বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর প্রবন্ধ রচনা – (PDF)
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর প্রবন্ধ রচনা – (PDF)
প্রবন্ধ সংকেত
→ভূমিকা
→বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
→স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
→বাংলাদেশের পথচলা
→পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন
→সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
→উপসংহার
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
ভূমিকা : ২৬শে মার্চ, ২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এক অনন্য মুহূর্ত, এক অবিস্মরণীয়
ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এ দেশটি আজ উদযাপন করছে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী
বাংলাদেশের দৃঢ়চিত্ত, স্বাধীনতাকামী, সংগ্রামী মানুষের কাছে আজকের এ দিনটি গৌরবের অহংকারে ভাস্কর। তাই এ দেশের মানুষ
আজ দীপ্ত প্রাণের উল্লাসে উজ্জীবিত, স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে মাতোয়ারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা : ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) উপর ঔপনিবেশিক শোষণ ও শাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। প্রশাসনযন্ত্র, সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন উচ্চ পদে সর্বত্র ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের প্রাধান্য। এ অংশে শিল্পায়নের মাত্রা ছিল নগণ্য, অবকাঠোমো ছিল দুর্বল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছিল অবিকশিত। উন্নয়নের ছিটেফোটা যা কিছু ছিল তার সবটাই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের দখলে। ব্যাংক-বিমা, শিল্প-কারখানা সবই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। অপরিমিত শোষণ-নির্যাতন-বৈষম্যের শিকার পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) প্রথম প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে । এরপর ধীরে ধীরে দানা বেঁধে ওঠে ছয় দফা স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, ১১ দফা— জনগণের গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। তাদের গভীর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন এবং ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ১০ লক্ষাধিক জনতার সমাবেশে এদেশের স্বাধীনতার জন্য যা কিছু করণীয় তার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে ঘোষণা করেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ২৫শে মার্চ রাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সশস্ত্র আক্রমণ ও গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় উজ্জীবিত এদেশের স্বাধীনতাকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ও আড়াই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয়। পৃথিবীর মানচিত্রে গৌরবের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : পঞ্চাশ বছর পূর্ণ কালকে বলা হয় সুবর্ণজয়ন্তী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হলো ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর এই নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি বার্ষিক পরিকল্পনা। সরকার ২৬শে মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ঘোষণা দিয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট জাঁকজমক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তা পালন করেছে। বিশ্বসভায় গৌরবে সৌরভে ধ্বনিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বাংলাদেশের পথচলা : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এসেই দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং আত্মনিয়োগ করেন যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠনে। এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন, কয়েক লক্ষ বিধ্বস্ত বাড়িঘর নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং কৃষি ও শিল্পকে পুনর্গঠন করে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির সূচনা করেন। উপহার দেন একটি গণমুখী সংবিধান। গ্রহণ করেন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। গঠন করেন কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। সহজ পররাষ্ট্রনীতিতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত করেন বাংলাদেশকে। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে তুলে আনেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বিপথগামী সেনা সদস্য ও ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে জাতির পিতা নিহত হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সোনার বাংলা গড়ার অগ্রযাত্রা ও সময়োপযোগী উদ্যোগগুলো ব্যাহত হয়। কিন্তু ভিন্ন ধারায় উন্নয়ন কার্যক্রম চলতে থাকে। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্থাৎ সমৃদ্ধ দেশ গড়ার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন : বিগত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, দারিদ্র্য
হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, গড় আয়ু ইত্যাদি প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে। নিচে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যগুলো তুলে ধরা হলো। পৃথিবীতে যে ১১টি দেশকে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য উদীয়মান-১১ বলে অভিহিত করা হয় বাংলাদেশ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে। জিডিপির আকার এখন ৩৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েে
বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২,০৬৪ মার্কিন ডলার।
মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪ । বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৪৪.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২০১৮-২০১৯ বছরে ৪০.৫৪ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৫ ভাগে।
খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মাছ-মাংস-ডিম-শাকসবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা 24.421 মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
মানুষের গড় আয়ু ২০১৯-২০২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২.৬ বছর। ৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার কমে এখন প্রতি হাজারে ২৮জন । মাতৃমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১৬৫ জানে।
বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী। জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সপ্তম “ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি (IT) খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল,
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।এগুলোর কয়েকটি ২০২২ সালে এবং বাকিগুলো আগামী বছর চালু হবে।
দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনায়, ক্ষুদ্রঋণের ব্যবহারে, বনায়ন ও বৃক্ষরোপণে, সার্বিক জীবনমানের উন্নতিতে
বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্নিবার গতিতে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ও বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে সারা বিশ্ব ছিল আতঙ্কগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত। কিন্তু যথাসময়ে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন ও ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু সীমিত রাখতে সক্ষম হয়েছে। যে বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব একসময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে উপহাস করত, সেই বাংলাদেশ আজ স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদায় ভাম্বর। যে কারণে খোদ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গৌরবান্বিত করেছে।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন : আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন শুরু হয় ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ। সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ও পালিত হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানগণ উদযাপিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, নেপালের রাষ্ট্রপতি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী উদযাপিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেন। এ ছাড়া জো বাইডেন, শি জিনফিং, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, বরিস জনসন, ভ্লাদিমির পুতিন, জাস্টিন ট্রুডো, ইয়োশিহিদে সুগা, ইমরান খান, পোপ ফ্রান্সিস, আন্তেনিও গুতেরেস এর মতো বিশ্বনেতারা অভিনন্দন বার্তা পাঠান এবং বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ।
২৬শে মার্চ ভোরে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচির সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার তা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীন যুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ, গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাত করা হয় বাংলাদেশের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায়। ১৬ ও ১৭ই ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ নামক সমাপনী অনুষ্ঠান। ১৬ই ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মানুষের সঙ্গে মিলে শপথবাক্য পাঠ করান ।
উপসংহার : স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য। যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সুবর্ণজয়ন্তীতে তাঁর সেই স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অনিঃশেষ অনুপ্রেরণায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ, সৃজনশীল ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের বুকে আমাদের প্রিয় স্বদেশ অচিরেই একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে।