কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায়

কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজ আমরা আপনাদের সাথে কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনার কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। কম্পিউটার ভাইরাস থেকে আপনারা যদি আপনার কম্পিউটার কে সুরক্ষা করতে চান তাহলে অবশ্যই কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় জানা প্রয়োজন। এছাড়া ও কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে আমাদের করণীয় বিষয়গুলো কি কি জানা প্রয়োজন।  চলুন তাহলে কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।

কম্পিউটার ভাইরাস কি

কম্পিউটার ভাইরাস এর পূর্ণরূপ- ভিতাল ইনফর্মেশন রিসার্চ আন্ডার সাইজ। কম্পিউটার ভাইরাস কাকে বলে? কম্পিউটার ভাইরাস হল এমন এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা কিছু লাইনের কোড যা আপনার অজান্তেই আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে কম্পিউটারে থাকা ফাইল, বুট সেক্টর, বা অন্য কোন তথ্য  হ্যাকার এর  কাছে সেই ঘরে। অর্থাৎ কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করার জন্য যে প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার থাকে কম্পিউটার ভাইরাস তাকে বলা হয়। কম্পিউটার ভাইরাস কে  বা কারা তৈরি করে? কম্পিউটার ভাইরাস কিছু অসাধু ব্যক্তি/ প্রোগ্রামার/ হ্যাকার ইত্যাদি তৈরি করে থাকে যারা অসৎ ভাবে আপনার কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে চাই অথবা আপনার ক্ষতি করতে চায়।

কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ায় তার অন্যতম মাধ্যম হলো- ইন্টারনেট, পেনড্রাইভ, সফটওয়্যার, অডিও, ভিডিও, ইমেজ  ইত্যাদি ফাইল থেকেও আক্রান্ত হয়ে থাকে। কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করা  সময়। ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার কতটা যে সতর্কতার সাথে করা উচিত সেই বিষয়ে এখনো এখনো অবহেলা আছে লোকের মাঝে্।

 

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি হয়

  • কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়
  • রিস্টার্ট নেয়
  • ফাইল এনক্রিপ্ট  হয়ে যায়
  • বিনা কারণে হ্যাং মারে
  • বিভিন্ন ধরনের  অ্যাড শো করে ইত্যাদি

 

কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায় গুলো

কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন পদ্ধতিতে কম্পিউটারের সংক্রমণ হতে পারে তার মধ্যে কিছু কমন কারণগুলো নিয়ে সর্তকতা দেওয়া হবে। কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে আলোচনা করা হচ্ছে।

অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা

প্রথমে আপনার কম্পিউটারে একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকা প্রয়োজন যে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে হুট করে কোন ভাইরাস কম্পিউটারে ঢুকলে। আপনার যদি কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ  10 ব্যবহার করেন তাহলে আপনার আলাদা করে কম্পিউটারের কোন এন্টিভাইরাস দরকার পড়বে  না  কিন্তু এর জন্য আপনাকেও সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

অনেকে মনে করে উইন্ডোজ 10 উইন্ডোজ ডিফেন্ডার তেমন কাজ করে না কিন্তু আমি বলব উইন্ডোজ 10 এর ডিফেক্ট আর টি অত্যাধিক ভালো। আমি দুই থেকে তিন বছর হলো কম্পিউটার ব্যবহার করছি এখনো কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করিনা উইন্ডোজ 10 এর যে  ডিফল্ট  এন্টিভাইরাস  আছে এটা অনেক ভালো কাজ করে।

বর্তমানে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার আরও শক্তিশালী হয়েছে যার ফলে আমরা আর নতুন করে এন্টিভাইরাস দরকার পড়ে না। এর কারণ হলো আমি অনেক সতর্কতার সাথে কম্পিউটার ব্যবহার করি ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। আবার আমার এক ফ্রেন্ড এই দুই দিন আগের ঘটনা উইন্ডোজ ব্যবহার করে কিন্তু তার অসতর্কতায় কম্পিউটারের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। যার ফলে তার কম্পিউটার সকল ফাইল এনক্রিপ্ট  হয়ে যায় । তাই নিজের সতর্কতাঃ আগে এন্টিভাইরাস পরে।

যদি আপনি উইন্ডোজ 7 ইউজার হয়ে থাকেন আমি বলব উইন্ডোজ 10 এর সুইচ করে ফেলেন আর যদি তা না হয় তাহলে ভালো একটি ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এটি একটি কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কার্যকারী উপায় বলা চলে।

ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করার সময় সর্তকতা

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়  গুলোর মধ্যে  দ্বিতীয়তে আছে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করা। হ্যাঁ আমরা নিজেদের দরকারে ইন্টারনেট থেকে অনেক সময় বিভিন্ন ফাইল যেমন- ভিডিও গান, মুভি, অডিও  গেমস, বা অন্য কোনো ফাইল ডাউনলোড করে থাকি যার ফলে অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারের ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। আমরা যখন কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড করার জন্য ব্রাউজিং করি এবং অচেনা ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করে থাকে সেইসব ফাইলে ভাইরাস থেকে যদি সাইট  ট্রান্সলেট  না হয়। অচেনা ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না।

সফটওয়্যার ডাউনলোড

আমরা সাধারণত সবাই পেইড সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করি। চিনি না আর যখন আমাদের প্রয়োজন সফটওয়্যার খুঁজে পাইনা। তখন আমরা গুগোল সার্চ করে যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে হুট করে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ফেলি তার মধ্যে ভাইরাস ইনজেক্ট করা হয়। এই জন্য সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য কিছু ট্রান্সলেট সাইট খুজে বের করবেন যেখানে ভাইরাস থাকে না। কিভাবে বের করবেন? গুগোল এ সার্চ দেন পেয়ে যাবেন।

আর যদি সম্ভব হয় ট্রাক সফটওয়্যার ডাউনলোড থেকে দূরে থাকুন এবং ওই সফটওয়্যার এর বিপরীত অল্টারনেটিভ কোন একটা সফটওয়্যার খুঁজে সেটি ব্যবহার করুন। কম্পিউটার ভাইরাস ও ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সজাগ থাকুন।

ফাইল ডাউনলোড করার আগে চেক করা

অনলাইন থেকে ফাইল ডাউনলোড করলে সেটি চেক করে নিবেন তার মধ্যে কোন ভাইরাস প্রবেশ করানো আছে কিনা। আপনি ভাইরাস টোটাল. কম  এর মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড করার পর আগে ফাইলের ইউ আর এল  দিয়ে চেক করতে পারবেন। এখানে কোন ভাইরাস আছে কিনা তারপর যদি দেখেন নাই তাহলে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্ষতিকর সফটওয়্যার  আনইন্সটল  করা

কম্পিউটারের জন্য যেমন দরকারি সফটওয়্যার আছে ঠিক তেমনি কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যার গুলো আমাদের অজান্তেই অন্য সফটওয়্যার ইন্সটল করার ইনস্টল হয়ে যায়। আর এই ধরনের আজেবাজে সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে সেটিও কম্পিউটারের মেমোরি দখল করে তাই এই গুলো আনইন্সটল করে দিন আবার যদি কখনো দেখেন আপনি কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করেছেন তারপর থেকেই বারবার অ্যাড সো  করে তাহলে সেই সফটওয়ারগুলো আনইন্সটল করে দিন।

পপ এডস থেকে সাবধান

পপ অ্যাড হলো এক ধরনের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইনকামের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে লাগিয়ে রাখে যা ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করার সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।পপ  অ্যাড হল সেইসব অ্যাপস যেখানে আপনার ক্লিক করার প্রয়োজন পড়ে না অটো ক্লিক করে অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় আপনারা  এটি হয়তো খেয়াল করেছেন। পপ  সাধারনত মুভি ওয়েবসাইটগুলোতে বেশি দেখা যায় যেগুলো।

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করতে চাইলে এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই পোষ্ট গুলোতে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্রাউজার এক্সটেনশন এড করতে বলে যা ক্ষতিকর হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনাকে আইফোন জিতেছেন এমন এড দেখায় এবং একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে বলে বা কিছু ট্যাক্স দেয় এগুলো আপনাকে করতে বলা হয়। এই ধরনের কোন কিছু দেখলে দূরে থাকুন এবং এটি কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায়  এই সাইট থেকে।

অ্যাড ব্যবহার করুন

বিভিন্ন ধরনের বাজে অ্যাপস গুলো বন্ধ করার জন্য ব্লগার এক্সটেনশন বা সফটওয়্যার ব্যবহার করুন তাতে যেগুলো ক্ষতিকারক আর সেগুলো থেকে রক্ষা পাবেন।

খারাপ ভিডিও দেখা

যারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভিডিও দেখার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন থাকেন তারা ওয়েবসাইটে ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ  ওইসব ওয়েবসাইটগুলোতে ক্ষতিকর ভাইরাস থাকে যা আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে ।

নিজেকে আপডেট রাখুন

কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নতুন  নতুন  মাধ্যমে  আপনাদের কম্পিউটা প্রবেশ করতে। একটি পেনড্রাইভ ভাইরাস আছে সেই পেনড্রাইভ অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করলেও ভাইরাস ঢুকতে পারে যদি এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা যায়। কম্পিউটার ভাইরাস আমাদের কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে তাই বিভিন্ন ধরনের টিপস ট্রিক রিলেটেড বিষয়ের উপর নজর রাখবেন।

তাই আপনারা যদি কম্পিউটার ভাইরাস ও প্রতিরোধের উপায়  সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। তবেই আপনারা কম্পিউটার ভাইরাস ও  প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন। আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি বুঝতে পারবেন। আর আপনাদের যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *