স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদ

স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদ

একজন মানুষ প্রথম শিক্ষা পেয়ে থাকে তার মায়ের থেকে বা পরিবারের কাছ থেকে। তারপর শুরু হয় লেখাপড়া ও বই পড়া । বই পড়ার মত আনন্দের চেয়ে মহৎ আনন্দ আর নেই । চোখ ও মনের সংমিশ্রণে মস্তিষ্কে  সাহায্যে পড়তে হয় ।  বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। বই খুললে জ্ঞানের ভান্ডার খোলা হয়। পড়াশোনা না করলে জ্ঞান অর্জন করা যায় না। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্য সাধনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের অজস্র  বই । বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ তার আপন সত্তার পরিচয় পায় । বই পড়া মানুষকে শোকে- সান্তনা, দুঃখে ব্যর্থতায়-  শক্তি যোগায় । বই পড়া মানুষকে স্মার্ট জ্ঞানী করে তোলে। বই  বিশ্বাসের অঙ্গ,  বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে ।

স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব:

একমাত্র বই হচ্ছে এই পৃথিবীতে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোন সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনো শেষ হবে  না, তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলিয়ে রাখবে । সুশিক্ষিত লোক মাত্রই সুশিক্ষিত । আমাদের   পাঠ্  চর্চায় অভ্যাস যে শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটির জন্য ঘটেছে তা সহজেই লক্ষণীয় । বই আমাদের বন্ধু, যা আমাদের সাথে কখনোই প্রতারণা করবে না । শুধুমাত্র একটি ভালো বই মানুষের   মনোজ চক্ষু যেমন খুলে দেয়, তেমনি জ্ঞানও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও   বিকশিত করে মনের ভেতর আলো জ্বালাতে সাহায্য করে । লাইব্রেরীতে লোকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে যথাযথ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। প্রগতিশীল জগতের তাল মিলিয়ে চলার জন্য সাহিত্যচর্চা করা  আবশ্যক । জ্ঞান সবসময় একজন মানুষকে সমৃদ্ধ করে । বই নতুনভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন  করতে ও মস্তিষ্ককে চিন্তা করতে উপযোগী করে গড়ে তোলে । বই পড়ার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে  পারি ।বইয়ের ভিতরে থাকে নতুন জগতে নতুন চিত্র, নতুন বর্ণনা নতুন নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারি।
ফলে আমাদের মন জগতের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । ফলে আমাদের নতুন করে জানার আগ্রহ, মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । বই মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে সুশিক্ষিত করে তোলে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা জ্ঞানের রাজ্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যায় মুহূর্তে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সকল জ্ঞানীগুনির ব্যক্তির সান্নিধ্য লাভ করতে পারি । বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারি । বই পড়ার অভ্যাস আমাদেরকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে । বই পড়ার মাধ্যমে ব্যক্তি জীবন উন্নত হয় এবং আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় । বই পড়ার মাধ্যমে জাতি জীবনী শক্তিকে জাগিয়ে তোলা যায় । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেক ক্ষেত্রে সুশিক্ষা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি লাইব্রেরীতে থাকা বিভিন্ন বই পড়তে হবে। বই মানুষের মনকে   সমৃদ্ধি  ভাবে গড়ে  উঠাতে সাহায্য করে।সাহিত্য চর্চা হচ্ছে শিক্ষা সর্বপ্রধান অঙ্গ, এই অঙ্গ কে সচল রাখতে হলে সুশিক্ষা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই বেশি বেশি বই পড়তে হবে । বইয়ের জ্ঞান একজন মানুষকে সুশিক্ষিত করে এবং প্রকৃত একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে । তাই আমাদেরকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *