শিশু ভাতা অনলাইন আবেদন – শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

শিশু ভাতা অনলাইন আবেদন: সম্মানিত ভিউয়ার্স স্বাগতম শিশু মাতৃত্ব ভাতা আবেদন, শিশু ও মাতৃ ভাতার যোগ্যতা টাকার পরিমাণ এবং শিশু পাঠ সম্পর্কে আলোচিত আর্টিকেলে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শিশুকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য একটি ভাতা চালু করেছেন। এই ভাতা স্বল্প মেয়াদের জন্য। মাসিক 350 টাকা হারে দুই বছর অথবা 24 মাসে চারবার টাকা দিয়ে থাকেন। আপনি যদি শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ইচ্ছুক তা হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে জানতে সহযোগিতা করবে।

এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি যানতে পারবেন শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা আবেদন, শিশু ও মাতৃত্ব ভাতার যোগ্যতা, টাকার পরিমাণ এবং শিশু কার্ড সম্পর্কে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অনলাইনে কিভাবে আবেদন করে জমা করবেন, টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়া। আপনি যদি এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে নিচের তথ্য গুলো স্ক্রিপ্ট করে না পরে মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করুন।

শিশু এবং মাতৃত্ব ভাতা আবেদন

হ্যালো বন্ধুরা, বরাবরের মতই আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতা, যোগ্যতা এবং পরিমাণের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তা নিয়েই আজকের আলোচনা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্ভবতী মা এবং দরিদ্র পরিবারের শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ভাতা চালু করেছে। অনেকেই জানেন না কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং কাগজপত্র পেতে কত খরচ হয়।

শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতা

আমরা এই নিবন্ধনে আপনাদেরকে শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয় তার নিয়মাবলী সহ বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাংলাদেশের হত দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শিশুকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি ভাতা সেবা চালু করেছেন। কিন্তু এই ভাতা পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তা অনেকেই জানেনা,ফলে অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

শিশু এবং মাতৃত্ব ভাতা আবেদন

এই নিবন্ধটি থেকে আপনি শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন, শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ, আবেদনের যোগ্যতা এবং চাইল্ড কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে।

শিশু ভাতা আবেদন

শিশু ভাতা আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে অনলাইনে বাংলাদেশ শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সঠিক নিয়মে আবেদন করে সাবমিট করতে হবে। পরবর্তীতে শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলাধীন কর্মকর্তা সত্যতা যাচাই করে আপনি যদি ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে শিশু কার্ড নামে কার্ড দেওয়া হবে। আপনি চাইলেই চেক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম

অনেকেই মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে আবেদন করতে না পাড়ার জন্য অনেকেই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হ‌ওয়া সত্বেও ভাতা নিতে পারেন না। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নিশ্চিন্তে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা আবেদন ফরম এর প্রয়োজনীয় তথ্য এবং অনলাইনে ঝটপট করে নেই মাতৃভাতা আবেদন। শিশু-মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-2022
মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম ২০২২

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম

ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করার পর তা সহস্তে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এ প্রথমে

১.আবেদনকারীর নামমাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন

২.পিতার নাম,

৩.মাতার নাম

৪. স্বামীর নাম,

৫. বর্তমান ঠিকানা

৬. স্থায়ী ঠিকানা,

৭.মোবাইল নাম্বার

৮.জন্মতারিখ,

৯. জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর

১০. জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর,

১১. শিক্ষাগত যোগ্যতা

১২.রক্তের গ্রুপ,

১৩. প্রথম গর্ভধারণকাল

১৪. দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল,

১৫.প্রতিবন্ধী কিনা,

১৬.পেশা,

১৭.মাসিক আয়,

১৮.পরিবারের উপার্জনক্ষম মহিলার সংখ্যা ,

১৯. বসতবাড়ি আছে কিনা ,

 

২০. সরকার প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে পুরন করার পর তারিখ ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিতে হবে।

২১.বর্তমান ঠিকানা

২২.স্থায়ী ঠিকানা

আবেদন ফরম এর সাথে  দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা প্রদান করতে হবে। শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-যোগ্যতা-টাকার-পরিমাণ-2022

ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা’’ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, মার্চ, ২০১১ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। এখন জেনে নেওয়া যাক মাতৃভাতা পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে।

ক. প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)।

খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।

গ. মোট মাসিক আয় ১৫০০/- টাকার নিম্নে।

ঘ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন।

ঙ. কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে।

চ. নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকু নেই।

ছ. উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে।

জ. প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতা প্রাপ্য হবেন।

ঝ. একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন।

ঞ. কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে।

-বর্ণিত শর্তসমূহের মধ্যে কেউ ক, খ ও ছ সহ কমপক্ষে ৫ (পাঁচ)টি শর্ত পূরণ করলে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অধিকতর দরিদ্র অগ্রাধিকার পাবেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভকালীন সনদ
  • নাগরিক সনদ
  • ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ

আপনারা যদি উপরে উল্লেখিত শর্তাবলির মধ্যে কেউ ১, ২, এবং ৭ সহ কমপক্ষে ৫টি শর্ত পূরণ করে থাকেন তবে তার নাম প্রাথমিক ভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সে ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

শেষ কথা, নিবন্ধটির শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করার জন্য আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ। সম্মানিত ভিউয়ার্স আশা করছি উপরের প্রদত্ত শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা কালীন সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। খুব সহজেই ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেতে আপনার ডেক্সটপে বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।

বন্ধুরা সকল ধরনের আপডেট সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *