ভিসা কি ? অনলাইনে ভিসা করার নিয়ম
ভিসা কি ? অনলাইনে ভিসা করার নিয়ম
ভিসা হল একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশের অনুমতি ।কোন দেশ একটি বিদেশি নাগরিককে সে দেশে থাকার এবং প্রবেশের অনুমতি দেয় । এই ভিসা ইস্যু করা জন্য প্রতিটি দূতাবাসের একটি কনস্যুলার শাখা রয়েছে । আমি নিশ্চিত আপনি বুঝতে পেরেছেন ভিসার অর্থ কি ?
সাধারণত , বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে । বিদেশিদের জন্য অনেক ধরনের ভিসা পাওয়া যায় , তাই আরো তথ্যের জন্য আপনার দূতাবাস বা কনসুলেট কে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি ধরনের ভিসা হয়ে থাকে ঃ
- ১।ব্যবসায়িক ভিসা
- ২। কার্য ছুটি ভিসা
- ৩। বিনিয়োগকারী ভিসা
- ৪।অভিবাসী ভিসা
- ৫। পর্যটন ভিসা
- ৬। ছাত্র ভিসা
- ৭। কর্ম ভিসা
- ৮। গৃহকর্মী ভিসা
- ৯। ধর্মীয় কর্মী ভিসা
- ১০। সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক ভিসা
এছাড়াও এখন ই ভিসা প্রচলন শুরু হয়েছে , যার মাধ্যমে পুরো ভিসার সংক্রান্ত কাজ অনলাইনে সেরে ফেলা যায় যায় ।
পাসপোর্ট কি ?
একটি পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি যা সাধারণত একটি দেশের সরকার দারা জারি করা হয় । এই নতি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় ক্যারিয়ারের জাতীয়তা এবং পরিচয় নিশ্চিত করে । একটি পাসপোর্টে সাধারণত আপনার নাম , জন্মতারিখ ছবি , স্বাক্ষর এবং অন্যান্য শনাক্তকারী তথ্য থাকে ।
পাসপোর্টে ধরন ঃ
পাসপোর্ট এর ধরনের ভিত্তিতে তিন প্রকার
- ১ ।সাধারণ পাসপোর্ট
- ২। দাপ্তরিক পাসপোর্ট
- ৩। কূটনৈতিক পাসপোর্ট
জেনে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টে রং হলো সবুজ হয়ে থাকে । সাধারণ মানুষেরা ব্যবহার করে থাকে । দাপ্তরিক কাজে পাসপোর্টে রংগুলো নীল । কূটনীতিকদের পাসপোর্ট এর রং লাল ।
পাসপোর্ট আর ভিসার মধ্যে পার্থক্য কি ?
অনেকে আছেন যারা পাসপোর্ট আর ভিসার মধ্যে পার্থক্য বুঝি উঠতে পারেন না । তবে বিদেশ যাওয়ার জন্য দরকার হলে এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে চলুন পার্থক্য কি তা নিচে উল্লেখ করা হলো ঃ
পাসপোর্ট হলো বিদেশে ভ্রমণকারীর জন্য একটি ভ্রমণের নতি যেখানে পাসপোর্ট বহনকারী যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা থাকে পরবর্তী যাচাই করনের জন্য । এই নটি কোন দেশের সরকার তার জনগণের জন্য ইস্যু করে থাকে । একজন মানুষের নিজে জাতীয়তা পরিচয় সনাক্তকরণ জন্য পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে । পাসপোর্টে ধরনের ভিত্তিতে পাসপোর্ট আলাদা হয়ে থাকে ।অন্যদিকে ভিসা হল একটি দাপ্তরিক নতি যেটা একজন ব্যক্তি কে আরেক দেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি দেয় । এটি একটি অনুমতি পত্র । ভ্রমণের জন্য অন্য দেশে ঢোকার কোনো বাধা থাকে তার কাছে যদি অনুমতি থাকে থাকে । আমরা এর মধ্যে জেনে গেছি কি কি ধরনের ভিসা ইস্যু করা হয়ে থাকে । আলাদা করে কোনো ভিসা কাগজ না পাসপোর্ট এর উপরেই কনস্যুলেট সিল মেরে অনুমোদন করে দেওয়া হয় । তা থেকে বোঝা যায় পাসপোর্ট এর জন্য ভিসা লাগে না । তবে ভিসার জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন । ই ভিসা মাধ্যমে বর্তমানে মোবাইলে ইমেইল প্রদানের মাধ্যমে কাজ করা যায় বলে , মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমেছে ।
বাংলাদেশের জন্য খোলা রয়েছে যেসব ভিসা
- ১। সৌদি আরব ভিসা
- ২। কানাডা ভিসা
- ৩। মালয়েশিয়া ভিসা
- ৪। রাশিয়া ভিসা
- ৫। ফ্রান্স ভিসা
- ৬। দুবাই ভিসা
- ৭। আয়ারল্যান্ড ভিসা
- ৮। ওমান ভিসা
- ৯। মালদ্বীপ ভিসা
- ১০।বেলারুশ ভিসা
- ১১। ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা
- ১২। জর্ডান ভিসা
- ১৩। আলবেনিয়া ভিসা
- ১৪।কুয়েত ভিসা
- ১৫। মরক্কো ভিসা
- ১৬। আমেরিকা ভিসা
- ১৭। জাপান ভিসা
- ১৮। থাইল্যান্ড ভিসা
- ১৯। কাতার ভিসা
- ২০। সিঙ্গাপুর ভিসা
এছাড়াও আরো বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে । ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২২ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া অন্য দেশের মধ্যে চলাচল করতে পারে ।
কিভাবে অনলাইনে ভিসার আবেদন করবেন ?
এটি ভিসা পেতে আপনি একটি জন্য আবেদন করতে হবে । বাংলাদেশী ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশি ভিসার ওয়েবসাইটে দিতে হবে এবং সেখান থেকে আবেদন করতে হবে ,
আপনি যদি গুগোল ‘’ বাংলাদেশ ভিসা টাইপ করেন ‘’ আপনি প্রথমে https:// www.visa.gov.bd ওয়েব সাইটে পাবেন ।
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহারকারীর প্রয়োজন
স্টেপ ১। অনলাইন ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং জমা দিন
স্টেপ ২। সম্পূর্ণ ফরম প্রিন্ট করুন
স্টেপ ৩। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ প্রিন্ট করা ফরমটি নিন , ভিসা ফি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিকটস্থ ভিসা অফিস / বাংলাদেশ মিশনে পেমেন্ট করুন।
উপরে দেওয়া লিংকে গেলে সকল নিয়মের একমত পোষণ করে পরবর্তী পেজে গেলে অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে যাবে ।এরপর আপনাকে ৭ স্টেপে ফরম পূরণ করতে হবে ।
স্টেপ ১। ব্যক্তিগত তথ্য
এতে আপনার বা আবেদনকারীর নিজের যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে নাম ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে
স্টেপ ২। ভিসা তালিকাভুক্তির ধরন
এই ধাপে নিজের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করতে হবে ভিসার ধরন কেমন হবে । এটা কি অন এরাইভাল ভিসা , ভিসা এক্সাইটেশন , কোন ভিসা লাগবে না অথবা লাগবে ভিসার আবেদন করেছে তাহলে উল্লেখ করতে হবে ।
স্টেপ ৩। ভ্রমণ নথি
এই অংশে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে । ইস্যু ও মেয়াদ শেষ করতে হবে।
স্টেপ ৪। পেমেন্ট তথ্য
কোন ব্যাংকের মাধ্যমে মাধ্যমে পেমেন্ট নিশ্চিত করা হচ্ছে সেটা সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে । ব্যাংক এর যাবতীয় তথ্য সঠিক হতে হবে । পেমেন্ট পদ্ধতি ভুল হলে ব্যাংকের সাথে এলোমেলো হয়ে যাবে তথ্য । পেমেন্টের তারিখ উল্লেখ করে পরের ধাপে যেতে হবে ।
স্টেপ ৫। ভিসা সংক্রান্ত না এমন প্রয়োজনীয় তথ্য
এখানে নিজের বাবা-মা তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে , তাদের সকল তথ্য পরবর্তীতে যাচাই করতে হবে । কবে ভ্রমণ করেছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে । সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে ।
স্টেপ ৬। ভিসা অফিসের তথ্য
এই ধাপে ভিসা কোন অফিস থেকে সংগ্রহ করা হবে তা জানাতে হবে । এরপর সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে ।
স্টেপ ৭। নথিকরণ যাচাইকরণ
সর্বশেষ এটি এই ধাপে সব কাগজপত্র যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া করতে হয় ।এবং কাগজপত্র এবং অন্যান্য ভোটার আইডি কার্ড দেখে তারপর আপনার ভিসা ওকে হয় । আশা করি আপনারা পাসপোর্ট এবং ভিসার পার্থক্য বুঝে গেছেন ।