সেহরি না খেয়ে কি রোজা হবে
পবিত্র রমজান মাসে আমাদের মুসলমানদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের এবাদত সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকে। কারণ রমজান মাসে আমরা অন্যান্য মাসের তুলনায় একটু বেশি ইবাদত করি। আল্লাহ তালাকে রাজি খুশি করার জন্য এবং আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা এবং জান্নাত প্রত্যাশার জন্যই মূলত আমরা রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদত করি। রমজান মাসের সবচেয়ে বড় এবাদত হচ্ছে রোজা রাখা। আর রোজা সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক প্রশ্ন থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটা প্রশ্ন হচ্ছে সেহরি না খেয়ে রোজা হবে কিনা। সেহরি না খেয়ে রোজা হবে কিনা সে ব্যাপারে ইসলামী স্কলার গণ যা বলেছেন তার নিচে তুলে ধরব।
আমাদের অনেকের মাঝে প্রশ্ন আছে যে সেহরি না খেয়ে রোজা হবে কিনা। প্রশ্নটা এভাবে না করে যদি আমরা অন্যভাবে বলি যেমন যদি কোন ব্যক্তির অতিরিক্ত ঘুমের কারণে সেহরির সময় পার হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে যে এখন ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছে তাহলে তাকে সেহেরী না খেয়েই রোজা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তার রোজা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
আমাদের বাংলাদেশে সুপরিচিত ইসলামি স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ তার একটি বক্তব্যে বলেছেন যে, রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া অত্যাবশক নয়। কেননা সেহেরী খাওয়া কোন ফরজ এবাদত নয় বরং এটা একটা সুন্নত এবাদত। তাই কোন ব্যক্তি যদি সেহেরী না খেয়ে রোজা রাখে তাহলেও তার রোজা হয়ে যাবে।
সেহরি না খেয়ে কি রোজা হবে
তবে ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরি পরিহার না করা। কেননা সেহেরির মধ্যে আল্লাহপাকের বিশেষ বরকত রয়েছে। আল্লাহ পাকের এই বরকত গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সেহরি খাওয়া এবং সেহরি খেয়ে পবিত্র রমজান মাসের রোজার নিয়ত করে রোজা রাখা।
অতিরিক্ত ঘুমের কারণে যদি আমরা ঘুম থেকে না উঠতে পারি অথবা অতিরিক্ত ঘুম নেই তবুও ঘুম থেকে উঠতে পারিনি এটার মানে হচ্ছে আমরা সেহরি খাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম। সেহরি খাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন থাকলে তো আর আমরা সময় মতো সেহরি খাওয়ার জন্য উঠতে পারবো না। অল্প হলেও আমাদের সেহরি খাওয়া উচিত।