আকিকার নিয়ম ও ফজিলত

আকিকার নিয়ম ও ফজিলত

আকিকার নিয়ম ও ফজিলত

আসসালামুয়ালাইকুম আলোচনা-করবো আকিকার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে।

সন্তানের আকিকা করা মুস্তাহাব। মা বাবা সন্তানের আকিকা করে থাকেন। তাই আকিকা করার নিয়ম ও ফজিলত জানা দরকার। জেনে নিন আকিকা আকিকার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে। সন্তান জন্মের পর  আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা হয়। জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করা মূলত আমরা বলে থাকি। আকিকা প্রতি  উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কেআকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেছেন যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে সে যেন পালন করে থাকে। এর কথা হচ্ছে যদি আপনি আকিকা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আকিকা করতে হবে। ছেলে সন্তানের জন্য    সমমানের আকিকা দিতে হবে। মেয়েদের যদি আকিকা করাতে চান সেক্ষেত্রে একটি ছাগল দিতে হবে। আব্দুর রাজ্জাক হাদিস ৭৯৬১

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে বাচ্চাদের আকিকা বিধান রয়েছে। তোমরা তাঁর পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করে অর্থাৎ বাচ্চাদের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু  চুল দূর করে দাও। বুখারি হাদিস৫৪৭২

আকিকার নিয়ম ও ফজিলত ও আকিকা কোন দিন করা উত্তম হবে জেনে নিনঃ

শিশু জন্ম হওয়ার সাত দিন এরমধ্যে আকিকা করা উত্তম। এক হাদীসে সাতদিনের আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। তিরমিজি হাদিস১৫২২

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার সৌদি আরব হাসান ও হুসাইন 7 দিনে করেছেন সোনা হে আবু দাউদ হাদিস২৮৩৪

শিশু জন্মের পর 7  সাত দিনের দিন আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে যদি আকিকা করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে 14 দিনে ও 21 দিনে আকিকা করাতে পারবেন। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন আকিকা 7 দিনে হওয়া উচিত। তাই আমি আপনার শিশু আকিকা চাই ইচ্ছে সাতদিন করাতে হবে। প্রত্যেকটি হাদীসে রয়েছে আকিকা করার সময় সাতদিনের মধ্যে করা উত্তম আকিকা 7 দিনের মধ্যে করাতে হবে। মুসতাদরাকে হাকেম হাদিস ৭৬৬৯

আকিকা যদি আপনি সাত দিন 14 দিন 21 দিনের মধ্যে না করতে পারেন সেক্ষেত্রে পরে যেকোনো সময় করতে পারবেন।  সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব হচ্ছে বাবার। অবশ্যই অন্য কেউ বা নিজের ও নিজের আকিকা করা জায়েজ রয়েছে।

আকিকার  মাংস কারা খেতে পারবে জেনে নিনঃ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেছেন আকিকার গোশত বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সবাই খেতে পারবেন।  আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনি আরো বলেছেন আকিকার গোশত নিজে খাবেন এবং অন্যকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এবং সদকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনি আরো বলেছেন আকিকার গোশত নিজে খাবেন এবং অন্যকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এবং সদকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৭৬৬৯)

ফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রহ.) বলেন, আমি আতা (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, …আকিকার গোশত তার পরিবার খেতে পারবে এবং হাদিয়াও দিতে পারবে…। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তা কি সদকা করে দিতে হবে? তিনি বললেন, না, তুমি চাইলে খেতে পারো এবং হাদিয়াও দিতে পারো…। ’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬৯; 

ফাতহুল বারি: ৯/৫০৭; ফাতাওয়া বাজ্জাযিয়া: ৩/৩৭০; রদ্দুল মুহতার: ৬/৩২৬; আলমাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত: ৩০/২৭৬; তুহফাতুল মাওদুদ বিআহকামিল মাওলুদ: ৭৮)

আশা করছি যারা আকিকার নিয়ম ও ফজিলত  সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তারা আকিকার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তবুও যদি আকিকার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আরও জানানো প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনার পার্শ্ববর্তী কোন একজন ইসলামী বিশারদ এর সাথে পরামর্শ করুন। প্রয়োজনে আকৃতির মসজিদে নামাজ পরেন সেখানকার ইমাম সাহেবের কাছ থেকে আকিকার নিয়ম ও ফজিলত  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবেন ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *