Telecom

একজন ব্যক্তি কয়টি সিম কিনতে পারবে?

1 min read

একজন ব্যক্তি কয়টি সিম কিনতে পারবে-সম্মানিত ভিজিটরস বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতগুলো সিম ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে সিম কিনতে হলে এনআইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকাটা আবশ্যক। এনআইডি কার্ড ছাড়া কোনো অপারেটর এর সিম কেনা সম্ভব নয়। বন্ধুরা একজন ব্যক্তি চাইলে একাধিক সিম কিনতে পারেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে। তবে একজন ব্যক্তি তার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে সর্বোচ্চ কয়টি সিম কিনতে পারবেন তা কিন্তু নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বিটিআরসি। তাই আমাদের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন একজন ব্যক্তি কয়টি সিম কিনতে পারবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ কয়টি সিম কিনতে পারবে?

পাঠক বন্ধুরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন দেশের সিম নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সেট করে থাকেন। তাই একজন ব্যক্তি সর্বাধিক কয়টি সিম কিনতে পারবেন সেক্ষেত্রে বিটিআরসি’র নির্দিষ্ট নিয়ম ও ঠিক করা রয়েছে।

তাই একজন গ্রাহক সিম নিতে চাইলে অবশ্যই ১৭ডিজিটের জাতীয় পরিচপত্র ও ১০ডিজিটের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করতে হবে (যার যেটা আছে)। এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সাবমিট করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কিনতে পারবেন।

এসএমএস নোটিশ পেলে কি করবেন?

সুপ্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা যেসব গ্রাহকের নামে ১৫টির অধিক সিম রেজিস্টার করা আছে, তাদের কাছে এসএমএস নোটিশ যাবে। যেহেতু একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সিমগুলো আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে। যাদের নামে ১৫টির অধিক সিম মালিকানাভুক্ত আছে, শুধুমাত্র তাদের কাছেই মেসেজ যাবে। মেসেজ পেলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে ফেলতে হবে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখের আগে। সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টার থেকে।
বন্ধুরা আপনারা সিম এর মালিকানা পরিবর্তন না করলে সেক্ষেত্রে ১৫টির অতিরিক্ত সিমগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হবে, যার মানে হলো উক্ত সিমগুলো আপনারা আর ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে মালিকানাভুক্ত কোন নাম্বারগুলো বাতিল হবে তা সম্পর্কে জানার সুযোগ নেই, তাই এইক্ষেত্রে আপনাদের প্রয়োজনীয় নাম্বারটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার আপনারা যদি সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে না চান, সেক্ষেত্রেও একটি সমাধান রয়েছে। চাইলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টারে গিয়ে আপনাদের অপ্রয়োজনীয় নাম্বার ডিরেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কোনো সিম ডিরেজিস্ট্রেশন করার পর উক্ত নাম্বার আর আর আপনাদের নামে নিবন্ধিত থাকবেনা এবং বন্ধ হয়ে যাবে।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x