ভিটামিন ই জাতীয় খাবার
মানব জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষই ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আজকে আলোচনা করব ভিটামিন ই জাতীয় খাবার সম্পর্কে। কোন কোন খাবারে ভিটামিন রয়েছে কোন কোন খাবারে ভিটামিন নেই সেই বিষয়গুলো জেনে তারপর আমাদের ভিটামিন খাবারগুলো খেতে হবে। এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকারক তেমনি কম পরিমাণে খাওয়ার ফলে ভিটামিন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিনের সমস্যা ছোট-বড় সবারই হয়ে থাকে তাই ভিটামিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। যাদের ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে তাদের আসলে অনেক বিপদ খুবই মারাত্মক একটি ঘটনা। শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এর প্রয়োজন। ভিটামিন আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করবে এবং ভিটামিন শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করবে। তাই অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিন ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গুলো কি কি।
ভিটামিন ইঃ
ভিটামিন হচ্ছে চর্বিযুক্ত ভিটামিন। ভিটামিন আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে। ভিটামিন মুখের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন শরীরের দুর্বলতা সাহায্য করবে ইত্যাদি। ভিটামিন খুবই কার্যকর তাই অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাবার গুলো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
ভিটামিন ই জাতীয় খাবার জেনে নিনঃ
যদি একটি সুন্দর মিক্র স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চান তাহলে ভিটামিন খাবার খেতে হবে। ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করতে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গুলো আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গুলো শরীরের জন্য খুবই ভালো। ভিটামিন ই জাতীয় খাবারে চর্বি রয়েছে অনেক। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার তেল মাংস মুরগির ডিম শাকসবজি ইত্যাদি সবকিছুতে ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকেন।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গুলোতে কোন খাবার গুলোতে কতটুকু ভিটামিন রয়েছে জেনে নিনঃ
- নাম—– পরিমাণ
- সূর্যমুখী চুলের তেল= ৪১মিলিগ্রাম
- গমের তেল ————১৪৯ মিলিগ্রাম
- কাজুবাদাম========২৬ মিলিগ্রাম
- সূর্যমুখীর বীজ======৩৫ মিলিগ্রাম
- ক্যাপসিকাম———-১২মিলিগ্রাম
- বাদাম থেকে পাওয়া তেল- 39 মিলিগ্রাম
- রাজহাঁসের মাংস– 17 মিলিগ্রাম
- আম—- 0.9 মিলিগ্রাম
- চিনাবাদাম=- 8.3 মিলিগ্রাম
- শালগমের শাক– 29 মিলিগ্রাম
- কুমড়ো বীজ– 22 মিলিগ্রাম
- কিউট– 15 মিলিগ্রাম
- কালোজাম০ 38 মিলিগ্রাম
- স্ট্রবেরি- 0.9 মিলিগ্রাম
- জলপাই- 3 পয়েন্টস মিলিগ্রাম
- সরিষা শাক– 18 মিলিগ্রাম
- ব্রকলি– 15 মিলিগ্রাম
- চিংড়ি মাছ- 22 মিলিগ্রাম
- কাজুবাদাম– 12 মিলি গ্রাম
- পেস্তা বাদাম- 30 মিলিগ্রাম
- কাঠবাদাম— 26 মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই এর উপকারিতাঃ
- ভিটামিন ই আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। ভিটামিন-ই আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন ই কিডনি লিভার সুস্থ রাখবে।
- ভিটামিন-ই আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে মুখের ত্বক সুন্দর রাখবে রূপচর্চার জন্য ইত্যাদি খুবই কার্যকরী।
- ভিটামিন-ই গর্ভকালীন অবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-ই শিশুদের বিকাশ এর জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন। ভিটামিন গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ই শরীর দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে ভিটামিন-ই মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করবে ভিটামিন ই রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
- ভিটামিন-ই চুল সিল্কি রাখার জন্য খুব কার্যকারী।
- শুকনো ত্বকের জন্য চুলকানির জন্য এলার্জির জন্য ভালো কাজ করে।
- ভিটামিন-ই শীতকালে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
- গবেষণায় দেখা যায় যে ভিটামিন ই এক্সাম মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকেন।
- গবেষণায় দেখা যায় যে নখের হলদে হয়ে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো।
ভিটামিন ই যতটুকু দরকারঃ
- একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের প্রতিদিন 15 গ্রাম ভিটামিন প্রয়োজন।
- বয়স– ——–মিলিগ্রাম
- ০৯-১৩ বছর–11 মিলিগ্রাম
- ০৪-০৮ বছর— ৭ মিলিগ্রাম
- ০০-০৬ মাস– ৪মিলিগ্রাম
- ০৭-১২ মাস— 5 মিলিগ্রাম
- ০১-০৩ বছর— 6 মিলিগ্রাম
- 14 বছর বয়সী- 12 মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ
আপনার শরীরের যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অভাব থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- নাম—-শক্তি—- দাম
- Aifa-E—200মিলিগ্রাম— 5 টাকা
- Biovit-E–200 মিলিগ্রাম- তিন টাকা
- Cpvit-E- 200 মিলিগ্রাম- দুই টাকা
- Ecoit-E- 400 মিলিগ্রাম- 6 টাকা
- Liffil_E- 200 মিলিগ্রাম- 4 টাকা