ভাস্কুলার বান্ডলের সমন্বয়ে গঠিত টিস্যুতন্ত্রকে বলা হয় ভাস্কুলার টিস্যুতন্ত্র। জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যু নিয়ে এ টিস্যুতন্ত্র গঠিত। জাইলেম ও ফ্লোয়েম পৃথক পৃথকভাবে অথবা একসাথে থাকতে পারে। জাইলেম টিস্যু ও টিস্যুর মধ্যখানে ক্যাম্বিয়াম (cambium) নামক ভাজক টিস্যু থাকতেও পারে, না– ও থাকতে পারে।
প্রতিটি জাইলেম টিস্যু এবং ফ্লোয়েম টিস্যু মিলিতভাবে অথবা পৃথকভাবে একটি ভাস্কুলার বান্ডল গঠন করে এবং এক বা একাধিক ভাস্কুলার বান্ডল নিয়ে একটি ভাস্কুলার টিস্যুতন্ত্র গঠিত হয়। ভাস্কুলার টিস্যুতন্ত্র মূলের অগ্রাংশ থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে পাতার অগ্রাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে কান্ড ও পাতার অংশে জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যু একত্রে একই ব্যাসার্ধে সজ্জিত থাকলেও মূলের অংশে পৃথকভাবে বিন্যস্ত থাকে। মূল থেকে পরিশোষিত পানি ও খনিজদ্রব্য জাইলেম টিস্যু এবং পাতায় উৎপাদিত খাদ্য উপাদান ফ্লোয়েম টিস্যুর মাধ্যমে দেহে পরিবাহিত হয় বলে এদের নাম ভাস্কুলার (পরিবহন) টিস্যুতন্ত্র।
শীর্ষক ভাজক টিস্যুর প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে ভাস্কুলার টিস্যুতন্ত্রের উৎপত্তি হয়। প্রোক্যাম্বিয়ামের বিভাজন শেষে নিচে জাইলেম ও পৃষ্ঠে ফ্লোয়েম সৃষ্টি হয়। প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে প্রথম সৃষ্ট সরু ও লম্বা জাইলেমকে প্রোটোজাইলেম বলে; এরা ট্রাকিড, ভেসেল ও প্যারেনকাইমার সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটোজাইলেম সৃষ্টির পর মেটাজাইলেম সৃষ্টি হয়।
এরা প্রোটোজাইলেমের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড়। জাইলেমের বৃদ্ধি দুভাবে হয়ে থাকে। যখন মেটাজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে অবস্থান নেয়- তখন সে ধরনের জাইলেমকে এক্সার্ক (exarc) বলে। আর জাইলেমের বৃদ্ধি যখন কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে ঘটে তখন তাকে এন্ডার্ক (endarc) জাইলেম বলে। এর ফলে প্রোটোজাইলেম থাকে কেন্দ্রের দিকে আর মেটাজাইলেম থাকে পরিধির দিকে। আর যখন উভয় প্রকৃতিতে জাইলেমের বৃদ্ধি ঘটে তখন তাকে মেসার্ক (mesarc) বলা হয়।