জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে তা জানার আগে আমাদের কিছু বিষয় জানতে হবে। জরায়ু ইউরেটর মহিলাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । মহিলাদের এই অঙ্গটি বাচ্চা ধারণ করে এবং এখান থেকেই পিরিয়ড হয়। যেহেতু এখানে পিরিওড হয় তাই এখানে সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিভিন্ন কারণে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরায়ু অপারেশন করে অপসারণ করা হয় যাকে হিস্টেরেক্টমি অপারেশন বলে। অপারেশন করার ফলে যেহেতু মহিলাদের জরায়ু থাকবে না তাই তারা গর্ভধারণ করতে পারবে না এবং কোনো পিরিওড হবে না। অনেক সময় এই অপারেশন করার সময়ে মহিলাদের ওভারি ও ফেলোপিয়ান টিউব ও কেটে ফেলা হয়।
জরায়ু অপারেশন এর কারণ ও জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে তা জানার আগে জানতে হবে কেন জরায়ু অপারেশন হয় ।নিম্নে কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলো।
- ইউরেটর বা জরায়ুর মুখে ওভারির যেকোনো ক্যান্সারের কারণে
- এন্ড্রোমেট্রিওসিস
- পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা হলে এবং প্রচুর রক্তপাত হলে
- বিভিন্ন ধরনের বিনাইন সমস্যার জন্য ইরেকশনে হয়
- জরায়ু নিচে নেমে গেলে
জরায়ু অপারেশন এর বিকল্প । জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে তা জানর আগে এটার বিকল্প কিছু আছে কিনা তা জানা দরকার। প্রথম প্রথম অধিকাংশক্ষেত্রেই মেডিসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হলেও চরম পর্যায়ে অপারেশন কড়াই একমাত্র উপায়। তবে কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলোর মাধ্যমে অপারেশন ছাড়া হুজুরকে সুস্থ রাখা যায়। নিচে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
হাসপাতাল ভেদে জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে তা বলা মুশকিল। তবে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি ইন্টানেটে খুজাখুজি করে কোথাও জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে তা খুজে পাবেন না। তাই আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে ইন্টারনেটে না খুজে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ফাইব্রয়েড টিউমার
এক্ষেত্রে জরায়ু অপসারণ অপারেশন নির্ভর করে সাধারণত জরায়ু এর সাইজ এবং রোগের ধরনের উপর। অনেক সময় ঔষধ রক্তপাত কমিয়ে দেয় এবং টিউমারের সাইজ ছোট করে সাময়িকভাবে কষ্ট লাঘব করা যেতে পারে।জরায়ু অপারেশন করে যারা বাচ্চা নিতে চান তাদের জন্য অপারেশন হলো মায়োমেকটমি। মায়োমেকটমি পদ্ধতিতে শুধুটিউমার অপারেশন করা হয়।
এক্সারসাইজ
ইউটেরাইন প্রলাপস থাকলে বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দেয়া হয়। যেমন তাদের মধ্যে একটি হলো কিগাল এক্সারসাইজ। এছাড়াও রয়েছে ভ্যাজাইনাল রিং, পেজারি এবং ফদারগিলস অপারেশন হিস্ট্রেকটমি।
এডিনোমাইসিস/এন্ডোমেট্রিওসিস
ব্যথা এবং বৃং কমানোর জন্য অনেক ধরনের হরমোনের ওষুধ দেয়া হয় এবং তাদের সাথে পেইনকিলার দেয়া হয়। যারা বাচ্চা নিতে চায় তাদের জন্য সিষ্ট অপসারণ, অ্যাডহেসিওলাইসিস (Adhesiolysis)করার মাধ্যমে প্রজনন তন্ত্রের এ্যানাটমী ঠিক করা হয়।
কি কি উপায়ে অপারেশন করা যায় | জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
- এবডোমিনাল অর্থাৎ পেট কেটে।
- ভ্যাজাইনাল।
- ল্যাপরোস্কপিক হিস্ট্রেকটমি।
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড কতটা ভয়ের
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পেট ব্যথা হলে একপর্যায়ে শরীরে প্রচন্ড দুর্বলতা কাজ করে । এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এই লক্ষণগুলি ফাইব্রয়েড হওয়ার লক্ষণ।
ফাইব্রয়েড হলে অনেক সময় জরায়ুতে টিউমার হতে পারে যা যারেওর মসৃন পিঠ থেকে তৈরি হয়। সাধারণত প্রজনন কম বয়সে সমস্যা দেখা দিতে পারে ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাদের কাছে গাইনীর সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের অধিকাংশই মায়োমা বা ফাইব্রয়েড রোগ দ্বারা আক্রান্ত । প্রতিদিন জন নারীর মধ্যে একজন ফাইব্রয়েডে কোমরের নিচে ব্যথা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ পেট ব্যথা কোষ্ঠকাঠিন্য ঘন ঘন প্রস্রাব এবং সহবাসের সময় ব্যথা অনুভব করেন । অনেক সময় সহবাসের সময় অস্বস্তিবোধ করে থাকেন ।
কারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফরহানা দেওয়ান জানান, 50 শতাংশ নারীর ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। এটি সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়ে । এটি জরায়ুর যেকোনো অংশে হতে পারে । এটি আকৃতিতে খুবই ছোট । অনেকটা মটর দানার মত বা বাঙ্গির মত বড় হয়ে উঠতে পারে।
জরায়ু দেয়ালের ভেতরে হলে ইন্ট্রামুরাল এবং বাইরের দিকে হলে সাবসেরোসাল ফাইব্রয়েড বলা হয়। যে অংশে ভ্রূণ থাকে, সেখানে বেড়ে ওঠে সাবমিউকোসাল ফাইব্রয়েড।
যদি ফাইব্রয়েড ছোট থাকে তবে চিকিৎসক ফরহানা দেওয়ান অভয় দিয়েছেন । ফাইব্রয়েড ছোট ছোট থাকলে, সেটার কারণে অনেক বেশি ব্লিডিং না হলে বা সন্তানধারণে সমস্যা না হলে ফাইব্রয়েড ক্ষতিকর না।যদি বেশি ব্লিডিং হয় এবং প্রেগনেন্সিতে সমস্যা তৈরি করে তখন এটা অনেক ক্ষতিকর। তবে অনেকের কাছে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যার ভিতর ফাইব্রয়েড হলে মাসিকের সমস্যা বেশি হয়।
কোন অবস্থায় ওভারি ফেলা হয় । জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
এটা নির্ভর করে রোগীর বয়সএবং রোগের ধরন উপর । এটা নির্ভর করে ওভারির অবস্থার উপরে। বয়স যদি মেনোপজের কাছাকাছি হয় তবে জরায়ুর সাথে ওভারি এবং ফেলোপিয়ান টিউবও ফেলে দেওয়া হয়, এতে করে পরবর্তীতে ওভারিয়ান ক্যান্সার হবার কোন সম্ভাবনা আর থাকে না। 10
ওভারি অপসারণ করলে কি হতে পারে
ওভারি মেয়েদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্গান। এখান থেকে অ্যাস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন আসে। ওভারি ফেলে দিলে এই হরমোনের অভাবে সার্জিক্যাল মেনোপজ শুরু হয়ে যাবে, অর্থাৎ রোগীর হাত পা জ্বালা করা, অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা, মুড সুইং, সহবাসের অনীহা, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য পরবর্তীতে অনেকের ক্ষেত্রে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেওয়া লাগে।
সুস্থ হতে কতদিন লাগে
এই অপারেশনের পর রোগী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই বাসায় ফিরে যেতে পারে তবে এবডোমিনাল হিস্তেরেক্টমিএর ক্ষেত্রে সাধারণত রোগী 4 থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবে।ভ্যাজাইনাল এবং ল্যাপরোস্কোপিক অপারেশন-এর ক্ষেত্রে আরো আগেই অর্থাৎ ৪ সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হতে পারে।
আশাকরছি আপনি জরায়ু অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন।