কম খরচে প্লেনের টিকিট কাটার নিয়ম

 কম দামে প্লেনের টিকিট কাটার নিয়ম

আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের প্লেনের টিকিটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক তুলে ধরব যাতে করে আপনারা সহজ উপায়ে  প্লেনের টিকিট কাটতে সহজ উপায়ে পেতে পারেন । প্লেনের ভ্রমণ কার না ভালো লাগে তবে দূর দূরান্তের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব থেকে সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে  বিমান বা প্লেন । দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মূলত আমরা প্লেন ব্যবহার করে থাকি । তবে বিমান ভ্রমণের অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে বিমানের ভাড়া ব্যয়বহুল হওয়াতে সর্বসাধারণ ভ্রমন করতে পারে না । সঠিক পদ্ধতিতে বিমানের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হতে পারেন । সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে বিমানের টিকিট বেশি দামে কিনতে হয় । মূলত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিমান টিকিটের দাম উঠানামা করে থাকে । বিমান টিকিটের দাম একদম নির্ধারিত নয়  অধিকাংশ সময়ে । টিকিটের মূল্য অবস্থা ভেদে পরিবর্তিত হয়ে থাকে । নতুন ধারা বিমান বহন করতে থাকেন তারা সঠিক তথ্য না জানায় অনেক সময়ই বেশি ভাড়া দিয়ে টিকিট কেটে ফেলেন । আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা বিমানের টিকেট সঠিক উপায়ে কিনতে পারেন না । আপনি সবথেকে কম মূল্যে প্লেনের টিকিট বা বিমানের টিকিট বুকিং করতে পারবেন অতি সহজেই । বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে । 

১.আগে আগে টিকিট বুকিং

কোন ফ্লাইট বুকিং করতে চাইলে আগে সম্ভব বুকিং করে ফেলতে হবে , অন্যথায়  পড়তে হবে । এয়ারলাইন্সের উপর নির্ভর করে ফ্লাইট বুকিং কত আগে করা যাবে এটা নির্ভর করে । এয়ারলাইন্সের বুকিং এর কাঙ্খিত তথ্য আগেভাগেই জেনে নিতে হবে । অন্যথায় যত সময় পর বুকিং না দিলে যত সময় বার হলেই টিকিটের মূল্য বাড়তে থাকবে । বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে সবার আগে টিকিট বুকিং করা । টিকিটের খুব বেশি চাহিদা না থাকলে এবং আসন খালি থাকলে টিকিট কম মূল্যে কেনা সুযোগ দেওয়া হয় । আপনার সময় থাকলে সম্ভব হলে আপনাকে আগেই টিকিট কিনে ফেলতে হবে কিংবা যাত্রার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে । তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডাক্তার আগে আগে টিকিটের দাম বেড়ে যায় ।এক্ষেত্রে দেখা যায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি  যাত্রী হলে  টিকিটের দাম বেড়ে যায় ।

২.প্যাকেজের মাধ্যমে ভ্রমণ করা

বিভিন্ন  ট্রাভেল এজেন্সি গুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্যাকেজ দিয়ে থাকে নির্দিষ্ট মূল্যে জনসাধারণের জন্য যারা বিমান বা প্লেনের জন্য যাত্রা করতে চাই ।  প্যাকেজ এর দিকে বাড়তি লক্ষ্য রাখতে পারেন এবং প্যাকেজে বিমান ভাড়া সহ ভ্রমণের সকল  খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে । তবে জনপ্রিয় কোন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্যাকেজে বিমান টিকিট বুকিং খরচ অনেকটাই কমিয়ে দেয় ।

৩.কানেক্টিং ফ্লাইট টিকিট খোঁজা

আমাদের অনেক সময় কোন গন্তব্যের জন্য সরাসরি ফ্লাইটগুলো খরচ বেশি হয়ে থাকে । এসব ক্ষেত্রে আপনার গন্তব্যের জন্য কানেক্টিং ফ্লাইট খুজতে পারেন বা সরাসরি ফ্লাইট । সরাসরি ফ্লাইট আপনাকে মাঝে কোন এয়ারপোর্টে থেমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিমান পরিবর্তন করতে হবে । এক্ষেত্রে সরাসরি ফ্লাইট টিকিটের মূল্য অনেক বেশি । এছাড়া বড় বড় এয়ারপোর্ট এবং জনপ্রিয় গন্তব্যের ফ্লাইটগুলো করা সবচেয়ে বেশি । মনে রাখবেন বা মনে করবেন সরাসরি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে যে দেশের মাঝপথে অবতরণ করবেন বা ভ্রমণ করবেন সেখানে আবার বাড়তি ভিসা দরকার হবে কিনা তা জেনে নেওয়া জরুরী । আপনি কোন গন্তব্যের জন্য ফ্লাইট সার্চ করবেন তখন ফিল্ডারে সরাসরি ফ্লাইটস অনলি অপশন থেকে ঠিক উঠিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ । সরাসরি ফ্ল্যাটে আপনার অসুবিধা না ও থাকে তবে সরাসরি ফ্লাইট  সাশ্রয়ের সেরা উপায় হতে পারে ।

৪.লুকোনো চার্জ সম্পর্কে খেয়াল রাখা

অনেক সময় বা কম সময়ে কম দামি বিভিন্ন ফ্লাইট এর টিকিট বুকিং লুকানো চার্জ থাকতে পারে । টিকিট বুকিং এর ক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপে বাড়তি চার্জের ব্যাপারে নজর রাখতে হবে যেমন এয়ার ট্যাক্স,  সিট নির্বাচন , ব্যাগে এস ফি, যাত্রা ইন্সুরেন্স বা ট্রাভেল ইন্সুরেন্স, চার্জ ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হয় । যত কম সময়ে ব্যাগ এস নিয়ে ভ্রমণ করবেন ততটাই আপনার জন্য ভালো ভ্রমণ হবে ।

৫.ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট বুকিং

ক্রেডিট কার্ড মূলত ক্রেডিট কার্ডের কোম্পানিতে টাকা উত্তোলন বা পার্সোনাল কাজে টাকা উত্তোলন করা হয় তবে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা দিয়ে থাকে ব্যবহারকারীকে । ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট কেনার জন্য শুরু থেকে বিভিন্ন উপায়ে  টিকিট বুকিং করা যেতে পারে । ক্রেডিট কার্ড থাকলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করায় উত্তম একটি পদ্ধতি । ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট বুক করলে ভালো পলিসি পাওয়া যেতে পারে এয়ারলাইন্সে ।

৬.এয়ার লাইন্স ওয়েবসাইটে নিয়মিত  নজর রাখা

এয়ার লাইন্স বা বিমান সংস্থায় আপনি যে ভ্রমণ করতে চান তাদের  ওয়েবসাইটের দিকে নিয়মিত নজর রাখতে হবে । তাদের ওয়েবসাইট থেকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় পাওয়া যেতে পারে । তাদের ওয়েবসাইট লক্ষ রেখে আপনি সবথেকে কম দামে টিকিট বুক করে ফেলার সুযোগ পেতে পারেন । তাদের ওয়েবসাইট এয়ারলাইন   সাশ্রয়ী  ফ্লাইট এর সন্ধান দিতে পারে ।

৭.থার্ড পার্টি বুকিং ওয়েবসাইট দৃষ্টি রাখা

এই ওয়েবসাইটে থার্ড পার্টি বিভিন্ন বুকিং চোখ রাখতে পারেন কেননা এই ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট হতে সেরা দিন আপনার সামনে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে । এবং বিভিন্ন ধরনের নিজস্ব অফার পাওয়া যেতে পারে । তাদের ওয়েবসাইটগুলো আপনি বিভিন্নভাবে ফলো করতে পারেন যেমন, ফ্লাইট এক্সপার্ট, ট্রিপ. কম, গজওয়ান. ইত্যাদি দেখতে পারবেন তাদের ওয়েবসাইট গুলো ।

৮.সকালবেলা বিমানের বা  প্লেনের টিকিট বুকিং করা

দিনের ব্যস্ততম সময় গুলো মানুষ সাধারণত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় বা কর্মব্যস্ততায় কাটায় তবে সকালের দিকে যাত্রা করা বিমানে টিকিটের মূল্য তুলনামূলক কম হয়ে থাকে । সকাল ৬ আগে আপনি বিমানের টিকিট কিনতে পারেন সাশ্রয়েই মূল্য ভ্রমণের জন্য ।  এক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে যেতে হলে আপনাকে অনেক সকালেই গিয়ে টিকিট  সংগ্রহ করতে হবে ।

৯..কার্য দিবসে ভ্রমণ

বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বন্ধের দিনগুলো এড়িয়ে আপনাকে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে কেননা বন্ধের দিনগুলোতে টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায়  বন্ধের দিনগুলোতে বিমান টিকিটের আলাদা একটি চাহিদা থাকে । শুক্রবার   ও শনিবার এই দিনগুলোতে বিমানের টিকিট না সংগ্রহ করায় ভালো । বাকি দিনগুলো তো আপনি নিশ্চিন্তে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সাধারণত মঙ্গলবার ও বুধবারে বিমান টিকিট সব থেকে কমে পাওয়া যায় কেননা এই দিনগুলোতে সারা বিশ্বে ভ্রমণের পরিমাণ কমে যায় ।শনিবার ছাড়াও রবিবার এড়িয়ে চলতে পারেন ।

আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বিমানের টিকিট কাটার উপায় গুলো জেনেছেন এবং এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা  বিমান বা প্লেনের টিকিট  কম দামে সংগ্রহ করতে পারেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *