শেয়ার বাজার কি, শেয়ার বাজার নিউজ, শেয়ার বাজারের সর্বশেষ খবর, শেয়ার কি, শেয়ার মার্কেট, শেয়ার বিজ
শেয়ার বাজার কি?
আপনি কি জানতে চান শেয়ার বাজার কি,বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ কম্পানি এর সাথে সংযুক্ত । শেয়ার বাজার থেকে মানুষ ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে । আপনিও শেয়ার বাজার থেকে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে শেয়ার বাজার কি, এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।কেননা যদি পরিপূর্ণ ধারণা না থাকে তাহলে সফল হওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। আজ আমি শেয়ার বাজার কি,এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দিব। পাশাপাশি খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বলবো।
এই যেমন, মি. মাহমুদ সাহেব এবং মি. হাসান সাহেব দুজন খুব ভালো বন্ধু যারা দুজনই শেয়ার বাজারে ৫ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করেছেন। বছর শেষে দেখা গেল মি. মাহমুদ সাহেব ছক্কা মেরেছেন। অর্থাৎ বড় অংকের টাকা লাভ করেছেন। আর তার বন্ধু রান আউটের দুঃখ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
মি. মাহমুদ সাহেব তার বন্ধুর এই সোচনীয় অবস্থা দেখে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেন যে শেয়ার বাজারে শুধু টাকা বিনিয়োগ (Invest) করলেই চলবে না, ব্যবসা করার আগে,
- শেয়ার বাজারে কি হয় আসলে?
- কিভাবে একটা শেয়ারের দাম বাড়ে?
- কিভাবে একটা শেয়াররে দাম কমে?
- কিভাবে আপনি ভালো শেয়ার চিনবে?
- কখন আপনাকে শেয়ার কিনতে হবে?
- এবং কখন একটি শেয়ার বিক্রি করতে হবে?
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার ভালো একটি ধারণা থাকতে হবে। নতুবা আপনি শেয়ার বাজার থেকে লাভ করতে তো পারবেবই না; উল্টো শেয়ার বাজার থেকে লোকসান গুনতে হবে। যদি মিঃ হাসান সাহেব শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিষয়গুলো জেনে বিনিয়োগ করতেন, তাহলে হয়তোবা তিনি লোকসানের সম্মুখীন হতেন না।
একটা প্রবাদ আছে, “ভাবিয়া করিয়া কাজ করিয়া ভাবিও না” তাই আপনাদের ও বলছি শেয়ার ব্যবসা করার আগে, শেয়ার বাজার কি, সে সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে ব্যবসায়ে নামতে হবে। নতুবা সাঁতার না শিখেই সাগর পাড়ি দেওয়ার মত অবস্থা হবে। শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হলে যে বিষয়গুলো ধারণা থাকতে হবে তা হলোঃ
শেয়ার বাজার কি ?(What is the stock market?)
শেয়ার সব্দের সাথে বাজার সব্দটি থাকা বোজা যাচ্ছে এখানে কিছু বেচা বা কেনা হয়।আক্ষরিক অর্থে এখানে কোন কম্পানির শেয়ার বেচা বা কেনা হয়। মানে এখানে কেউ শেয়ার কিনতে আসে আবার কেউ শেয়ার বিক্রি করতে আসে বা উভয়েই বেচা কেনা করতে আসে।
যে কম্পানি গুলো, ঢাকা স্টক এক্সচেনজ অথবা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেনজ কিংবা উভয় কম্পানিতে তাদের কম্পানি নিবন্ধিত থাকে। ঐসকল কম্পানির শেয়ার বেচা-কেনা করা হয়।বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রনালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এই শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রন করা হয়।
শেয়ার বাজারের লক্ষ ও উদ্দেশ্য কি ?
এর প্রথম লক্ষ ও উদ্দেশ্য
বিভিন্ন কম্পানির ব্যাবসা বাড়াতে সাধারন পাবলিকের কাছ থেকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে।এতে করে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার চাহিদা পুরন হয়।এবং ব্যবসা আরও সুন্দর ভাবে করা যায়।
দ্বিতীয় লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো
সাধারন বিনিয়োগ কারি যারা নিজ ইচছায় বিনিয়োগ করতে চায় এবং তারা তাদের পছন্দের কম্পানির শেয়ার কিনতে পারে।এর ফলে উদ্যোকতা ও বিনিয়োগকারি উভয়ের লাভ হয়।
শেয়ার কি এবং শেয়ার কত প্রকার ?
সাধারনত একটি শেয়ার একটি কম্পানির মালিকানার ক্ষুদ্র অংশ।যে কোন বিনিয়োগ কারি যে কোন কম্পানির শেয়ার কিনে সেই কম্পানির শেয়ার হোল্ডার হতে পারবে।যেকোন কম্পানির মোট মূলধনকে শেয়ার কেপিটাল বলে।মোট মূলধনের টাকাকে ১০ টাকা হিসেবে ভাগ করে যেই সংখ্যা পাওয়া যাবে তাকে মোট শেয়ার সংখ্যা বলে।যেমন একটি কমপানির যদি ২০ কোটি টাকা মোট মোলধন থাকে তাহলে ১০ টাকা হিসেবে ভাগ করলে সেই কম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা হবে ২ কোটি।আপনি যদি কোন কম্পানির একটি শেয়ারও কিনেন তাহলে ঐ কম্পানির আপনি আংসিক মালিক হবেন।একটি কম্পানির ২ কোটি শেয়ার থাকলে কেও যদি ১০ লাখ শেয়ার ক্রয় করে তাহলে সে ঐ কম্পানির ৫ শতাংসের মালিক হবে।বলে রাখা ভাল আমাদের দেশে ২টি স্টক এক্সচেনজ রয়েছে একটি ঢাকা স্টক এক্সচেনজ এবং অন্যটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেনজ ।
স্টক এক্সচেঞ্জ কী এবং কি কাজ করে ?
শেয়ার মিউচুয়াল ফন্ড সরকারি বা বেসরকারি বন্ড আর্থিক সামগ্রি কেনা বেচার মাধ্যমিই হলো স্টক এক্সচেঞ্জ।স্টক এক্সচেঞ্জ সরাসরি কখনই কোন কম্পানির শেয়ার সাধারন বিনিয়োগ কারির কছে কেনা বেচা করে না।এটি কম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীনে নিবন্ধীত অলাভ জনক একটি প্রতিষ্ঠান।শেয়ার বাজরে স্টক এক্সচেঞ্জ এর অনেক কাজ রয়েছে।অল্পতে যদি কিছু গুরুত্ব পূর্ন কাজ উল্লেখ করি তাহলে এভাবে বলা যায় যে শেয়ার বাজারে ইচ্ছুক কম্পানির তালিকা ভুক্ত করে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ।তালিকা ভুক্ত করার সময় যে সব সর্ত দেওয়া হয়েছিল সেই সব সর্তগুলো মেনে চলছে কিনা তা জাচাই বাছাই করা।সদস্যগন আইন মানছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।বিক্রয়ক্রৃত শেয়ারের লেনদেন সম্পাদনের ব্যবস্থা করা।ইচ্ছুক বিনিয়োগ করিদেরকে প্রসিক্ষন দেওয়া।বাইসেল করার জন্য বড় আকারে আইটি স্থাপনা ও সফটওয়ারের ব্যবস্থা করা।শেয়ার একটি পন্য এবং অন্য দিকে পাবলিক লিমিটেড কম্পানি একটি আলাদা সত্বা এদুয়ের মধ্যে বিনিয়োগ কারিদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জ কাজ করে।
মিউচুয়াল ফান্ড কি ?
এটি এমন একটি ট্রাস্ট যা বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।এরপর এটি ইক্যুইটি, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট, এবং অন্যান্য সিকিউরিটিগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করে।প্রতিটি বিনিয়োগকারীর একটি নিজস্ব ইউনিট থাকে। যা ফান্ডের হোল্ডিং-এর একটি অংশকে পরিচালিত করে।মোট বিনিয়োগ থেকে উৎপণ্য লাভ থেকে NAV এর মাধ্যমে গণনা করা হয়।তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু টাকা বাদ দেওয়ার পর বাকি অর্থ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়। সহজ ভাষায় বললে, মিউচুয়াল ফান্ড হলো:বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারীর দ্বারা সংগৃহীত অর্থ দিয়ে তৈরি যে ফান্ড তাকে মিউচুয়াল ফান্ড বলা হয়।
ব্রোকার হাউস কি ?
ব্রোকার হাউজ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করীদের কে বিভিন্ন সাহাজ্য করে থাকে।।যাদের প্রধান কাজ হলো শেয়ার বাজারে ক্রয় বিক্রয় করা।আইপিইউর টাকা জমা নেওয়া। সিডিপিয়ের ফ্রি জমা নেওয়া সহ সাধারন বিনিয়োগ কারির জন্য কাজ করা।একটি ব্রোকার হাউজ একটি ব্যাংকের মতো কাজ করে।আমরা সবাই ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে মুটামুটি কিছুটা হলেও জানি।ব্যাংক সাধারনত মানুষের জন্য ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে।যেমন:ব্যাংক একাউন্ট খোলা,টাকা জমা নেওয়া,ঋন দেওয়া ইত্যাদি কাজ গুলো ব্যাংক করে থাকে।ঠিক তেমনি ব্রোকার হাউজ বিনিয়োগ কারীর জন্য বিও একাউন্ট খুলে থাকে।প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমা নেয়।অনলাইন সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের নির্দেশ অনুযায়ি কেনা বেচা করে থাকে।তাছারা ব্যাংক যেমন লোন দেয় ঠিক তেমনি ব্রোকার হাউজ লোন দেয়।এই লোনকে মার্জিন লোন বলা হয়।সকল ব্রোকার হাউজ একই রকম সেবা দেয় না।তাই বিশেষ ভাবে খুজ খবর নিয়ে আপনাকে একটি ভাল ব্রোকার হাউজ নির্বাচন করে নিতে হবে।
শেয়ার বাজারে লাভ করার উপায়
পুঁজি বাজার বা শেয়ার বাজারে কোন একটি কোম্পানির শেয়ার ভালো কিনা, তার জন্য সাধারণত ৪ টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী। বিষয়গুলো হল:
- কোম্পানির EPS
- কোম্পানির EPS Growth
- কোম্পানির ROI
- কোম্পানির PE Ratio
- কোম্পানির EPS
কোম্পানির EPS
কোম্পানির EPS (Earning per share) বলতে, কোন কোম্পানির শেয়ার প্রতি লভ্যংশকে বুঝায়। কোম্পাটির বছর শেষে নিট লাভকে মোট শেয়ার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে EPS (Earning per share) পাওয়া যায়।একটু সহজ করে বললে, ধরূণ, কোন কোম্পানির বছর শেষে নিট লাভ হয়েছে ১০০০০০ টাকা এবং কোম্পাটির শেয়ার সংখ্যা ১০ হাজার তাহলে EPS হবে ১০০০০০০/১০০০০ = ১০ টাকা। সুতরাং কোম্পানির প্রতি শেয়ারে লাভ ১০ টাকা। অতএব যে কোম্পানির EPS ভালো সেই কোম্পানির শেয়ার ভালো বলা যাবে।
কোম্পানির EPS Growth
EPS Growth কোন কোম্পানির কয়েকটি বছরের EPS এর তালিকা বা চার্ট। যেমন: “ক” কোম্পানির ৪ বছরের ১ম বছর ১০টাকা, ২য় বছর ১১ টাকা, ৩য় বছর ১২ টাকা, ৪র্থ বছর ১২.৫ টাকা। অপরদিকে “খ” কোম্পানির ৪ বছরের EPS ১ম বছর ১০ টাকা ২য় বছর ৯ টাকা, ৩য় বছর ১১ টাকা, এবং ৪র্থ বছর ১০ টাকা। তাহলে সামগ্রিকভাবে বলা যায় “ক” কোম্পানির EPS Growth ভালো। অতএব যে কোম্পানির EPS Growth ভালো সে কোম্পানির শেয়ারও ভালো।
কোম্পানির ROI
কোম্পানির ROI ( Return on Investment) বলতে, কোন কোম্পানি বিনিয়োগ (Invest) এর বিপরীতে কতটকু Return বা লাভ করছে। কোম্পানির বছর শেষে যে নিট মনুাফা হয় তার থেকে কর (Tax) বাদ দেওয়ার পর যে মুনাফা (profit) থাকে তাকে কোম্পানির মোট সম্পদ (Total Assets) দিয়ে ভাগ করলে যে মূল্য পাওয়া যায় তাকে ১০০ দিয়ে গুন করে ROI বের করা হয়।যেমনঃ কোন কোম্পানির নিট মুনাফা কর বাদ দেওয়ার পর ১০ লক্ষ টাকা এবং কোম্পানির মোট সম্পদ আছে ৫০ লক্ষ টাকা তাহলে ROI= ১০লক্ষ/৫০লক্ষ *১০০=২০%। সুতরাং কোন কোম্পানির ROI যত বেশি হবে ঐ কোম্পানির শেয়ার তত ভালো।
কোম্পানির PE Ratio
একটি ভালো শেয়ার চেনার জন্য PE Ratio ( Price Earning Ratio) জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। PE Ratio হল কোন একটা শেয়ার এর বাজার দর (Market Price) কে সেই শেয়ার এর লাভ দ্বারা ভাগ করলে যা পাওয়া যাবে তাই PE Ratio।একটু সহজ করে বলি, ধরুণ ১টি শেয়ার বাজার থেকে আপনি ১০০ টাকা দিয়ে কিনলেন এবং শেয়ার থেকে লাভ হবে ৪ টাকা তাহলে PE Ratio =১০০/৪ = ২৫। এর মানে হল আপনি যে ১০০ টাকা দিয়ে শেয়ারটি কিনলেন এই ১০০ টাকা আপনাকে ফেরত পেতে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে যদি ৪ টাকা লাভ হয়।অতএব বলা যায়, যত কম সময়ের মধ্যে আপনি বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত পাবেন ততই ভালো। সাধারণ ভাবে বলা যায়, যে কোম্পানির PE Ratio যত কম হবে সে কোম্পানির শেয়ার তত ভালো হবে।
এখন আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এগুলো আমরা পাবো কোথায়? এগুলো কি আমাদের ক্যালকুলেশন করতে হবে?
উত্তর হল: না আপনাদের কিছুই করতে হবে না একটি কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সমস্ত কিছুদেওয়া থাকে। আপনাদের শুধুকষ্ট করে ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে হবে। তাহলেই আপনারা ভালো শেয়ার খুজে পেতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার বাজার কি? শেয়ার এর দাম বাড়ে এবং কমে কেন?
পুঁজি বাজারে অথবা শেয়ার বাজারে দেখা যায় কোন একটা শেয়ার দাম কখনও বাড়ে আবার কখনও কমে। কি কি কারণে একটা শেয়ার এর দাম বাড়ে আর কি কারণেই বা একটা শেয়ার এর দাম কমে সেটা অনেকেরই অজানা এবং জানতে আগ্রহী থাকেন। শেয়ার বাজারে শেয়ার এর দাম বাড়া এবং কমা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা।
আমরা জানি, যখন বাজারে কোন একটি পণ্যের চাহিদা (Demand) বাড়ে তখন সেই পণ্যের দামও এমনিতেই বেড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী যদি পণ্যের যোগান (Supply) ঠিকমত না থাকে তাহলে পণ্যের দাম বেড়ে যায় যেমন বলা যায় মাঝে মাঝেই পেয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় এর কারণ মানুষের চাহিদা (Demand) রয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় পেয়াজের যোগান না থাকায় দাম বেড়ে যায় তাই ২০ টাকা কেজির পেয়াজ ১২০ টাকা করেও খেতে দেখা গিয়েছে।
ঠিক, তেমনি ভাবেই শেয়ার মার্কেটেও যখন কোন একটি শেয়ার এর বিপুল চাহিদা তৈরী হয় কিন্তু শেয়ার সীমিত থাকে তখন সেই শেয়ার এর দাম বেড়ে যায়। আবার অন্যদিকে শেয়ার যখন অনেক মানুষ বিক্রি করতে থাকে তখন মার্কেটে ঐ শেয়ারের যোগান বেড়ে যায় কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা থাকে না উল্টো বিক্রেতা বেশি তখন ঐ শেয়ারের দাম কমে যা।
একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে বিষয়টি বুঝা যাক : ধরূণ ক কোম্পানির ১০০টি শেয়ার কেনার জন্য ২০০ জন ক্রেতা রয়েছে অর্থাৎ চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু শেয়ার অনেক কম এতে করে ক কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে যাবে আবার কোন একটি কোম্পানির শেয়ার যদি বাজারে বেশি পরিমান বিক্রয় হয় আর যদি ক্রেতা না থাকে তাহলে শেয়ার এর দাম পড়ে যায়। অর্থাৎ শেয়ারের দাম বাড়া এবং কমার সাথে চাহিদা (Demand) এবং যোগান (Supply) এর সম্পর্ক রয়েছে।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো যদি আপনারা বুঝে থাকেন তাহলে আশা করি, শেয়ার বাজারে কি কাজ হয় এবং কিভাবে কাজ হয় তা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ভালো ধারণা পেয়েছেন।