৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানব। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত একটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই ।কিন্তু ছয় মাসের পর থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। কারণ এই বাড়তি খাবার গুলো শিশুর শক্তি জোগাতে, সুঠাম দেহ গঠনে, দেহের ক্ষয়পূরণে, মেধা বিকাশে এবং শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । তাই ৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিন। ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে একটু শাক, গাজর, ডাল, টমেটো, সামান্য তেল দিয়ে খিচড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। এছাড়া মাছ বা মুরগির খিচুড়ি, সুজি, পায়েস, ডিমের পাতলা নরম হালুয়া, ফলের রস, সবজি সিদ্ধ করে ম্যাস করে শিশুকে সুস্বাদু খাবার বানিয়ে খাওয়াতে হবে
শিশুদের জন্য এই খাবারগুলো কিভাবে তৈরি করবেন, কি কি উপাদান থাকে এবং কখন খাওয়াবেন এসব বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।
প্রথমে দেখে নেয়া যাক ৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
মাছ-মাংস, ডিম
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় মাছ-মাংস, ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার, দুধের তৈরি খাবার খাওয়াতে পারেন। ডিম ও দুধ শিশুর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়া মাছ ও মাংস খাওয়ানো যেতে পারে।
সবজির পিউরি বা মণ্ড
6 মাস বয়সী শিশুকে ধীরে ধীরে সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে ।সবজির মধ্যে মিষ্টি আলু,আলু,গাজর,মিষ্টি কুমড়ো, ফ্রেঞ্চ বিনস বা মটরশুটি ইত্যাদিকে ভাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে এবং সেগুলি বাচ্চাদেরকে হয় আঙ্গুলে তুলে নিয়ে খাবার মত করে তা না হলে পিউরি আকারে দেওয়া যেতে পারে।
ফলের পিউরি বা মণ্ড
6 মাস বয়সী শিশুদের সাথে প্রথম পরিচয় করানোর সময় ফল গুলিকে ভাপিয়ে নেওয়া,এবং সেগুলিকে চটকিয়ে অথবা পিউরি বা মণ্ড করে নেওয়া উচিত। ফলের মধ্যে আপেল,কলা,ন্যাশপাতি,অ্যাভোকাডো,সবেদা এবং পিচ দেওয়া যেতে পারে।
কলা, বেদেনা, আঙুর ও আপেল
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় ফলের মধ্যে কলা দিয়ে প্রথম খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। পরে বেদেনা, আঙুর ও আপেল জাতীয় ফলগুলো রস করে খাওয়ানো যেতে পারে।
পাকা পেঁপে
শিশুকে পাকা পেঁপে খাওয়ানো যেতে পারে। পাকা পেঁপের রস করে আর কাঁচা পেঁপে সিদ্ধ করে 6 মাস বয়সী শিশুদের কে খাওয়াতে পারেন।
চালের সুজি
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় সামান্য দুধ নিয়ে চালের সুজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। সুজি অনেকেটা ভাতের কাজ করে। যা আপনার শিশুর শক্তি জোগাবে।
আলু, দুধ, বাদাম
শিশুকে আলু সিদ্ধ করে তার সঙ্গে দুধ ও বাদাম মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এটা শরীরের ভালো কাজ করে।
কলাই জাতীয় ডালের স্যুপ
বিভিন্ন ধরণের কলাই বিশেষ করে ডালকে জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে পারেন এবং শিশুদেরকে সেই স্যুপটি দিতে পারেন।
ভাতের জাউ
শিশুদের জন্য ভাত হল কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের একটা ভাল উৎস।বুকের দুধ অথবা ফরমূলা দুধের সাথে ভাঙ্গা ভাতগুলি মিশিয়ে শিশুদের ভাতের পোরিজ বা জাউ হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।
দানা শস্যের পোরিজ বা জাউ বা মণ্ড
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় এটি অন্যতম আকটি আইটেম। পোরিজ আবার বিভিন্ন রকম দানা শস্যের একক রূপ দিয়েও যেমন গম,মিলেট,বার্লি,ওট ইত্যাদি দিয়েও তৈরি করা যেতে পারে।মণ্ডটি তৈরী করার জন্য দানা শস্য গুলিকে একসাথে কিম্বা পৃথক ভাবেও শুকিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া যেতে পারে।
সবজির স্যুপ
বিভিন্ন ধরণের সবজিকে বেশ কিছু সময় ধরে জলে ফুটিয়ে ঘন করে নিয়ে তার স্টকটিকে স্যুপ হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।
দই
যদিও এক বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের গরুর দুধ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় না,তবে মিষ্টি ছাড়া দইকে মাঝারি পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে পিউরি বা মন্ডের বিকল্প হিসেবে।
এগুলোই হল 6 মাস বয়সী শিশুর খাবার তালিকা। এছাড়াও আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার 6 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবার তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন।
এখানে কিছু পুষ্টিকর উপাদানের উল্লেখ করা হল যেগুলি 6 মাস বয়সী শিশুর খাদ্যে থাকা উচিত।
ক্যালসিয়াম – হাড় এবং দাঁতের বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
আয়রণ – আয়রণ শরীরের উন্নয়ণশীল অংশ গুলিতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
জিঙ্ক – জিঙ্ক কোষের মেরামতে,গঠনে এবং বৃদ্ধির উন্নতি ঘটায়।
ফ্যাট – ফ্যাট শিশুর দেহে ত্বকের নিচে আস্তরণ গঠন করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশকে উদ্দীপিত করে।
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা – এগুলি প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তি সরবরাহ করে।
প্রোটিন– প্রোটিন কোষের গঠনকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন – শিশুর বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভিটামিন গুলি বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখে।ভিটামিন A, B1, B2, B3, B6, B12, C, D, E এবং K –এগুলি একটি শিশুর জন্য অপরিহার্য।
মিনারেল বা খনিজ – সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মত খনিজ গুলি সরাসরি একটি শিশুর বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
আপনার 6 মাস বয়সী শিশুর কতটা খাবার খাওয়া উচিত?
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা তো করবেন অবশ্যই তবে কিছু বিষয় জানা থাকা জরুরী। একটা ছয় মাসের শিশু প্রাথমিক ভাবে বুকের দুধ বা ফরমূল বা কৌটার দুধ খায়। তাকে শক্ত খাবারের সাথে পরিচয় করানো যেতে পারে প্রাতঃরাশের সময় অথবা দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের সময়।কেবলমাত্র একটি ফল বা সবজির সাথেই তার পরিচয় করান এবং সেটি আপনার বাচ্চাকে কমপক্ষে তিন দিন খাওয়ান।সে যদি ভালো প্রতিক্রিয়া জানায় এবং কোনোরকম এলার্জির লক্ষণ প্রকাশ না পায়,তখন আপনি সেই ফল বা সবজিটিকে তাকে খাইয়ে যেতে পারেন এবং তার সাথে অন্যান্য খাবার গুলিও খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।
অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ্ররা শিশুদের এক বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নুন এবং চিনি দেওয়া এড়িয়ে চলার সুপারিশ করেন যেহেতু এগুলি কিডনির উপর অবাঞ্ছিত চাপ প্রদান করে।
আপনার সন্তানের যদি বিশেষ কোনো খাদ্যে এলার্জি হয় কি করবেন?
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে সতর্ক থাকুন। এলার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটতে দেখা যায় ডায়রিয়া,বমি,র্যাশ,কোষ্ঠকাঠিণ্য অথবা পেটে ব্যথার মাধ্যমে এবং যা উদ্বেগের জন্যও একটা কারণ।আপনি আপনার সন্তানকে যে খাবার দিচ্ছেন তাতে যদি তার কনওরকম এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে তা তাকে ইতিমধ্যেই দেওয়া বন্ধ করুন।যদি এলার্জির প্রতিক্রিয়া অবিরত থেকেই যায় তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারি সহায়তার প্রয়োজন আছে।যদি আপনার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তবে বেশ কয়েক মাস পরে সেগুলিকে পুনরায় দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা বা চার্ট / খাদ্য পরিকল্পনা
আপনি আপনার ছোট্ট সোনার জন্য একটা শিশু খাদ্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে পারেন এবং সেটিকে যতটা সম্ভব অনুসরণ করার চেষ্টা করতে পারেন। চার্টটি সাহায্য করতে পারে আপনার নিজের 6 মাস বয়সী শিশুর পছন্দ অনুযায়ী তার জন্য একটা খাদ্য সময়–সীমার পরিকল্পনা করতে।
6 মাসের শিশুর জন্য খাদ্য রন্ধন প্রণালী
এখানে কিছু আকর্ষণীয় ভারতীয় খাদ্য রন্ধন প্রণালী দেওয়া হল যেগুলি আপনার বাচ্চাকে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
1. আপেল স্ট্যু এর সাথে দারুচিনি
উপকরণঃ
- আপেল-1 টা
- জল
- দারুচিনির পাউডার
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
ফুটন্ত জলের মধ্যে খোসা ছাড়ানো ঘনকাকারে কাটা আপেলের টুকরো দিয়ে রান্না করুন।বিকল্প রূপে,আপনি এগুলিকে প্রেসার কুকারেও রান্না করতে পারেন 2-3 টি সিটি দেওয়া পর্যন্ত।ভাপানো আপেলের টুকরো গুলিকে মিক্সার জারের মধ্যে নিয়ে ভালোভাবে পিঁষে নিন।আপনি আবার স্ট্যু এর ঘনত্বকে পাতলা করার জন্য এটিকে চেলেও নিতে পারেন।এবার এটির সাথে এক চিমটি দারুচিনি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।আপেলের স্ট্যু প্রস্তুত।
2. আমের পিউরি
উপকরণঃ
- আম-1 টি
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
খোসা ছাড়িয়ে আমের শাঁসটিকে বের করে নিন।শাঁসটিকে পিঁষে একটি পেষ্ট বানিয়ে নিন অথবা সেটিকে চেঁছে নিন।যেহেতু ফলটিতে প্রাকৃতিক মিষ্টতা আছে,তাই কোনওরকম অতিরিক্ত মিষ্টি যোগ করা ছাড়াই পরিবেশন করুন।
3. ওটমিল
উপকরণঃ
- গুঁড়ো করা ওট – 1 কাপ
- জল
- বুকের দুধ অথবা ফরমূলা দুধ – প্রয়োজন অনুযায়ী
- কলা – 1/2
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
একটা প্যানের মধ্যে 2 কাপ জল ফোটান।একবার জল ফুটতে শুরু করলে এক কাপ গুঁড়ো করা ওট ঐ জলের সাথে ধীরে ধীরে মেশান এবং দলা পাকানো এড়ানোর জন্য সেটিকে অনবরত নাড়তে থাকুন।ওট টি রান্না হয়ে গেলে তার সাথে 2 বড় চামচ দুধ মেশান।এই পদটিতে আরও সুন্দর একটা স্বাদ আনতে এর সাথে কলার পেষ্ট যোগ করতে পারেন।
4. মিষ্টি কুমড়ো পিউরি
মিষ্টি কুমড়ো পিউরি
উপকরণঃ
- মিষ্টি কুমড়ো-1/4
- জল
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
একটা ছোট কুমড়োকে বীজ মুক্ত করে তার শাঁসটিকে অপসারিত করে সেটিকে কেটে ছোট ছোট কিউবের মত আকার দিন।2 কাপ জল ফোটান এবং তার মধ্যে কুমড়োর কিউব গুলি যোগ করুন।এটির ঢাকনা চাপা দিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য রান্না করুন।রান্না করা কুমড়ো গুলিকে চটকে নিন অথবা ব্লেন্ড করে নিন অথবা পিঁষে নিয়ে একটি সূক্ষ্ম ও মিহি পেষ্ট বানান এবং আপনার ছোট্টটিকে খাওয়ান।সবজিটির নিজস্ব প্রাকৃতিক মিষ্টতা খাবারের এই পদটিতে একটা আলাদা স্বাদ আনে।
5. ভাতের পোরিজ অথবা মণ্ড
উপকরণঃ
- চাল গুঁড়ো-1 কাপ
- জল
- বুকের দুধ/ফরমূলা দুধ– প্রয়োজন অনুযায়ী
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
একটা প্যানের মধ্যে জল নিয়ে ফুটান।তার সাথে ধীরে ধীরে চাল গুঁড়ো মেশান ও ভাল করে রান্না করুন।দলা পাকিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলার জন্য যত্ন নিন।রান্না করা ভাতের উপরে 2 বড় চামচ দুধ যোগ করুন এবং ভালো করে নাড়িয়ে মিশিয়ে নিন।
6. আলু পিউরি
উপকরণঃ
- আলু-2
- বুকের দুধ / ফরমূলা দুধ– প্রয়োজন অনুযায়ী
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
নরম দাগী অথবা ফাটা নয় এমন আলু নির্বাচন করুন।ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন।এটিকে ছোট ছোট কিউবের আকারে কাটুন।একটি প্রেসার কুকারে অর্ধেক জল ভর্তি করে তার মধ্যে আলুর কিউব গুলিকে দিয়ে 1-2 টো সিটি পড়া পর্যন্ত রান্না করুন।রান্না করা আলুগুলিকে অন্য একটা বাটিতে স্থানান্তরিত করুন এবং একটা চামচের সাহায্যে সেটিকে চটকে পিঁষে নিন ।এর সাথে বুকের দুধ অথবা ফরমূলা দুধ যোগ করুন।সুস্বাদু আলু পিউরি প্রস্তুত।
7. লাউ পিউরি
উপকরণঃ
- লাউ-1/2
- মুগ ডাল–বড় 1 চামচ
- জিরে গুঁড়ো–এক চিমটি
কীভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
লাউটি ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ছোট ছোট কিউবের আকারে কাটুন।একটি প্রেসার কুকারে 50 মিলিলিটার জলের সাথে লাউয়ের কিউব গুলি এবং মুগ ডালকে যোগ করুন।মাঝারি আঁচে 2 টো সিটি পরা পর্যন্ত রান্না করুন।ঠাণ্ডা হওয়ার পর সেগুলিকে ব্লেন্ড করে পিঁষে নিন।এর সাথে জিরে গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) যোগ করে পরিবেশন করুন।
খাওয়ানোর পরামর্শ
৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনেছি এবার কিছু পরামর্শ । বাচ্চাদের খাওয়ানো মায়েদের কাছে কঠিন একটা কাজ হতে পারে।আপনার সন্তানের খাওয়ার সময়কে আনন্দের এবং চাপ মুক্ত করে তোলার জন্য এখানে খাওয়ানোর কিছু পরামর্শ দেওয়া হল।
- সর্বদা এক অথবা দুই চামচ খাবার দিয়ে খাওয়ানো শুরু করুন এবং আরও বেশি করে কেবল তখনই দিন যদি আপনার বাচ্চা সেটির স্বাদ পছন্দ করে।
- কেবলমাত্র একটি নতুন ফল বা সজির সাথে পরিচয় করান এবং সেই সময় তার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করুন,অন্য খাদ্য সামগ্রী শুরু করার আগে।
- সকল নতুন খাদ্য পদ এবং উপকরণ গুলি তিন দিন অনুসরণ করার নিয়ম মেনে চলুন।যদি আপনার বাচ্চার এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে সে ক্ষেত্রে এই নিয়ম অনুসরণ সমস্যার সমাধানকে সহজ করে তুলতে পারে।
- ছয় মাসের এত ছোট বাচ্চাকে দলা পাকান খাবার অথবা আঙ্গুল দিয়ে তুলে খাওয়ার মত খাবার খেতে দেবেন না এটি মাঝেমধ্যে গলায় আটকে যাওয়ার এবং এমনকি বিষম লাগার কারণ হতে পারে।
- লিভিং রুমে বা রান্নাঘর খাওযয়ানোর জন্য একটি শান্ত এবং নির্জন জায়গা নির্ধারণ করুন।
- খাওয়ানোর সময় চিত্ত বিক্ষোভ এড়িয়ে চলুন অর্থাৎ যে কোনও টিভি বা মোবাইল স্ক্রীনে কিছু দেখতে দেখতে আপনার শিশুটিকে খাওয়াবেন না।
- প্লাস্টিকের পাত্রের পরিবর্তে নির্বীজিত স্টীল বা ইস্পাত বা কাঁচের পাত্রগুলিতে শিশুর খাদ্য তৈরী করুন এবং সংরক্ষণ করুন।
- কেবলমাত্র বাড়িতে তৈরী খাবারই তাদেরকে দিন যেহেতু শিশুর পাচন তন্ত্র এখনও বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে।