হজের ওয়াজিব কয়টি
আসসালামু আলাইকুম এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি তুলে ধরব হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
তুলে ধরব যাতে করে আপনাদের হজ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন হয় । হজ আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সেতুবন্ধনের একটি মাধ্যম সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর পবিত্র হজ পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ করেছে আল্লাহতালা হজ ফরজ হওয়ার পরে আদায় না করলে প্রত্যেককে বড় গুনাগার হবে এ সম্পর্কে আল্লাহ রাসুল হাদিসে বর্ণনা করেছেন । বান্দর সঙ্গে আল্লাহর সেতু বন্ধনের উপায়ে হল হজ পালন করা । ফরজ ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে হাজীদের প্রথম কাজ হল ইহুরাম বাধা । যাদের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে হজ্ব তাদের জন্য ফরজ ইবাদত । ইহরাম বাধার পর তিনবার পাঠ করতে হয় লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারী কা লাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক । এর অর্থ হচ্ছে আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি হে আল্লাহ আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি আপনার কোন শরিক নেই আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা এবং সাম্রাজ্য আপনার ওই আপনার কোন শরিক নেই ।
হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর, ভ্রমণ করা ইসলামী পরিভাষায় হজ্জ হল নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্মসম্পাদন করা । হজ আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ বিধান ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তিক অন্যতম । হজ্জ হচ্ছে ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন আল্লাহ তরফ থেকে সেই সব মানুষের জন্য হজ্ব ফরজ যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে । রাসূল সাঃ বলেন হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে যেভাবে লোহার উপর থেকে মরিচা দূর করা হয় । রাসূল সাঃ বলেন প্রকৃত হজে পুরস্কার বেহেশত ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না । সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যারা হজ পালন করবে আল্লাহ তা’আলা তাদের হজ কবুল করবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত রহমত ও বরকত । নবী করীম সাঃ আরো বলেন যে ব্যক্তি যথাযথভাবে হজ পালন করবে সে আগের পাপ থেকে নিষ্পাপ হয়ে যায় যেমন সে মাতৃগর্ভ থেকে ভূপৃষ্ঠ হওয়ার দিন নিষ্পাপ ছিল । ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান হলো হজ । হজ ইসলামের অন্যতম সর্বোত্তম ইবাদত । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসের হজের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করেছেন ।একজন হাজী সকল প্রকার অন্যায় বর্জন করে সঠিকভাবে হজে কার্যক্রম আদায় করতে পারলে আল্লাহ তাআলা তাকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের নেয় নিষ্পাপ করে দিবেন । হজ পালনে হাজীদের জন্য ফরজ কাজ ছাড়াও কিছু ওয়াজিব হয়েছে । উল্লিখিত কার সঙ্গে এর মধ্যে কোন একটি ছুটে গেলে হজ আদায় করা যাবে তবে ছুটে যাওয়া কাজের জন্য দম অর্থাৎ কাফফারা স্বরূপ কুরবানী দিতে হবে ।আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ ইবাদত হজ্জ করলে হজের ওয়াজিবগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন আমীন ।
হজের ৭টি ওয়াজিব । হজের ওয়াজিব কয়টি
১. আরাফাতের মাঠে অবস্থান শেষে ফেরার পথে মুজদালিফা নামক স্থানের রাতে উদযাপন করা ।
২. শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা
৩. সাফা- মারওয়া নামক দুটি পাহাড়ে দৌড়াদৌড়ি করা ।
৪. মাথার চুল ছোট করা
৫. বিদেশি হাজীগণের জন্য হজ সম্পাদন শেষে বাড়ি ফেরার সময় পবিত্র কাবা শরীফের তাওয়াফ করা ।
৬. বিদায়ী তাওয়াফ করা
৭. ক্রমধারা রক্ষা করে যমরাত গুলোতে কংকর নিক্ষেপ করা ।
হজ পালনকারী হলে তার উপর ছাগল হাদি জবাই করা ওয়াজিব । আল্লাহতালা বাণী তোমাদের মধ্যে যে কেউ উমরাকে ওদের সঙ্গে মিলিয়ে লাভবান হতে চায় সে সহজলভ্য হাদী জবাই করবে ।কিন্তু যদি কেউ তা না পায় তবে তাকে হজের সময় তিন দিন এবং ঘরে ফেরার উপর সাত দিন এর পূর্ণ দশ দিন রোজা পালন করতে হবে । হজের অবশিষ্ট কার্যাবলী ও কথা মালা হচ্ছে সুন্নত । যেমন সাফমারওয়া পাহাড়ে আরোহন করা, জিকির পড়া, আরাফা রাত্রিতে রাত্রি যাপন করা ।
হজ্ব পারলে অনেকগুলো নিয়ম থাকলেও এর একটিবাদ পড়লে এর জন্য হাদিয়া দিতে হয় । হজ্ব মুসলমানের জন্য ফরজ ।হজ্ব পালনের মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় । তাছাড়া বিভিন্ন হজ পালনের ওয়াজিব কাজ রয়েছে । তাই এগুলো ওয়াজিব কাজ হাজীগণকে অবশ্যই পালন করতে হয় ।
তাই আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে হজের ওয়াজিব সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তুলে ধরলাম যাতে করে আপনারা হজ্ব ওয়াজিব সম্পর্কে পড়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং সেই সাথে ইসলামের হজের ওয়াজিব সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন ।