ কি
বিভিন্ন ফার্ম একচেটিয়া প্রতিযোগিতার অধীনে যেসব দ্রব্য উৎপাদন করে সেগুলো অনেকটা সদৃশ্য হলেও একটিকে অপরটি থেকে পৃথক করা সম্ভব। দ্রব্যের পৃথকীকরণের অর্থ হচ্ছে বিভিন্ন ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্য সমজাতীয় নয়। দ্রব্যের এ বৈশিষ্ট্যর কারণে একচেটিয়ামূলক প্রতিযোগিতায় মনোপলি উৎপাদন লক্ষ্য করা যায়। এ পৃথকীকরণের মাত্রা যত বেশি হয় ততই একচেটিয়া প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নিজের দ্রব্যের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিক্রেতা একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করলেও অন্যান্য ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্যের সাথে তাকে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়। প্রতিযোগিতার কারণে উৎপাদনক্ষেত্রে সর্বনিম্ন গড় ব্যয়ের সুবিধা অর্জনের পূর্বেই তার কাম্য অবস্থা নির্ধারিত হয়, সেখানে শূন্য মুনাফা সম্পন্ন ভারসাম্য অর্জিত হয়। কাজেই গড় ব্যয় রেখার সর্বনিম্ন বিন্দু পর্যন্ত উৎপাদন প্রসারিত করা সম্ভব হয় না। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদন সামর্থ্য অব্যবহৃত থেকে যায়।
দ্রব্যের পৃথকীকরণ কত প্রকার ও কি কি
দ্রব্যের পৃথকীকরণ দু’ধরনের হতে পারে।
১. প্রকৃত পৃথকীকরণ : দ্রব্যের কতিপয় বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে এ পৃথকীকরণ পরিলক্ষিত হতে পারে। যেমন- লেভেল ও ট্রেডমার্কেল পার্থক্য। ডিজাইন পৃথক রং এমনকি গুণাগুণের পার্থক্যও হতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন ফার্ম দ্রব্যের পৃথকীকরণের বিষয়টি আকর্ষণীয় প্যাকেট চটকদার বিজ্ঞাপনের সাহায্যে ও ভোক্তাদের নিকট তুলে ধরতে পারে।
২. কৃত্রিম পৃথকীকরণ : এ পৃথকীকরণ বিবেচিত দ্রব্যের বিক্রয় অবস্থান, ফার্মের নিজস্ব বিক্রয় প্রতিনিধির ব্যক্তিগত ভূমিকা ইত্যাদি দ্রব্যের কৃত্রিম পৃথকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এভাবে বিভিন্ন ফার্ম একচেটিয়া প্রতিযোগিতায় তাদের অসমজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য টানার চেষ্টা করে যাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভোক্তারা আকৃষ্ট হয়।