দাঁতের সুস্থতার জন্য এড়িয়ে চলবেন যে খাবারগুলো
দাঁতের সুস্থতার জন্য কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
আসসালামু আলাইকুম দাঁতের সুস্থতার জন্য কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। আমাদের অঙ্গের মধ্যে সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হচ্ছে দাঁত । আমরা যখন হাসে তখন আমাদের সর্বপ্রথম দাঁত বের হয় এজন্য আমাদের অবশ্যই দাঁত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রাখতে হবে । দাঁতের সমস্যা হলে আমরাও দোয়া করি মন খুলে বা প্রাণ খুলে হাসতে পারি না।
দাঁতের যন্ত্রণা আপনাকে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে যার ফলে আপনার এত সময় দেখা যায় দাম লইয় প্রচুর পরিমাণে সমসং প্রিমে যায় তখন চিকিৎসা করার কোন উপায় থাকে না তাই অবশ্যই তাদের সমস্যার জন্য হয়ে থাকে খুব দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ করে দিতে হবে ।
কিছু কিছু খাবার বা কিছু কিছু জিনিস আমাদের কালকে খুবই ক্ষতিকারক নাইরে খাবার গুলো দেখি আপনি কিভাবে নিরাপদ থাকবেন এবং আপনার দাঁতগুলো কি নিরাপদ রাখবেন সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। একবার যদি আপনার দাঁতের কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় সেটা ভালো করার জন্য অনেক দিন সময় লেগে যায়। আজকের আলোচনা রয়েছে তাতে সুস্থতার জন্য কোন খাবারগুলো আপনি এড়িয়ে চলবেন সেই বিষয় নিয়ে।
আপনার দাঁত সুস্থ রাখার জন্য যে খাদ্য তালিকা গুলো মেনে চলা খুবি দরকার সেগুলো জেনে নিনঃ
প্রথম কথা হচ্ছে আমাদেরকে অবশ্যই দাঁত গুলো যত্নসহকারে ব্রাশ করতে হবে এবং পর পরিষ্কার রাখতে হবে ইত্যাদি দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় দাঁতের গোড়া ব্যথা করা দাঁতের মাড়ি ব্যথা করা দাঁতে পোকা হওয়াতে ক্যান্সার দাঁতের সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় ইত্যাদি আপনারা যদি দাঁত সুস্থ রাখতে চান তাহলে আমাদের পোস্ট এর সঙ্গে থেকে জেনে নেই দাঁত ভালো সুন্দর মজবুত রাখার জন্য কি কি নিয়ম বা কোন খাবারগুলো কে এড়িয়ে চলতে হবে
আমাদের মধ্যে সবারই একটি কথা রয়েছে যে দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মর্যাদা কি বুঝি না যার কারণে অকালে হারাতে হয় তার তাই দাঁতে সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্রাশ করুন সঠিক সময়ে যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন কারণ সব ধরনের খাবার দাঁতের জন্য উপকারী নয় এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো আপনার দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকারক
তাই এই খাবার গুলো কি এড়িয়ে চলবেন মনে রাখতে হবে এমন কিছু খাবার আপনি এড়িয়ে চলবেন যে খাবারগুলো আপনার দাঁতের সাথে লাগিয়ে থাক লেগে থাকে এটা আসলে খুবই খারাপ যার ফলে আপনার দাঁতের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায় আবার কিন্তু খাবারের চিনি বেশি থাকে যার কারণে দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার জন্মাতে সাহায্য করে তাই অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কে এড়িয়ে চলতে হবে।
আপনি আপনার দাঁত ভালো রাখার জন্য যে খাবারগুলোঃ
ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস যুক্ত লো-ফ্যাট চিজ, দুধ, দই, সবুজ শাক সবজি ইত্যাদি প্রোটিনযুক্ত খাবার ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারগুলো দাঁতের এনামেলের সুরক্ষা করে ফলমূল ও শাকসবজিতে আছে পানি ও ফাইবার, যা মুখের লালা বা স্যালাইভা (Saliva) উৎপাদনে সাহায্য করে এনামেলের ক্ষয় হওয়া, দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা ধুয়ে যাওয়া এবং মুখে স্যালাইভা প্রোডাকশন প্রমোট করতে হেল্প করে পানি। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি করা উচিত।
যে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে আপনার দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হয় সেগুলো জেনে নিনঃ
দাঁত ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কাজের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্যাভাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সব খাবারের জন্য ভালো নয় তাই জেনে নিতে হবে কোন কোন খাবারগুলো দাঁতের ক্ষতি হতে পারে চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন।
চকলেট ও স্টিকি ফুডঃ
দাঁতের সমস্যা বর্তমান যুগে সবারই হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে তাদের চকলেট ক্যান্ডি খাওয়ার কারণে বাচ্চাদের খাবারগুলো খুবই পছন্দ কিন্তু এই খাবারগুলো আপনার বাচ্চার দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলে তাই এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন চকলেট দাঁত কি খুবই ক্ষতি করে ফেলবে চকলেট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং সিঙ্গাম জাতীয় যে খাবার সিটস ইত্যাদি এই খাবারগুলো আপনার বাচ্চার দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলবে।
কোমল পানীয়ঃ
কোমল পানীয় এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। চিনিযুক্ত যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকে সেগুলো দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলে। আমরা জানি চিনি শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক কিন্তু দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকারক তাই দাঁত ভালো রাখার জন্য ছেলেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
বাজারে ডায়েট কোক নামে কিছু ড্রিংকস আছে। অনেকেই চিনি নেই ভেবে সেগুলো পান করেন। কিন্তু এই ড্রিংকসগুলোতে চিনির পরিবর্তে এর সাবস্টিটিউট ফসফোরিক ও সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানগুলো দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়। তাই দাঁতের সুস্থতায় যে কোনো ধরনের কোমল পানীয় খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
স্টার্চি ফুডঃ
আমরা সবাই পা রুটি খেতে খুব পছন্দ করি পাউরুটি সকালের নাস্তা হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি আসলে অনেকেরই জানা নেই পাউরুটিতে কি কি ক্ষতিকারক কি কি ভালো কাজ ইত্যাদি এসব রয়েছে আজকে জেনে নিন পাউরুটি খাওয়ার কারণে আমাদের দাতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় যদি পাল্টি খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকারক শুধু পাউরুটি নয় আলু পাস্তা ভাত ইত্যাদি।
সবই দাঁতের জন্য খুবই মারাত্মক ক্ষতি করে মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো বেশি পরিমাণে আপনার দাঁত থেকে ক্ষতি করবে তাই দাঁত ভালো রাখার জন্য অবশ্যই যে যে খাবারগুলো কে এড়িয়ে চলতে হয় এবং যে খাবারগুলো খাওয়া যাবে না সেই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকুন দেখবেন আপনার দাঁত থাকবে ভালো।
আমাদেরকে আরেকটি কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে খাবার খাওয়ার পরে ব্রাশ করতে হবে। স্টার্চি ফুড খাওয়ার ফলে লালা বা স্যালাইভা স্টার্চকে ভেঙে চিনিতে পরিণত করে। পরে এই স্টার্চ মুখের মধ্যে একটি আঠালো পেস্টের মতো পদার্থে পরিণত হয়, তখন এটি দাঁতের মধ্যে আটকে যায়। এতে ধীরে ধীরে দাঁতের ফাঁকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়। দেখা দেয় ক্যাভিটি। তাই দাঁত সুস্থ রাখতে হলে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে।
কফিঃ
মুখের ভেতরের স্যালাইভা প্রোডাকশনকে কমিয়ে দেয় কফি। আর স্যালাইভার অভাবে মুখের ভেতর শুকিয়ে যায়। এছাড়া কফি ব্যাকটেরিয়া গ্রো করতে হেল্প করে, সেই সাথে কমে যায় দাঁতের এনামেল। ধীরে ধীরে দাঁতে তৈরি হয় ক্যাভিটি, সেনসিভিটি এবং শুরু হয় দাঁতের ক্ষয়।
এই তো জেনে নিলেন, কোন খাবারগুলো আমাদের দাঁতের সুস্থতার জন্য এড়িয়ে চলতে হবে। যে খাবারটাই খাচ্ছেন, সেটি দাঁতের জন্য ভালো কিনা একটু ভেবে নিলে ভালো। সুন্দর দাঁত ও সুন্দর হাসি আমরা সবাই চাই। এই চাওয়ার সাথে সাথে দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে এবং নির্ধারণ করতে হবে সঠিক খাদ্যতালিকা। তাই ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলুন, দাঁতের যত্ন নিন এবং সুস্থ থাকুন।
অ্যালকোহলঃ
অ্যালকোহল যে শরীরের জন্য বেনিফিসিয়াল নয়, সেটা আমরা কমবেশি সবাই জানলেও মানি কয়জন? শরীরের ক্ষতির সাথে সাথে দাঁতেরও ক্ষতি করে এই পানীয়টি। কারণ বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করার কারণে মুখ শুকিয়ে যায়। মুখ শুষ্ক থাকা মানে লালার পরিমাণ কমে যাওয়া।
অথচ দাঁত ভালো রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লালা দাঁতে খাবার লেগে থাকতে দেয় না এবং খাবারের কণাকে ধুয়ে ফেলে। এমনকি দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের অন্যান্য প্রাথমিক লক্ষণগুলোকেও সারিয়ে তুলতে হেল্প করে লালা। তাই মুখ সব সময় হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। আর এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সাথে ওরাল হাইড্রেশন সল্যুশনও ব্যবহার করা জরুরি।